মেসি-রোনালদো মুখোমুখি হতে পারেন গ্রুপ পর্বেই
চ্যাম্পিয়নস লিগে স্প্যানিশ রাজত্ব শেষ হয়েছে দুই বছর হলো। টানা পাঁচ বছর স্পেনে আশ্রয় নেওয়া ট্রফিটি ইংল্যান্ড ঘুরে এবার গেছে জার্মানিতে। দাপুটে ফুটবল খেলে বায়ার্ন মিউনিখ কি পারবে দ্বিতীয় দল হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগ ধরে রাখতে? নাকি গত ফাইনাল হেরে যাওয়া প্যারিস সেন্ট জার্মেই তাদের অতৃপ্তি ঘোচাতে পারবে এবার? বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদ কি পারবে চ্যাম্পিয়নস লিগে আবারও দাপট দেখাতে?
মৌসুম ধরে চলা এক টুর্নামেন্ট নিয়ে শুরু হওয়ার আগেই ভবিষ্যদ্বাণী করা কঠিন। তবে আজ অন্তত বোঝা যাবে দলগুলোর যাত্রাপথটা কেমন হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে চ্যাম্পিয়নস লিগের ড্র। জেনেভায় আজ গত মৌসুমের ইউরোপের বর্ষসেরা ফুটবলারকেও পুরস্কৃত করা হবে। গত দশ বছরে এই প্রথম উয়েফার বর্ষসেরার মনোনয়ন পাওয়া সেরা তিনে নেই লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। আরও একটি প্রথমের দেখাও মিলতে পারে আজ। এই প্রথম গ্রুপ পর্বেই দেখা হয়ে যেতে পারে এ দুই মহাতারকার।
দুজনই নিয়মিত চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলছেন সেই ২০০৫/০৬ থেকে। তবু এ দুজনের গ্রুপ পর্বে দেখা হয়নি কখনো। গত এক দশকে সেটা না হওয়ার কারণটা জানাই। দুজনেই খেলেছেন স্পেনের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবে। চ্যাম্পিয়নস লিগের নিয়ম অনুযায়ী এক দেশের দুই ক্লাব গ্রুপ পর্বে কখনো একই গ্রুপে জায়গা পায় না। ফলে ২০০৯/১০ থেকে ২০১৭/১৮ মৌসুম পর্যন্ত মেসি ও রোনালদোর গ্রুপ পর্বে মুখোমুখি হওয়ার সুযোগই ছিল না। এর আগে রোনালদো যখন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ছিলেন তখনো এ দুজনের গ্রুপ পর্বে দেখা হয়নি কখনো। একবার ফাইনাল ও আরেকবার সেমিফাইনালে দেখা হয়েছিল তাঁদের।
রোনালদোর রিয়াল পর্ব শেষ হওয়ার পর আর একই দেশ নিয়মের ঝামেলা নেই। এ দুজনের গ্রুপ পর্বে দেখা হওয়ার সুযোগ তবু সৃষ্টি হয়নি। কারণ, উয়েফার আরেকটি নিয়ম হলো, শীর্ষ ছয় লিগের চ্যাম্পিয়ন দল সব সময় এক নম্বর পটে থাকবে।
২০১৭/১৮ মৌসুমে নিজেদের লিগে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সেখানে ছিল মেসির বার্সেলোনা ও রোনালদোর জুভেন্টাস। ফলে একই গ্রুপে পড়ার কোনো সুযোগ ছিল না দল দুটির। পরের মৌসুমেও একই কাণ্ড। রোনালদো ও মেসি নিজ নিজ দলকে লিগ চ্যাম্পিয়ন করে চ্যাম্পিয়নস লিগে এনেছেন, দুই দলের আবারও ভিন্ন যাত্রা নিশ্চিত হয়েছে।
গত মৌসুমেও লিগ জিতেছে রোনালদোর জুভেন্টাস। কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদের কাছে শিরোপা খুইয়েছে মেসির বার্সেলোনা। ফলে জুভেন্টাস এবার এক নম্বর পটে থাকলেও বার্সেলোনার জায়গা হয়েছে দুই নম্বর পটে। যেহেতু এক নম্বর পটে রিয়াল ও সেভিয়া আছে, বার্সেলোনা আর বাকি ছয় দলের গ্রুপেই পড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে অন্তত ১৬.৬৬ শতাংশ সম্ভাবনা তো আছেই জুভেন্টাস ও বার্সেলোনার মুখোমুখি হওয়ার। গ্রুপ পর্বেই মেসি-রোনালদোর মুখোমুখি হয়ে যাওয়ার।
এমনিতেও চ্যাম্পিয়নস লিগে এ দুজনের দেখা হয় না বহুদিন হলো। সেই কবে ২০১১ সালে সেমিফাইনালে দেখা হয়েছিল মেসি-রোনালদোর! এ বার সে অপেক্ষা ফুরোবে?