হেতাফে ০ : ০ বার্সেলোনা
নিজেদের শহর থেকে দূরে কোথাও খেলা থাকলে আকাশপথকেই বেছে নেয় বার্সেলোনা। তবে পরিবেশ দূষণের কথা ভেবে প্রথমবার বিমানের পরিবর্তে রেলভ্রমণের সিদ্ধান্ত নেয় তারা।
লা লিগার ম্যাচ খেলতে আজ দ্রুতগতির ট্রেনে ৫০৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে মাদ্রিদে গেছে জাভি হার্নান্দেজের দল। কিন্তু রেলভ্রমণের ধকলটা বোধহয় ভালোভাবেই পেয়ে বসেছে তাদের। নয়তো কি আর ম্যাড়মেড়ে খেলে পয়েন্ট হারায়! সেটাও রিয়াল কিংবা আতলেতিকো নয়, মাদ্রিদ উপকণ্ঠেরই আরেক ক্লাব ‘পুঁচকে’ হেতাফের সঙ্গে। ম্যাচের ফল গোলশূন্য ড্র।
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এ নিয়ে টানা তিন ম্যাচে গোল করতে ব্যর্থ হলো বার্সা। এর আগে লিগ ম্যাচেই জিরোনা ও কোপা দেল রে সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়ালের বিপক্ষে জালের দেখা পায়নি জাভির দল।
হেতাফের মাঠ কলিসিয়াম আলফনসো পেরেজে নিষ্প্রাণ ড্রয়ের দিনে সামান্য উত্তাপ বলতে যদি কিছু থেকে থাকে, সেটা বিরতির আগমুহূর্তে ফাউলকে কেন্দ্র করে রবার্ট লেভানডফস্কির সঙ্গে স্বাগতিক খেলোয়াড়দের কথা কাটাকাটি। রেফারি এসে পরিস্থিতি সামাল না দিলে বাগ্যুদ্ধটা হাতাহাতির পর্যায়ে চলে যেত।
পুরো ম্যাচে মাত্র ৩টি শট লক্ষ্যে রাখতে পারা বার্সা দারুণ দুটি সুযোগ পেয়েছিল প্রথমার্ধেই। কিন্তু দুই উইঙ্গার আলেহান্দ্রো বালদে ও রাফিনিয়ার শট পোস্টে লেগে ফিরলে হতাশ হতে হয় তাঁদের।
হেতাফের ‘ডেডলক’ ভাঙতে দ্বিতীয়ার্ধে মিডফিল্ডার ফ্রাঙ্ক কেসি ও ডিফেন্ডার জার্দি আলবাকে তুলে নিয়ে দুই ফরোয়ার্ড আনসু ফাতি ও ফেরান তোরেসকে নামান জাভি। ৬৮ মিনিটে মাঠে নামার মধ্য দিয়ে বার্সার হয়ে ১০০তম ম্যাচ খেলার মাইলফলক স্পর্শ করেন ফাতি। তবে বিশেষ দিনে দলকে জেতাতে পারেননি।
৮৭ মিনিটে আবার রাফিনিয়াকে তুলে নিয়ে মিডফিল্ডার পাবলো তোরেকে নামান জাভি। বিষয়টা মোটেও পছন্দ হয়নি রাফিনিয়ার। ডাগআউটে বসার আগে রেগে গিয়ে কিছু একটা ছুঁড়ে মারেন ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার।
গোলের সেরা সুযোগটা সৃষ্টি করেছিল হেতাফেই। শেষ দিকে রোনাল্দ আরাউহোর ভুলে গোল প্রায় খেয়েই বসেছিল বার্সা। কিন্তু বোর্হা মাইয়োরালের শট দূরের পোস্ট দিয়ে বাইরে চলে যায়।
এ ড্রয়েও অবশ্য তেমন ক্ষতি হয়নি বার্সার। রিয়ালের চেয়ে ১১ পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে শীর্ষেই থাকল তারা। ২৯ ম্যাচে কাতালানদের পয়েন্ট ৭৩, সমান ম্যাচে কার্লো আনচেলত্তির দলের ৬২।