আর্জেন্টাইনদের প্রতি নিপীড়ন এখনই বন্ধ করতে বললেন মেসি
ব্রাজিল ম্যাচে আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি ছিলেন নিষ্প্রভ। তবে এরপরও শুরু থেকেই আলোচনায় ছিলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। ম্যাচ শুরুর আগে জাতীয় সংগীত হাওয়ার সময় দুই দেশের সমর্থকদের মধ্যে গন্ডগোল বাধলে আর্জেন্টাইন সমর্থকদের ওপর পুলিশ লাঠিপেটা করে। যেটা মোটেই ভালোভাবে নেননি আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি।
একপর্যায়ে সতীর্থদের নিয়ে মাঠ থেকে বেরিয়ে যান। ম্যাচের পরও সেই ক্ষোভ কমেনি মেসির। ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে এমন নিপীড়ন এখনই বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। এর আগে ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমেও ক্ষোভ ঝেড়েছিলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারানোর পর ইনস্টাগ্রামে মেসি লিখেছেন, ‘এই দলটা ইতিহাস গড়েই যাচ্ছে। মারাকানায় ঐতিহাসিক এক জয়। যদিও ব্রাজিলের মাটিতে আর্জেন্টাইনদের প্রতি আরও একবার নিপীড়নের কারণে ম্যাচটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এটা আর সহ্য করা যায় না। উন্মাদ অবস্থা, এখনই এর শেষ হওয়া দরকার।’
এর আগে আর্জেন্টিনার সমর্থকদের ওপর ব্রাজিল পুলিশের লাঠিপেটা নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে মেসি বলেছেন, ‘অবশ্যই খুব খারাপ হলো। লোকেদের কীভাবে মেরেছে, সেটা আমরা দেখেছি। (কোপা) লিবার্তোদোরেসের ফাইনালেও এমন হয়েছিল, এখন আবারও লাঠিপেটা করা হলো। খেলোয়াড়দের পরিবার সেখানে (গ্যালারি) ছিল। পরিবারই সবার আগে। তখন খেলার চেয়ে ওই চিন্তাটাই আগে আসে এবং বাকি সব গৌণ হয়ে পড়ে।’
মূলত দর্শকদের দাঙ্গার কারণে ম্যাচটি শুরু হয়েছিল দেরিতে। বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, মারাকানায় গ্যালারির এক অংশে আর্জেন্টিনার সমর্থকদের পিটিয়েছে ব্রাজিলের পুলিশ। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, জাতীয় সংগীত বাজার সময় ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মধ্যে মারামারি শুরু হয়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান এই ম্যাচের লাইভ বিবরণীতে ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম গ্লোবোর ধারাভাষ্যের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ‘আর্জেন্টিনার জাতীয় সংগীত বাজার সময় ব্রাজিলের সমর্থকেরা দুয়ো দেওয়ায় ঝামেলার শুরু হয়।’একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাঠিপেটা শুরু করে পুলিশ।