কেউ তাড়িয়ে না দিলে লিভারপুল ছাড়বেন না ক্লপ
হেভিমেটাল ফুটবলের যে উন্মাদনা নিয়ে গত কয়েক মৌসুম মাতিয়ে রেখেছিল লিভারপুল, সেটার কি তাহলে শেষের শুরু হয়ে গেল? ইয়ুর্গেন ক্লপের দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স দেখে থাকলে তেমনই মনে হতে পারে।
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা তিন ম্যাচে জয়হীন লিভারপুল। সেটাও অপেক্ষাকৃত খর্বশক্তির দলগুলোর বিপক্ষে। এফএ কাপে উলভারহাম্পটনের সঙ্গে কোনোরকম ড্র করলেও ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ব্রাইটন আর ব্রেন্টফোর্ডের কাছে হেরে বসেছে।
১৮ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে এই মুহূর্তে লিগ টেবিলের ৯ নম্বরে আছে অলরেডরা। এভাবে চলতে থাকলে আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে জায়গা করে নেওয়া তো দূরের কথা, ইউরোপা লিগে খেলতে হলেও কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে সালাহ, ফন ডাইক, আলিসনদের।
বড্ড বাজে সময় পার করতে থাকায় লিভারপুল কোচ ক্লপ অবশ্য হাতজোড় করে ভক্তদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। তবে জানিয়ে দিয়েছেন, কেউ জোর না করলে এখনই ক্লাব ছাড়তে রাজি নন। ৫৫ বছর বয়সী জার্মান কোচ বলেছেন, ‘হয় দল ব্যবস্থাপনায় বদল আনতে হবে, নয়তো অনেক কিছু পরিবর্তন করতে হবে। যত দূর জানি, আমি চলে যাচ্ছি না, যদি না কেউ আমাকে এ ব্যাপারে কিছু না বলে।’
অতীত ভুলে সামনের ম্যাচগুলোর দিকে তাকিয়ে ক্লপ, ‘এখন আমাদের ভালো ফুটবল খেলতে হবে। কোচের দায়িত্ব ছাড়ার আগে আমি যথেষ্ট সময় পাব। আমি চলে গেলে অন্য স্টাফদেরও বদলানোর প্রসঙ্গ আসবে। এটা ভবিষ্যতে হতেই পারে। গ্রীষ্মকালীন দলবদলে বা অন্য কোনো সময়।’
মৌসুমের শুরু থেকেই প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে না পারায় ক্লপকে বড় তারকা আনার পরামর্শ দিয়েছিলেন অনেকে। তা ছাড়া মৌসুম শেষে রবার্তো ফিরমিনো, জেমস মিলনার, নাবি কেইতা ও অ্যালেক্স অক্সলেড-চেম্বারলেইনেইর সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ ফুরাবে লিভারপুলের।
তবে শীতকালীন দলবদলে ডাচ ফরোয়ার্ড কোডি গাকপো ছাড়া আর কাউকে কেনেনি অলরেডরা। এর বাইরে ভিয়েনায় ধারে খেলতে পাঠানো বিলি কুমেতিওকে ফিরিয়ে এনেছে তারা। ক্লপ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, জানুয়ারিতে আর কোনো খেলোয়াড় অ্যানফিল্ডে আনবেন না।
২০১৫ সাল থেকে লিভারপুল কোচের দায়িত্বে থাকা ক্লপ দলকে এখন পর্যন্ত ছয়টি শিরোপা জিতিয়েছেন। তাঁর অধীনেই প্রিমিয়ার লিগে ৩০ বছরের ট্রফি-খরা কাটিয়েছে অলরেডরা। ২০২৬ সালের ৩০ জুন ক্লাবটির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ ফুরাবে জার্মান কোচের।
এফএ কাপে আগের ম্যাচ ড্র করায় আজ রাতে উলভারহাম্পটনের বিপক্ষে আবার খেলতে নামবে লিভারপুল।