২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

ফাইনালের আগে বড় বড় কথা বলতে নেই: সালাহকে অরি

থিয়েরি অঁরি সাবধান করে দিয়েছিলেন সালাহকেফাইল ছবি

ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে সেমিফাইনালে জিতেই মোহাম্মদ সালাহ জানিয়ে দিয়েছিলেন, ফাইনালে কোন প্রতিপক্ষ চান। ম্যানচেস্টার সিটি ও রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যে স্প্যানিশদেরই বেছে নিয়েছিলেন। কারণ, প্রতিশোধ নিতে চান। ২০১৮ ফাইনালে রিয়ালের বিপক্ষে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল। তাই রিয়ালকে হারিয়ে প্রতিশোধ নিতে চান, এটা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেই জানিয়েছিলেন।

ফাইনালে অবশ্য আর ‘প্রতিশোধ’ নেওয়া হয়নি। নিজে ভালো খেলেননি, প্রথমার্ধে হাস্যকরভাবে বল হারিয়েছেন বেশ কয়েকবার। দ্বিতীয়ার্ধে একটু চেষ্টা করেছেন, কিন্তু রিয়াল গোলকিপার থিবো কোর্তোয়ার সঙ্গে পেরে ওঠা হয়নি। আরও একবার রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হারতে হয়েছে সালাহকে। থিয়েরি অরি তাই একটা সুপরামর্শ দিয়েছেন সালাহকে। ফাইনালের আগে কখনো বড় বড় কথা বলতে নেই।

লিভারপুল ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ সালাহ
ছবি: টুইটার

ফাইনালে সুযোগ সৃষ্টিতে লিভারপুল এগিয়ে ছিল, প্রথমার্ধে তো রীতিমতো দাপট দেখিয়েছে তারা। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগানোতে রিয়ালই এগিয়ে ছিল। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র গোল করেছেন। আরও অন্তত তিনবার বেশ ভালো সুযোগ সৃষ্টি করেছে রিয়াল। ওদিকে লিভারপুলের সামনে দেয়াল হয়ে ছিলেন কোর্তোয়া। অরি বলছেন এটাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে, ‘বহুবার বলেছি, জালে বল পাঠানোই এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। রিয়াল মাদ্রিদ লক্ষ্যে একবারই বল রেখেছে এবং সেটাতে গোল করেছে। লক্ষ্যে লিভারপুলের শট অনেকগুলো ছিল, কিন্তু ওদের সামনে থিবো কোর্তোয়া ছিল। সেমিফাইনালে আমি কী বলেছিলাম, মনে আছে? মানুষ ওর প্রাপ্য কৃতিত্ব দেয় না। সে বিশ্বের সেরা গোলকিপারদের একজন এবং এদেরসনের চেয়ে ভালো। আজ রাতে (পরশু) সে সেটা দেখিয়ে দিয়েছে।’

২০১৮ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিলেন সালাহ
ফাইল ছবি

এরপর সালাহকে বলেছেন, আগে নিজের কাজ করে তারপর বড় বড় কথা বলতে, ‘আমি সব সময় বলি, কখনো ফাইনালের আগে কথা বোলো না। আগে রিয়াল মাদ্রিদকে হারাও, তারপর বলো, এটা প্রতিশোধ ছিল। যখন ফাইনালের আগে কথা বলবে, তখন তোমাকে সেটা জিতে দেখাতে হয়।’

বড় কথা বলে সেটা আর করে দেখাতে পারেননি সালাহ। কিন্তু কোর্তোয়া সেটাই করেছেন। ফাইনালের আগে বলেছেন, রিয়াল ফাইনাল খেলে না, জিততে নামে। ম্যাচ জেতার পর তাই গর্ব করে বলতে পেরেছেন, ‘এই ফাইনাল আমাকে জিততেই হতো, কারণ, এটা আমার সম্মানের ব্যাপার ছিল। বিশেষ করে ইংল্যান্ডে আমাকে যথেষ্ট সম্মান দেওয়া হয় না। অনেকেই আমাকে লক্ষ্য করে হেসেছে, কিন্তু এখন আমি একজন বিজয়ী। তাই এটা দারুণ এক প্রত্যাবর্তন।’