করোনায় আক্রান্ত হয়ে নেপালি ফুটবলার ঢাকার হাসপাতালে
করোনা পিছু ছাড়ছে না নেপাল জাতীয় ফুটবল দলের। বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজের অনুশীলন শুরু করার আগেই নেপালের পাঁচ খেলোয়াড় করোনায় আক্রান্ত হন। ৫ নভেম্বর ঢাকার উদ্দেশে দেশ ছাড়ার আগে আরও দুজন। স্বাভাবিকভাবে ছিটকে যেতে হয় এই সাত খেলোয়াড়কে। ঢাকায় আসার পরও দলটির জন্য খারাপ খবর। কাল নেপালের আরেক খেলোয়াড়ের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
১৩ নভেম্বর প্রথম ম্যাচ সামনে রেখে গতকাল মঙ্গলবার নিয়মমাফিক করোনা পরীক্ষা করা হয় বাংলাদেশ ও নেপালের সব খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফের। বাংলাদেশের সব খেলোয়াড়ের করোনা নেগেটিভ হলেও নেপালের এক ফুটবলারের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তিনি দলটির অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার রজিন ধিমাল। নেপালের অন্যতম সেরা অভিজ্ঞ এই ডিফেন্ডারের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাফুফে ও নেপাল দলীয় সূত্র।
নেপালের খেলোয়াড়ের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবরটি নিশ্চিত করেছেন বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম, নেপালের একজন খেলোয়াড় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নেপাল দলীয় সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে, সেই খেলোয়াড়ের নাম ধিমাল। নতুন করে এই ডিফেন্ডার করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় এখন একাদশ সাজাতেই হিমশিম খেতে হতে পারে নেপালের কোচ বাল গোপাল মহারজনকে।
করোনায় আক্রান্ত হওয়া আগের সাতজনের একজন ছিলেন দলের নিয়মিত সেন্টারব্যাক দেবেন্দ্র তামাং। কাল যোগ হলেন লেফটব্যাক ধিমাল। ফলে নিয়মিত দুই ডিফেন্ডারের অনুপস্থিতিতে শুক্রবার সিরিজের প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষের অনভিজ্ঞ রক্ষণভাগ পেতে যাচ্ছেন জামাল ভূঁইয়ারা।
ধিমালের জায়গায় যে সুমন এরিয়ালের খেলার কথা রয়েছে, তিনি একেবারেই অনভিজ্ঞ। এ ছাড়া চোটে আছেন নেপালের আরেক নিয়মিত সেন্টারব্যাক অনন্ত তামাংও।
মুজিব বর্ষে আন্তর্জাতিক ফুটবল সিরিজে বাংলাদেশ ও নেপাল প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে ১৩ নভেম্বর। ১৭ নভেম্বর সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ দলে দুঃসংবাদ বলতে মিডফিল্ডার মামুনুল ইসলাম ও ডিফেন্ডার তারিক রায়হানের চোট। এরই মধ্যে এই দুজন ছিটকে গেছেন সিরিজ থেকে।