পিএসজিতে দুই মৌসুম লিওনেল মেসির মোটেই ভালো কাটেনি। গত জুনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসি নিজেও জানিয়েছেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে পিএসজিতে খুবই অসন্তুষ্ট ছিলাম, উপভোগ করিনি। শুধু বিশ্বকাপ জেতার মাসটা অসাধারণ কেটেছে, এ ছাড়া বাকি সময়টা আমার জন্য কঠিন ছিল।’
কঠিন বলবেন নাই–বা কেন, ফ্রান্সের ফুটবলে বিদায়বেলায় মেসিকে দুয়ো শুনতে হয়েছে। যেন চ্যাম্পিয়নস লিগে পিএসজির ব্যর্থতার সব কারণ একা মেসিরই। ফ্রান্সের ১৯৯৮ বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার ডেভিড ত্রেজেগে পিএসজিতে মেসির সম্মান না পাওয়া নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আরও বড় এক সমস্যার কথা তুলে এনেছেন। ফ্রান্সের হয়ে ৭১ ম্যাচ খেলা এই ফুটবলারের দাবি, ফরাসি ফুটবল কখনই প্রতিভাকে সম্মান করতে জানে না।
ইএসপিএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই জুভেন্টাস কিংবদন্তি বলেছেন, ‘ফ্রান্স কখনো প্রতিভাবানদের উৎসাহ দেয়নি। মেসি ফ্রান্সের ফুটবলে আর না থাকায় আমি সন্তুষ্ট হতে পারিনি। মেসি এমন একজন মানুষ, যে আপনাকে সব সময় সেরাটা দেবে। সেটা ফুটবল, ভাবমূর্তি, সম্মান—সব ক্ষেত্রেই। ফ্রান্স কখনোই এমন সমৃদ্ধ কোনো ফুটবলার পায়নি।’
দুই মৌসুমে পিএসজির হয়ে মেসি খেলেছেন ৭৫টি ম্যাচ। প্যারিসের ক্লাবটির হয়ে মেসি গোল করেছেন ৩২টি, করিয়েছেন আরও ৩৫টি। এই সময়ে ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পের সঙ্গে জুটিটা ভালোই জমে উঠেছিল মেসির।
এমবাপ্পেও মনে করেন, আর্জেন্টাইন তারকা মেসি পিএসজিতে প্রাপ্য সম্মানটা পাননি। ইতালির সংবাদমাধ্যম লা গাজেত্তা দেল্লো স্পোর্তকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমবাপ্পে বলেছিলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি না, মেসি পিএসজি ছাড়ায় অনেকেই বেশ খুশি। মেসি সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার। সে পিএসজি ছাড়ছে, এটা কখনোই ভালো খবর হতে পারে না ক্লাবের জন্য। আমি তো মনে করি, মেসি কখনোই পিএসজিতে তার প্রাপ্য সম্মান পায়নি।’
ত্রেজেগে মনে করেন, এমবাপ্পের এমন কথাই মেসির জন্য স্বীকৃতি, ‘মেসি অসাধারণ ছিল। দিন শেষে পরিসংখ্যানকে গুরুত্ব দেওয়া হয়, দুই বছরে সে দেখিয়েছে কে প্যারিসের সেরা ফুটবলার। এমবাপ্পের মতামতটা যথার্থ সময়ে এসেছে। সে ফ্রান্স ফুটবলের মুখ, সেটা ঘরোয়া কিংবা আন্তর্জাতিক হোক। সে বলেছিল, ফ্রান্স ভাবমূর্তি হারিয়েছে ফ্রেঞ্চ ফুটবলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলারকে হারিয়ে। এটাই স্বীকৃতি।’