মেসিদের বাস থেকে সমর্থকদের জন্য টাকা ওড়ালেন পাপু গোমেজ
আনন্দ চোখে দেখা যায় না, অনুভব করতে হয়। তবে আনন্দ চোখে দেখতে কেমন, বুয়েনস এইরেসের রাস্তায় নামলে সম্ভবত বোঝা যাবে। বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনা দলকে বরণ করে নিতে প্রায় ৫০ লাখ জনতার ঢল নেমেছে সেখানে।
জনতার এই স্রোতের মাঝে খেলোয়াড়েরাও নিজেদের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। আর্জেন্টিনার ফরোয়ার্ড পাপু গোমেজ যেমন ছাদখোলা বাসের ওপর থেকে টাকা উড়িয়েছেন চারপাশের সমর্থকদের প্রতি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাপু গোমেজের এমন গৌরি সেন হয়ে যাওয়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ছাদখোলা বাসের মাঝে দাঁড়িয়ে পাপু গোমেজ। হাতে মুঠোভর্তি টাকা মানে আর্জেন্টাইন পেসো।
চারপাশে করতালি ও স্লোগানে মাতিয়ে রেখেছিলেন আর্জেন্টাইনরা। এর মাঝে পাপু গোমেজ মুঠোভর্তি টাকা ছুঁড়ে মারেন সমর্থকদের প্রতি। জনতা হাত বাড়িয়ে গোমেজের এই উপহার ধরার চেষ্টা করছেন। সবাই না পেলেও আর্জেন্টাইনদের মধ্যে খুশির রেশ দেখা যায়।
আর্জেন্টাইনরা কিন্তু পাপু গোমেজের এই কাণ্ড ইতিবাচকভাবেই নিয়েছেন। দেশটির সংবাদমাধ্যম ‘ক্লারিন’ এক সমর্থকের উক্তিও প্রকাশ করেছে, ‘সে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। কাছে টাকাও আছে। তাই যা খুশি তাই করতে পারে।’
কেউ কেউ মজাও করেছেন। এক সমর্থক মন্তব্য করেন, এই টাকাগুলো দিয়েছে পানি ও সানস্ক্রিন কেনার জন্য। আসলে মেসিদের ছাদখোলা বাস খুব ধীরে ধীরে এগোচ্ছিল। চারপাশে প্রচুর জনতার ভিড়। রোদে পুড়ে সবাই মেসিদের সঙ্গে বিশ্বকাপ জয় উদ্যাপন করছিলেন।
তবে ছাদখোলা বাসে পাপু গোমেজদের যাত্রাটা শেষ হয়নি। বাস থেকেই হেলিকপ্টারে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় এজেইজায় আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এএফএ) সদর দপ্তরে। ছাদখোলা বাসে আট ঘণ্টার যাত্রার পরিকল্পনা থাকলেও নিরাপত্তার কথা ভেবে ছেঁটে আনা হয়।
মেসিদের বহনকারী বাস ব্রিজের নিচ দিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা আরও বেড়েছে। ব্রিজ থেকে সমর্থকেরা লাফ দিয়ে মেসিদের বাসে পড়েছেন। আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম এমন কয়েকটি ঘটনার কথা জানিয়েছে। ফেডারেল পুলিশ ক্যাডেট স্কুলের সামনে গিয়ে থামানো হয় বাস। এরপর পাঁচটি হেলিকপ্টারে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় আর্জেন্টিনা দলের খেলোয়াড়দের।
আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, জনতার চাপে এখন পর্যন্ত ১৮ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ১৬ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তবে কারও অবস্থাই আশঙ্কাজনক নয়।