ইতিহাসের প্রথমবারের মতো গাম্বিয়াকে আফ্রিকান কাপ অব নেশনসের মূল পর্বে নিয়ে গিয়েছিলেন বেলজিয়ান কোচ টম সেইন্টফিট। হ্যাঁ, সেই সেইন্টফিট, যিনি একসময় বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ ছিলেন। শুধু কোচ ছিলেন বলাটা ভুল হবে, বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম ব্যর্থ কোচ মানা হয় সেইন্টফিট। সেই সেইন্টফিটই নিজের জাত চিনিয়েছেন গাম্বিয়াতে গিয়ে। দলটাকে তুলেছিলেন আফ্রিকান কাপ অব নেশনসের কোয়ার্টার ফাইনালে।
শেষমেশ কোয়ার্টারেই থেমে গিয়েছে গাম্বিয়ার স্বপ্নযাত্রা। স্বাগতিক ক্যামেরুনের কাছে ২-০ গোলে হেরে বিদায় নিয়েছে তারা। ঘরের মাঠে শিরোপা জেতার পথে আরেকটু এগিয়ে গিয়েছে আফ্রিকার অদম্য সিংহরা। এই আফকনে অংশ নেওয়া দলগুলোর মধ্যে এই গাম্বিয়ার র্যাঙ্কিং ছিল সবার নিচে। এই আসরে মৌরিতানিয়া, তিউনিসিয়া ও গিনিকে হারিয়েছে গাম্বিয়া, ড্র করেছে মালির সঙ্গে। নিজেদের কীর্তিতে সেইন্টফিট গর্বিত হতেই পারেন! তবে ক্যামেরুনের বিপক্ষে হেরে গাম্বিয়ার খেলোয়াড়দের মন যে ভেঙে গেছে, সেটা বোঝা গেছে ম্যাচ শেষে সেইন্টফিটের কথায়; যদিও যোগ্যতর দল হিসেবেই ক্যামেরুন জিতেছে বলে তিনি মনে করেন।
ভিয়ারিয়ালের উইঙ্গার কার্ল তোরো একাম্বির জোড়া গোলে প্রথম দল হিসেবে সেমিফাইনালে উঠেছে ক্যামেরুন। ৫০ মিনিটে কলিন্স ফাইয়ের সহায়তায় প্রথম গোল করেন একাম্বি, ৭ মিনিট পরেই হেল্লাস ভেরোনার মিডফিল্ডার মার্টিন হংলার সহায়তায় দ্বিতীয় গোলটাও পেয়ে যান এই উইঙ্গার।
সাত বছরে ক্যামেরুনের হয়ে ৪৫ ম্যাচ খেলে সাত গোল করেছেন একাম্বি, যার চারটাই এসেছে এই আফকনে। আরেক কোয়ার্টার ফাইনালে তিউনিসিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বুরকিনা ফাসো। লরিয়েঁর স্ট্রাইকার দাঙ্গো ওতারাই ছিলেন এই ম্যাচের নায়ক, একই সঙ্গে খলনায়কও। ৪৫ মিনিটে ইবরাহিম তোরের সহায়তায় ম্যাচের একমাত্র গোল করেন ওতারা। ৮২ মিনিটে এই ওতারাই লাল কার্ড দেখে বিদায় নেন মাঠ থেকে। এ নিয়ে তিনবার তিউনিসিয়াকে আফকন থেকে বিদায় করল বুরকিনা ফাসো। এর আগে ১৯৯৮ আর ২০১৭ আফকনেও এই বুরকিনা ফাসোর কাছে হেরেই বিদায় নিয়েছিল তিউনিসিয়া।
আর পরের কোয়ার্টার ফাইনালে মোহাম্মদ সালাহর মিসর লড়বে মরক্কোর বিপক্ষে।