মেসিকে আনতে স্পনসর খুঁজছে বার্সেলোনা
মৌসুমের শুরু থেকেই পিএসজির সঙ্গে লিওনেল মেসির নতুন চুক্তিকে মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার। কিন্তু বিশ্বকাপের পর পিএসজিতে মেসির অবস্থানটা যেন আকস্মিকভাবেই বদলে যায়। অনিশ্চিত হয়ে পড়ে মেসির নতুন চুক্তি। এখন মেসির পিএসজি ছেড়ে যাওয়াকে বরং মনে হচ্ছে সময়ের ব্যাপার। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, পিএসজি ছাড়লে মেসির নতুন গন্তব্য কোথায় হবে?
শুরুতে সৌদি ক্লাব আল–হিলাল এবং এমএলএসের ক্লাব ইন্টার মায়ামির কথা শোনা গেলেও এই মুহূর্তে দৃশ্যপটের পুরোটাজুড়ে বার্সেলোনা। মেসিকে ক্যাম্প ন্যুতে ফিরিয়ে আনার জন্য বেশ জোরেশোরেই মাঠে নেমেছে বার্সা। এমনকি মেসিকে কেনার জন্য বার্সা নাকি স্পনসরদের সঙ্গেও যোগাযোগ করছে।
সম্প্রতি বার্সা সহসভাপতি রাফা ইয়সতে ও কোচ জাভি হার্নান্দেজ মেসির ফেরার সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলার পরই মূলত পরিস্থিতি নতুন মোড় নিয়েছে। রাফা ইয়সতে বলেছিলেন, ‘তার ফিরে আসাটা ভালো লাগবে। আমরা তাদের (পিএসজি) সঙ্গে কথা চালিয়ে যাচ্ছি।’ আর বার্সা কোচ জাভি বলেছিলেন, তিনি মেসির ‘শেষ নাচ’টা বার্সাতেই দেখতে চান। এ দুই মন্তব্যের পরই মূলত মেসির বার্সায় ফেরার সম্ভাবনার পালে নতুন করে হাওয়া লাগে।
এবার সেই খবর আরও শক্তিশালী হলো স্প্যানিশ ফুটবল সাংবাদিক জেরার্দ রোমেরোর মন্তব্যে। রোমেরো জানিয়েছেন, মেসিকে ফেরাতে বার্সা এখন গুরুত্বপূর্ণ স্পনসরগুলোর সঙ্গে কাজ শুরু করেছে। মেসি বার্সায় ফিরলে সেটি অর্থনৈতিক বাজারকে আরও উন্মুক্ত করবে, যা স্পনসরদের আগ্রহকেও উসকে দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আর বার্সার স্পনসরদের দিকে হাত বাড়ানোর মূল কারণ হচ্ছে, এর ফলে ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লে নীতি অটুট রেখেই তারা মেসিকে ক্লাবে ফেরাতে পারবে। সে ক্ষেত্রে মেসির কম বেতনকেও তারা বাণিজ্যিক লাভের একটা অংশ দেওয়ার মাধ্যমে পুষিয়ে দিতে পারবে।
এদিকে বেতন না কমালে মেসিকে পিএসজি ছাড়তে হবে বলে জানিয়েছে পিএসজির একটি সূত্র। সূত্রটি বলেছে, ‘আমাদের বেতনের টাকা কমাতে হবে মূলত দুটি কারণে। প্রথমত হচ্ছে ফিনান্সিয়াল ফেয়ার প্লে। আর অন্যটি দলবদলে আরও খেলোয়াড় দলে ভেড়ানো। আমরা মিথ্যা বলব না যে মেসি আমাদের ক্লাবে টাকা নিয়ে আসছে। তবে সামগ্রিকভাবে আমাদেরকে বেতন–ভাতা কমাতে হবে।’