কোপাজয়ী আর্জেন্টিনা বনাম ইউরোজয়ী ইতালির ম্যাচ জুনে
গুঞ্জনটা অনেক দিন ধরেই বাতাসে ভাসছিল। ইউরোজয়ী দল আর কোপা আমেরিকা জয়ী দল দুটিকে মুখোমুখি করিয়ে দেওয়ার ভাবনা এবারই যে প্রথম, এমন তো নয়! শেষ পর্যন্ত ভাবনাটা আলোর মুখ দেখছে।
ইউরোপের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা এবং দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবল আজ বুধবার এক ঘোষণায় জানিয়ে দিয়েছে, এবারের কোপা আমেরিকাজয়ী আর্জেন্টিনা ও ইউরোজয়ী ইতালি আগামী বছরের ১ জুন মুখোমুখি হবে। ম্যাচের ভেন্যু—লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়াম।
ম্যাচটার একটা নামও আছে—ফিনালিসমো। ইতালিয়ান এই শব্দের অর্থ? ফাইনাল!
মেসির আর্জেন্টিনা বনাম কিয়েল্লিনি-বোনুচ্চি-ইনসিনিয়েদের ইতালি—ফুটবলপ্রেমীদের জিবে জল এনে দেওয়ার মতো এক লড়াই-ই বটে! ম্যাচটি আয়োজনের ব্যাপারে গত সেপ্টেম্বরেই নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছিল কনমেবল ও উয়েফা।
সিদ্ধান্তটা অবশ্য তখন ফিফার নতুন পরিকল্পনার বিরুদ্ধে একটা অস্ত্র হিসেবেই দেখা হচ্ছিল। বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা চার বছরের বদলে প্রতি দুই বছরে একটি করে ফুটবল বিশ্বকাপ বাজারে আনতে চায়, কিন্তু ইউরোপ ও দক্ষিণ আমেরিকার বেশির ভাগ দেশ এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। উয়েফা ও কনমেবল সেটিতে আপত্তি তো জানিয়েছেই, পাশাপাশি গত সেপ্টেম্বরে এই ম্যাচ আয়োজনের সিদ্ধান্তও জানায়।
সেটি কবে, কোথায় হবে, সে সিদ্ধান্ত এসেছে আজ। ঘোষণার সময়ে উয়েফা সভাপতি আলেক্সান্দার সেফেরিন বলেছেন, ‘উয়েফা ও কনমেবলের মধ্যে একে অন্যের পাশে দাঁড়ানোর ইতিহাস অনেক পুরোনো। যেটা আমরা বিগত বছরগুলোয় আর্তেমিও ফ্রাঞ্চি ট্রফি কিংবা ইন্টারটোটো কাপের সময়ে দেখেছি। গর্বের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আমরা জাতীয় দলগুলো নিয়ে তেমন আরেকটি ট্রফি শুরু করতে যাচ্ছি, যেটি বিশ্বজুড়ে ফুটবলপ্রেমীদের আনন্দ দেবে।’
আপাতত ২০২৮ সাল পর্যন্ত সমঝোতা চুক্তি সই করেছে উয়েফা ও কনমেবল। অর্থাৎ আগামী জুনের ম্যাচের পর কোপা ও ইউরোজয়ী দুই দলের এই আন্ত-মহাদেশীয় টুর্নামেন্ট আরও দুবার আয়োজনের চুক্তি হয়েছে আপাতত।
গত জুলাইয়ে শিরোপা জেতার পথে ইতালি ও আর্জেন্টিনা দুই দলই ফাইনালে হারিয়েছে স্বাগতিক দলকে। বাংলাদেশ সময় ১১ জুলাই ভোরে ব্রাজিলের মারাকানা স্টেডিয়ামে কোপা আমেরিকার ফাইনালে নেইমারের ব্রাজিলকে হারিয়ে আর্জেন্টিনার ২৮ বছরের শিরোপাখরা ঘুচিয়েছেন মেসিরা।
১১ জুলাই দিবাগত রাতেই লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ইউরোর ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে শিরোপার উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে ইতালি।