মায়ের পছন্দের ক্লাব লিভারপুলের সঙ্গেও কথাবার্তা হয়েছিল এমবাপ্পের
সব জল্পনাকল্পনার অবসান হয়েছে দুদিন আগেই। রিয়াল মাদ্রিদ নয়, পিএসজিকেই বেছে নিয়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। চুক্তি নবায়ন করে আরও তিন বছর প্যারিসে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই ফরাসি ফরোয়ার্ড।
এত দিন মুখে কুলুপ এঁটে থাকলেও চুক্তি নবায়নের ঘোষণার পর একের পর এক সাক্ষাৎকার দিয়ে যাচ্ছেন এই ফরোয়ার্ড। সেখানেই জানা গেল, যা রটে, তা কিছু হলেও বটে।
এমবাপ্পের প্রতি কয়েক বছর ধরে রিয়াল মাদ্রিদই সবচেয়ে বেশি আগ্রহী হলেও লিভারপুলের আগ্রহের ব্যাপারেও কথাবার্তা শোনা যেত হালকাপাতলা। গতকাল ব্রিটিশ গণমাধ্যম টেলিগ্রাফকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আগ্রহের বিষয়টি বৈধতা দিয়েছেন এমবাপ্পে। জানিয়েছেন, লিভারপুল তাঁর প্রতি আগ্রহী তো ছিলই, তিনিও লিভারপুলের সঙ্গে দলবদলের ব্যাপারে কথাবার্তা বলেছিলেন।
তবে লিভারপুলের সঙ্গে এমবাপ্পের এ যোগাযোগের ব্যাপারটা হয়েছিল আজ থেকে আরও বছর পাঁচেক আগে। এমবাপ্পে তখন মোনাকোতে আলো ছড়াচ্ছেন। দলকে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে তুলে সবার নজরে এসেছেন। তখনই লিভারপুল তাঁকে দলে নেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা শুরু করেছিল। এমবাপ্পে নিজেও আপত্তি করেননি। কারণ, লিভারপুল যে তাঁর মায়ের পছন্দের ক্লাব!
রিয়াল মাদ্রিদের প্রতি এমবাপ্পের অনুরাগ আজকের নয়, এর আগে আকারে-ইঙ্গিতে অনেকবারই ১৩ বারের চ্যাম্পিয়নস লিগজয়ী ক্লাবের প্রতি নিজের আকর্ষণের কথা জানিয়েছিলেন। ছোটবেলা থেকেই যে রিয়ালকে পছন্দ করেন, সেটা সবাইকে বুঝিয়েছিলেন নিজের কমিকসের প্রতিটি ছত্রে।
এমবাপ্পে রিয়ালকে পছন্দ করলেও এমবাপ্পের মা ফাইজা লামারি পছন্দ করেন লিভারপুলকে। সে কারণেই অল রেডদের সঙ্গে কিছুদিন দলবদলের ব্যাপারে কথাবার্তা বলেছিলেন, টেলিগ্রাফকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেটাই স্বীকার করেছেন, ‘শুধু রিয়াল মাদ্রিদ বা পিএসজিই নয়, আমি ইয়ুর্গেন ক্লপের সঙ্গেও কিছুদিন কথা বলেছি লিভারপুলে যোগদানের ব্যাপারে।’
এরপরই উঠে এসেছে মায়ের ব্যাপারটা, ‘আমি লিভারপুলের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। কারণ, আমার মায়ের পছন্দের ক্লাব লিভারপুল। জানি না উনি কেন লিভারপুলকে পছন্দ করেন, সে জন্য তাঁর সঙ্গে কথা বলতে হবে আপনাদের! ক্লাবটা দুর্দান্ত, অনেক বড় একটা ক্লাব। ওদের সঙ্গে আমার পাঁচ বছর আগে কথা হয়েছিল যখন আমি মোনাকোতে ছিলাম। ক্লপের সঙ্গে আমি সামান্য কথা বলেছিলাম। বেশি না, সামান্য।’
এমবাপ্পের প্রতি লিভারপুলের যে আগ্রহ ছিল, সেটা কয়েক দিন আগে অবশ্য ক্লপ নিজেও স্বীকার করেছিলেন, ‘অবশ্যই আমরা এমবাপ্পের প্রতি আগ্রহী, আমরা তো অন্ধ নই! আমরা ওকে পছন্দ করি, আপনি যদি ওকে পছন্দ না করেন, তাহলে নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে যে কেন পছন্দ করছেন না।’
তবে পছন্দ হলেই যে এমবাপ্পেকে পাওয়া সম্ভব, সেটা মানেননি ক্লপ, ‘তবে ওকে পাওয়ার লড়াইয়ে আমরা যুক্ত হতে পারব না। ওর প্রতি অন্য অনেক ক্লাব আগ্রহী, আর এটাই স্বাভাবিক। ও অসাধারণ একজন খেলোয়াড়।’