‘ফুটবলে মানুষ কিছু মনে রাখে না’, সমালোচকদের উদ্দেশে সুয়ারেজ
উরুগুয়ের ক্লাব নাসিওনাল দিয়ে শুরু। সেখানে দুই মৌসুম খেলে পাড়ি জমান ইউরোপে। নাম লেখান নেদারল্যান্ডসের ক্লাব গ্রোনিনজেনে। এ ক্লাবে এক বছর খেলে ঠিকানা বানান আয়াক্সকে। তিন বছর খেলে লুইস সুয়ারেজ পাড়ি জমান ইংল্যান্ডে। লিভারপুলে চার মৌসুম খেলে যান স্পেনে। বার্সেলোনায় পাঁচ ও আতলেতিকো মাদ্রিদে দুই মৌসুম খেলে ২০২২ সালে ফেরেন সাবেক ক্লাব নাসিওনালে।
ইউরোপে যত দিন খেলেছেন, দুর্দান্ত ছন্দে ছিলেন সুয়ারেজ। আয়াক্স থেকে আতলেতিকো—সব মিলিয়ে জিতেছেন ১৭টি শিরোপা। এর মধ্যে আছে পাঁচটি লা লিগা ও একটি চ্যাম্পিয়নস লিগ। কিন্তু বার্সেলোনায় শেষ দিকে সময়টা একটু খারাপ যাচ্ছিল সুয়ারেজের। তিনি ক্যাম্প ন্যুয়ের ক্লাবটিতে থাকতে চাইলেও ২০২০ সালে সুয়ারেজকে বিক্রি করে দেয় বার্সা। এরপর আতলেতিকো, নাসিওনাল আর গ্রেমিওতে সময়টা খুব একটা ভালো কাটেনি তাঁর।
ক্যারিয়ারের এই সময়ে নানা সমালোচনার মধ্য দিয়েও যেতে হয়েছে সুয়ারেজকে। সবকিছু পেছনে ফেলে এ বছর সুয়ারেজ যোগ দিয়েছেন মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে। জুটি বেঁধেছেন বার্সেলোনার সাবেক সতীর্থ লিওনেল মেসির সঙ্গে। কিন্তু মায়ামির হয়ে এমএলএসে প্রথম দুই ম্যাচে গোল পাননি সুয়ারেজ। সমালোচকেরা তখন বলতে শুরু করে—সুয়ারেজ ফুরিয়ে গেছেন!
গতকাল এমএলএসে নিজের তৃতীয় ম্যাচে করেছেন জোড়া গোল। অরল্যান্ডো সিটির বিপক্ষে দলের ৫-০ ব্যবধানের জয়ে দুটি গোলে সহায়তাও করেছেন উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার। এরপর যেন পায়ের নিচে মাটি ফিরে পেয়েছেন সুয়ারেজ। এমন পারফরম্যান্সের পর সমালোচকদের একহাত নিয়েছেন। বলেছেন, ফুটবলে মানুষ সবকিছু ভুলে যায়।
লম্বা সময় ধরে হাঁটুর চোটে ভোগা ৩৭ বছর বয়সী সুয়ারেজ সমালোচকদের জবাব দিয়েছেন এভাবে, ‘ব্যক্তিগত দিক থেকে আমি দলকে সাহায্য করতে পেরে খুশি। একজন স্ট্রাইকার এবং পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে প্রতিদিনই সমালোচনা সইতে হবে। ফুটবলে মানুষ কিছু মনে রাখে না। এর সঙ্গে আমি অভ্যস্ত।’
সুয়ারেজ এরপর বললেন, তাঁকে নিয়ে কে কী বলল, সেটা তিনি পাত্তা দেন না, ‘আমি প্রায় ২০ বছর ধরে পেশাদার ফুটবল খেলছি। তাই মানুষ কী বলতে পারে, তা নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন নই।’