জাভির লেভা–উচ্ছ্বাস
লিগে বার্সার হয়ে প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ, পরের দুই ম্যাচেই নিজে জ্বলে উঠলেন, দলকে জেতালেন। বার্সেলোনার হয়ে এখন পর্যন্ত রবার্ট লেভানডফস্কির যাত্রাটা এমন। প্রথম ম্যাচে ঘরের মাঠে রায়ো ভায়েকানোর বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে বার্সা। সেদিন ৯০ মিনিট খেলেও গোলের দেখা পাননি এই পোলিশ স্ট্রাইকার। তবে সোসিয়েদাদের মাঠে পরের ম্যাচেই লেভা সেটা পুষিয়ে দিয়ে করেছিলেন জোড়া গোল, গোল করিয়েছেনও একটি। পোলিশ স্ট্রাইকার সেই ছন্দটা ধরে রেখেছেন তৃতীয় ম্যাচেও। রোববার ক্যাম্প ন্যুতে ভায়াদোলিদের বিপক্ষে আবার জোড়া গোল লেভার। পোস্ট আর ক্রসবার বাধা হয়ে না দাঁড়ালে পেতে পারতেন হ্যাটট্রিকও।
এই শতাব্দীতে বার্সেলোনার হয়ে অভিষেকের পর লিগের প্রথম তিন ম্যাচে ৪ গোল করা প্রথম খেলোয়াড় লেভা। লা লিগায় নিজের প্রথম তিন ম্যাচে ৪ গোল ২০১১ সালের পর এই প্রথম, সেবার আতলেতিকোর হয়ে প্রথম তিন ম্যাচে ৪ গোল ছিল রাদামেল ফালকাওয়ের। বার্সার হয়ে দারুণ শুরু করায় এরই মধ্যে অনেকেই পিচিচি ট্রফির লড়াইয়েও দেখছেন লেভাকে।
নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে বায়ার্ন ছেড়ে বার্সায় এসেছেন লেভা। আপাতত সে চ্যালেঞ্জ ভালোভাবেই মোকাবিলা করছেন। আর জাভি হার্নান্দেজের বার্সাকেও জয়ের পথে রেখেছেন। তাই লেভাকে নিয়ে উচ্ছ্বাসের কমতি নেই জাভির কণ্ঠে, ‘লেভা একজন অসাধারণ ফুটবলার। যেভাবে সে দলের সঙ্গে মানিয়ে নিচ্ছে, তা সত্যিই অসাধারণ। বোঝাই যাচ্ছে, সে সহজাত নেতা ও জাত পরিশ্রমী। আমার দলের সবচেয়ে বড় উদাহরণ সে।’
মেসি-পরবর্তী যুগে মাঠে একজন নেতা খুঁজছিল বার্সা। পেদ্রি-গাভিদের মতো তরুণ ফুটবলারদের কারও না কারও ছায়াতেই বেড়ে উঠতে হতো। লেভাতে সেই ছায়া দেখছেন জাভি, ‘লেভানডফস্কি দেখাচ্ছে সে কতটা পরিণত। দলের সব ফুটবলারের সঙ্গে সে কথা বলে। সবচেয়ে বড় বিষয় লেভা বার্সাতে বেশ সুখে আছে।’
ভায়াদোলিদের বিপক্ষে ম্যাচে বার্সার পারফরম্যান্সে উন্নতির ছোঁয়া স্পষ্ট। তবে ৪-০ গোলে জয় পাওয়ার পর তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে রাজি নন বার্সা কোচ, ‘না, এই ম্যাচ নির্ভুল ছিল না। হ্যাঁ, অবশ্যই আমরা ভালো খেলেছি। প্রথম ৪০ মিনিট আমরা দারুণ করেছি। তারপর একটু গা-ছাড়া ভাব চলে এসেছিল। আবার দ্বিতীয়ার্ধে আমরা ভালো খেলেছি।’