লিগের অন্যতম সেরা পারফরমারই নেই জাতীয় দলে!
২০১৬-১৭ মৌসুমের প্রিমিয়ার লিগের সেরা গোল কোনটি? এই প্রশ্নের উত্তরে খালেকুজ্জামান সবুজের একটি গোলের কথা বারবারই আসে। লিগের প্রথম পর্বে শেখ জামালের বিপক্ষে গোলটি করেছিলেন শেখ রাসেলের এই ডিফেন্ডার। জামালের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে হারা ম্যাচে বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত ভলিতে দলের পক্ষে একমাত্র গোলটি করেছিলেন সবুজ। লেফট ব্যাক হয়েও লিগে আরও একটি গোল আছে তাঁর। ডিফেন্ডার হয়ে দুই গোল, যা স্ট্রাইকারের নামের পাশেও নেই। অথচ আগামী মাসের ২৭ তারিখে লাওসের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচের জন্য জাতীয় দলের প্রাথমিক তালিকায় জায়গা হয়নি রাসেলের এই ডিফেন্ডারের।
গোল করলেই যে জাতীয় দলে জায়গা পেতে হবে, বিষয়টি তা নয়। কিন্তু সবুজ লিগের অন্যতম সেরা পারফরমার, তা সব কোচই বলে থাকেন। লিগের মোট ২২ ম্যাচেই একাদশে দেখা গিয়েছে তাঁকে। দলের প্রয়োজনে রাইট ব্যাক, উইঙ্গার পজিশনেও খেলেছেন। তাই শিষ্যের জাতীয় দলের ক্যাম্পে ডাক না পাওয়াটা দৃষ্টিকটুই মনে হয়েছে কোচ শফিকুল ইসলাম মানিকের কাছে, ‘ওকে কেন ডাকল না। আমি অবাকই হয়েছি। ও শুধু আমার দলের অন্যতম সেরা পারফরমারই নয়, লিগেরও অন্যতম সেরা। অন্তত প্রাথমিক ক্যাম্পে তার না থাকাটা আমাকে অবাক করেছে।’
১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩৫ জন নিয়ে শুরু হবে জাতীয় দলের ক্যাম্প। তালিকায় ১৭ জনই নতুন মুখ। সেখানে একটু অভিজ্ঞ হয়ে ওঠা সবুজের নাম না থাকাতে কিছুটা অবাক হয়েছেন সাইফুল বারি টিটুও। তবে তিনি কোচ অ্যান্ড্রু ওর্ডের পরিকল্পনাকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছেন, ‘দলটা পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করেই ডাকা হয়েছে। এখানে সবুজের থাকা উচিত ছিল। কিন্তু সবুজ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পজিশনে খেলেছে। সে ক্ষেত্রে কোচের কিছুই করার থাকে না। তবে তার সুযোগ এখনো শেষ হয়ে যায়নি।’
লিগে দুই গোলের সঙ্গে পাঁচটি গোলও করিয়েছেন সবুজ। তাই জাতীয় দলে ডাক না পেয়ে হতাশ হয়েছেন তিনিও, ‘মাঠে পারফরম্যান্স করেছি। এখন না ডাকলে কী করার আছে। অবশ্য যাদের ডেকেছে, তারাও ভালো খেলেছে।’
লাওসের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচের জন্য এন্ড্রু ওর্ডের দলে একজন পরীক্ষিত রাইটব্যাকও নেই। যদিও এএফসি কাপে আবাহনীর খেলা থাকায় সে দলের কাউকে এখনো ডাকা হয়নি। তবুও সবুজ হতে পারতেন এই পজিশনের জন্য সেরা পছন্দ। অ্যান্ড্রুর অধীনে গত বছর এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ বাছাইপর্বের দলে ছিলেন সবুজ। তাজিকিস্তান ও ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ছিলেন একাদশেও।