৩ হাজার ৪৯৮ কোটি টাকায় নিউক্যাসল কিনে নিল সৌদি মালিকানাধীন কনসোর্টিয়াম
মাইক অ্যাশলির কিপটেমিতে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন নিউক্যাসল ইউনাইটেডের সমর্থকেরা। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগকে প্রথম ‘মাল্টি মিলিয়ন’ স্ট্রাইকার উপহার দেওয়া এবং একসময়ের প্রতাপশালী এই ক্লাবের মালিকানা ১৪ বছর ধরে ছিল অ্যাশলির হাতে। ব্রিটিশ এই বিলিয়নিয়ারের হাত থেকে অবশেষে নিউক্যাসল মুক্তি পেল—অন্তত ক্লাবটির সমর্থকেরা এমন ভাবতেই পারেন।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে, সৌদি মালিকানাধীন কনসোর্টিয়াম সৌদি পাবলিক ইনভেস্ট ফান্ড (পিআইএফ), পিসিপি ক্যাপিটাল পার্টনার্স এবং আরবি স্পোর্টস মিডিয়া নিউক্যাসল কিনে নিয়েছে। সৌদি যুবরাজ প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান, পিআইএফ—এই তহবিলের প্রধান।
৩০ কোটি পাউন্ডে (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩ হাজার ৪৯৮ কোটি টাকা) নিউক্যাসলের মালিকানা হাতছাড়া করলেন অ্যাশলি। প্রিমিয়ার লিগের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব নিউক্যাসল ইউনাইটেড এবং সেন্ট জেমস হোল্ডিংস লিমিটেডের মালিকানা নিয়ে জটিলতার আজ অবসান ঘটিয়েছে পিআইএফ, পিসিপি ক্যাপিটাল পার্টনার্স এবং আরবি স্পোর্টস মিডিয়া কনসোর্টিয়াম। এর মধ্য দিয়ে এই কনসোর্টিয়ামের কাছে বিক্রি হয়ে গেল নিউক্যাসল ইউনাইটেড।’
তবে সৌদি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের হাতে নিউক্যাসলকে তুলে দেওয়া নিয়ে সতর্ক করেছিল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। তারা দাবি করেছিল, সৌদি আরবের রাজতন্ত্র এই ক্লাবকে ব্যবহার করে অতীত মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো কাজগুলো মুছে ফেলার চেষ্টা করবে, খেলাধুলার ভাষায় যা ‘স্পোর্টসওয়াশিং’। কিন্তু প্রিমিয়ার লিগের বিবৃতিতে নিশ্চিত করা হয়, সৌদি রাজতন্ত্র এই ক্লাব নিয়ন্ত্রণ করবে না, সে বিষয়ে ‘আইনগত প্রতিশ্রুতি’ পেয়েছে তারা।
সৌদি ব্যবসায়িক ব্যক্তিত্ব ও দেশটির তেল কোম্পানি সৌদি আরমাকোর চেয়ারম্যান ইয়াসির আল-রুমাইয়ান পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের (পিআইএফ) গভর্নর। নিউক্যাসলের মালিকানা নেওয়ার পর তিনি বলেন, ‘নিউক্যাসল ইউনাইটেডের নতুন মালিক হতে পেরে আমরা অত্যন্ত গর্বিত। ইংলিশ ফুটবলে এটি অন্যতম খ্যাতিমান ক্লাব।’ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ চালু হওয়ার পর নিউক্যাসল কখনো শিরোপা জিততে পারেনি। তবে চারবার ইংল্যান্ডের প্রথম বিভাগ লিগ জিতেছে ক্লাবটি। সাম্প্রতিক মৌসুমগুলোয়ও দলটি ভালো করতে পারছে না। এবার অবনমন তালিকায় রয়েছে নিউক্যাসল।