রিয়ালকে জেতানো ব্রাজিলিয়ানকে নিয়ে পেলের গর্ব
সেদিন রদ্রিগো না থাকলে কী হতো!
রিয়াল মাদ্রিদের ভক্তরা হয়তো সে কথা ভুলেও স্মরণ করতে চাইবেন না। আর স্মরণ করতে না চাওয়াই স্বাভাবিক। ম্যানচেস্টার সিটির চেয়ে দুই গোলে পিছিয়ে থাকা রিয়ালে সেদিন যদি রদ্রিগো না থাকতেন, চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালটা হয়তো ঘরে বসে বসেই দেখতে হতো চ্যাম্পিয়নস লিগে সবচেয়ে সফল দলটাকে।
কিন্তু রদ্রিগো ত্রাণকর্তা হয়ে ওঠাতেই রক্ষা পায় রিয়াল। বেনজেমা, ভিনিসিয়ুস, মদরিচদের একের পর এক আক্রমণ যখন ম্যানচেস্টার সিটির রক্ষণভাগে ব্যর্থ হচ্ছিল, এই রদ্রিগোই তখন শেষ মুহূর্তে দুই গোল করে রিয়ালকে ম্যাচে ফেরান। পরে করিম বেনজেমার গোলে দুই লেগ মিলিয়ে শ্রেয়তর গোল ব্যবধানে রিয়াল তো ফাইনালেই উঠল।
এর পর থেকে রদ্রিগোকে নিয়ে শুরু হয়েছে স্তুতির বন্যা। যে বন্যায় যোগ দিয়েছেন রদ্রিগোরই দেশের সবচেয়ে বড় ফুটবল তারকা পেলে।
রদ্রিগো আগে পেলের ক্লাব সান্তোসে খেলতেন দেখেই কি না, এই ফরোয়ার্ডের প্রতি পেলের সব সময়ই একটা আলাদা টান আছে। সে টানটা আরও প্রকাশ্যে এসেছে উত্তরসূরির এমন কীর্তির পর।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে রদ্রিগোকে প্রশংসায় ভাসানো পোস্টে তিনবারের বিশ্বকাপজয়ী এই ফরোয়ার্ড লিখেছেন, ‘আমি সব সময় জানতাম, তোমাকে অভিনন্দন দেওয়ার মতো এমন একদিন আসবেই, বন্ধু! কারণ, যারা নিজেদের কাজটা করতে পছন্দ করে ও কঠোর পরিশ্রম করে—তাদের ভাগ্যে এটা ছাড়া অন্য কিছু লেখা থাকে না। তুমি আজ গর্বিত। তুমি আরও এমন আনন্দের মুহূর্ত নিয়ে আসবে। রিয়াল মাদ্রিদকে অভিনন্দন, ফাইনাল দেখার জন্য তর সইছে না আমার!’
কিংবদন্তির এই শুভেচ্ছা চোখে পড়েছে রদ্রিগোর। ধন্যবাদ জানাতে ভুল করেননি রিয়ালের তরুণ এই ফরোয়ার্ড, ‘আপনার কথাগুলোর জন্য ধন্যবাদ, রাজা! আমি কখনোই আপনার উপদেশগুলো ভুলব না, আজীবন কৃতজ্ঞ রইব আপনার প্রতি।’