টানা দুই বিশ্বকাপ খেলতে না পারা ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালি খানিকটা বিপাকেই ছিল। আগামী বছরের ইউরোতে খেলা নিয়ে তৈরি হচ্ছিল অনিশ্চয়তা। বিশেষ করে ৩ ম্যাচ শেষে ইতালির পয়েন্ট ছিল মাত্র ৪। গোল ব্যবধানে পিছিয়ে চারে থাকা মাল্টার পয়েন্টও ৪। আর দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইউক্রেনের পয়েন্ট ৪ ম্যাচে ৭। যে কারণে আজ ইউক্রেনের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল আজ্জুরিদের জন্য মহাগুরুত্বপূর্ণ। আর গুরুত্বপূর্ণ সেই লড়াইয়ে ২-১ গোলের দারুণ এক জয়ই পেল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। আর একই রাতে ইউরো বাছাইয়ের আরেক ম্যাচে সাইপ্রাসকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলায় মেতেছে স্পেন। এই ম্যাচে স্পেন পেয়েছে ৬-০ গোলের বিশাল এক জয়।
সাইপ্রাসের জালে স্পেনের ৬ গোল
সাম্প্রতিক সময়ে লামিনে ইয়ামালের মাঠে নামা যেন নতুন রেকর্ড। এবার স্পেনের সর্বকণিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেব একাদশে থাকার রেকর্ড গড়লেন ১৬ বছর বয়সী এ কিশোর। সাইপ্রাসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে মাঠে নেমেই দেখান নিজের জাদুও। যদিও পাননি গোল। সাইপ্রাসকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার পথে জোড়া গোল করেছেন ফেরান তোরেস। আর একটি করে গোল করেছেন গাভি, মিকেল মিরেনো, হোসেলো এবং অ্যালেক্স বায়েনা।
গ্রানাদায় স্পেনের কাছে আজ পাত্তায় পাইনি সাইপ্রাস। ম্যাচের শুরু থেকেই প্রতিপক্ষকে রীতিমতো কোণঠাসা করে রাখে স্প্যানিয়ার্ডরা। ছোট ছোট পাসে স্পেনের আক্রমণাত্মক ফুটবলের কোনো জবাবই ছিল না সাইপ্রাসের কাছে। উল্টো অসহায় আত্মসমর্পণে হজম করেছে একের পর এক গোল। প্রথমার্ধে স্পেনকে ২ গোলে আটকে রাখতে পারলেও, দ্বিতীয়ার্ধে একে একে চারবার বল জালে জড়ায় স্পেন।
এই জয়ে গ্রুপ ‘এ’তে ৪ ম্যাচে ৩ জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে থাকল স্পেন। ৫ ম্যাচে ৫ জয়ে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে স্কটল্যান্ড আছে শীর্ষে।
ইতালির ফেরা
ম্যাচের ফল বলছে ইতালি এই ম্যাচে ২-১ গোলে জিতেছে। কিন্তু পরিসংখ্যান আরেকটু গভীরভাবে তলিয়ে দেখলে স্পষ্ট হবে পুরো চিত্র। লুসিয়ানো স্পালেত্তির ইতালি দাপট দেখিয়েছে ম্যাচের বেশিরভাগ সময়। যেখানে ৬৪ শতাংশ বলের দখল রেখে তারা শট নিয়েছে ২১টি। যদিও ৫টির বেশি বল লক্ষ্যে রাখতে পারেনি।
তাতে অবশ্য কোনো সমস্যা হচ্ছে না। ঠিকই ২-১ গোলের দারুণ এক জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ইতালির হয়ে জোড়া গোল করেছেন ডাভিড ফ্রাত্তেসি। আর এ জয়ে এক ম্যাচ কম খেলে ইউক্রেনের সমান ৭ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দুইয়ে উঠে এসেছে ইতালি। যার ফলে এখন দারুণভাবেই সরাসরি ইউরোতে খেলার লড়াইয়ে ফিরল ইতালি।