বেতন বাকি থাকায় খেলেননি ওজিল, এমন খবরে রাগ তুরস্কের ক্লাবের
মেসুত ওজিলকে ‘মুক্তি’ দিয়েছিল ফেনারবাচ। আর্সেনালে শেষ দিকটায় রীতিমতো কারাবন্দী দশা ছিল জার্মান মিডফিল্ডারের। ক্লাবের হয়ে মাঠে নামা হচ্ছিল না তাঁর। ওদিকে চুক্তি বাকি থাকায় বেতনে ছাড় দিতেও রাজি হচ্ছিলেন না ওজিল। ক্লাব সমর্থকেরা দুই ভাগ হয়ে গিয়েছিল ওজিলকে নিয়ে। এক পক্ষ বলছিল, ওজিলের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে, অন্য পক্ষের দাবি, জার্মানির হয়ে বিশ্বকাপ জেতা মিডফিল্ডারই ক্লাবকে বিপাকে ফেলছেন।
২০২১ সালের জানুয়ারিতে দুই পক্ষের স্বস্তি মেলে। পূর্বপুরুষের দেশ তুরস্কের প্রতি বরাবরই টান ছিল ওজিলের। সে টান আরও বাড়ল যখন ফেনারবাচ এই বিপদে এগিয়ে এল। সাদরে তাঁকে নিয়ে গেল তুরস্কে। কিন্তু সে সম্পর্কেও নাকি চিড় ধরেছে। ক্লাব তাঁর বকেয়া দিচ্ছে না বলে ওজিল নাকি মাঠে নামতে আপত্তি জানিয়েছেন। তুরস্কের সংবাদমাধ্যমগুলো দিচ্ছে এমন খবর, তবে সে খবর দেখে বেজায় চটেছে ফেনারবাচ। ক্লাবের ওয়েবসাইটে ক্ষোভ ঝেড়েছে তারা।
ফেনারবাচের জার্সিতে কয়েক সপ্তাহ ধরে দেখা যাচ্ছে না ওজিলকে। ক্লাবের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল, পিঠের ব্যথা তাঁকে মাঠে নামতে দিচ্ছিল না। কিন্তু তুরস্কের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওই সময়টায় বেতন না দেওয়াতেই মাঠে নামেননি ৩৩ বছর বয়সী ওজিল।
এমন গুঞ্জন বাতাসে উড়ে বেড়াতে দেখে ভালো লাগেনি ফেনারবাচের। সরাসরি বিবৃতিতে তাই প্রতিবাদ জানিয়েছে তুরস্কের ফুটবলের শীর্ষ স্তর সুপার লিগের ক্লাবটি, ‘ক্লাবের কাছ থেকে বকেয়া দাবি আদায় হয়নি বলে মেসুত ওজিল খেলছেন না—এই খবরের সঙ্গে বাস্তবতার কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা বরাবর যেমন দেখি, এমন ভুয়া খবর ক্লাবের কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে কথা না বলে সম্পূর্ণ এলোমেলোভাবে বানানো হয়। এসব আর সহ্য করা সম্ভব হচ্ছে না। ফেনারবাচ আর্থিকভাবে যত দুরবস্থার মধ্য দিয়েই যাক না কেন, এখন পর্যন্ত সবার বেতনই সময়মতো দেওয়া হয়েছে।’
ফেনারবাচের আর্থিক দুর্দশার কথা এখন আর কারও অজানা নয়। দেনার দায়ে ডুবতে বসেছে ক্লাবটি। করোনা মহামারি ক্লাবের আর্থিক অবস্থা আরও সঙ্গীন করেছে। এ কারণে উয়েফার আর্থিক সংগতির নিয়মও ভাঙতে হয়েছে তাদের। এর মাঝেও তারকা খেলোয়াড় টানায় আগ্রহে ঘাটতি পড়েনি ফেনারবাচের। করোনার মধ্যেই তো ওজিলকে দলে টেনেছে তারা!
ওদিকে তুরস্কে গিয়েও ভুগছেন ওজিল। আর্সেনালে ফর্ম হারিয়ে খেলতে পারছিলেন না। আর নতুন ক্লাবে গিয়ে চোট সমস্যায় প্রথমে কিছুদিন নামতে পারেননি। চোট থেকে ফিরে ফর্ম ফিরে পেতেও সময় লেগেছে। ফেনারবাচের হয়ে প্রথম ১০ ম্যাচে গোল পাননি। তবে এ মৌসুমে আবার আলো ছড়াচ্ছিলেন। চোট পাওয়ার আগে ১৯ ম্যাচে ৭ গোল করেছেন।