দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে ধারেভারে ভুটানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। দুই দেশের অনূর্ধ্ব-১৯ ম্যাচে আজ ভুটানের বিপক্ষে বাংলাদেশ এগিয়েও গিয়েছিল দুই গোলে। একপর্যায়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যায় ৩-২ গোলেও।
সেই ম্যাচই কিনা অবিশ্বাস্যভাবে ৩-৪ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। আজ সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবলে ৭ গোলের এমনই রোমাঞ্চকর ম্যাচের সাক্ষী হয়েছে কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়াম।
২১ সেপ্টেম্বর গ্রুপের প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে ৩-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে আজ ভুটানকে হারানোর বিকল্প ছিল না। উল্টো তাদের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে লাল–সবুজের প্রতিনিধিরা। বয়সভিত্তিক ফুটবলে এই ফল বাংলাদেশের জন্য অশনিসংকেতই। এক ম্যাচ হাতে রেখেই তিন দলের গ্রুপ থেকে সেমিতে উঠে গেছে ভারত ও ভুটান।
অথচ ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই বাংলাদেশ ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিল। প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারের কাছ থেকে বল ছিনিয়ে নিয়ে বাঁ পায়ের জোরালো শটে গোল করেন রুবেল শেখ। ৩০ মিনিটে ব্যবধান হয়েছে ২-০। আসাদুল মোল্লা বক্সে ঢুকে আগুয়ান গোলকিপারকে কাটিয়ে বাঁ পায়ে নিখুঁত শটে বল জালে জড়ান। কিন্তু দুই গোলে পিছিয়ে উদ্যম হারাননি ভুটানের তরুণেরা। সেটার ফলও তাঁরা পেয়েছেন।
৩২ মিনিটে কর্নার থেকে জিগমে নামগেলের হেডে ব্যবধান কমে হয় ২-১। বিরতির আগে বাংলাদেশের দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে জোরালো শটে ২-২ করেন কিনজাং তেনজিন। ৫৬ মিনিটে বক্সে ঢুকে ডান পায়ের জোরালো শটে বাংলাদেশকে আবারও এগিয়ে নেন রাজু আহমেদ। কিন্তু ৬৮ মিনিটে জিগমে নামগেলের গোলে ভুটান ৩-৩ করে ফেলে। ৮৪ মিনিটে রিনজিন দর্জির গোলে হয় ৪-৩। বাকি সময়ে এই গোল আর শোধ করতে পারেনি বাংলাদেশ।
দুই দেশের জাতীয় দলের লড়াইয়ে প্রথমবার বাংলাদেশ ভুটানের কাছে হেরেছিল ২০১৬ সালের অক্টোবরে, থিম্পুতে। সেটিও ৩-১ গোলের বড় ব্যবধানে। সেই হারের কারণে এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে যেতে পারেননি মামুনুল ইসলামরা। এরপর দুই দেশের জাতীয় দল পর্যায়ের চার ম্যাচেই ভুটানকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। সর্বশেষ হারিয়েছে গত ২৮ জুন সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ৩-১ গোলে। কিন্তু যুবারা সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলেন না।