'বিগ ব্যাশের চেয়ে বিপিএল সেরা!'
>আয়োজকেরা অনেক দিন ধরেই দাবি করছেন, আইপিএলের পরই সেরা বিপিএল। আজ বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব জানালেন, দাবিটা তাঁদের একার নয়, বিশ্বমানের খেলোয়াড়, আইসিসি এমনকি অন্যান্য বোর্ডও মানছে এটা
বিপিএল আয়োজকদের মুখে আজ চওড়া হাসি। সকাল থেকে টিকিট নিয়ে হাহাকার। টিকিট না পেয়ে ফিরে গেছেন হাজার হাজার দর্শক। অনেক দিন পর মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের গ্যালারি টইটম্বুর। রংপুর রাইডার্স-ঢাকা ডায়নামাইটসের ম্যাচটাও হলো ভীষণ জমজমাট। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের মুখে হাসি তো ফুটবেই।
বিপিএল জমছে না, কদিন ধরে যে কথা বারবার উঠেছে, সেটির মোক্ষম একটা উত্তর দেওয়ার এই তো সময়—এটা ভেবেই কি না ঢাকা-রংপুর ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলন করল বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক শুরুতেই বলে নিলেন, প্রথম চার দিন কেন দর্শকশূন্য গ্যালারি দেখা গেছে, বিপিএল জমিয়ে তুলতে তাঁরা কী কী উদ্যোগ নিচ্ছেন ইত্যাদি।
কিন্তু যখন প্রশ্ন করা হলো, ভুলে ভরা প্রডাকশন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে ‘ট্রল’ হচ্ছে, চারদিক যে সমালোচনা হচ্ছে, এ সব তাঁদের চোখে কি পড়েছে? চোখে পড়লে কী উদ্যোগ তাঁরা নিচ্ছেন ভুল সংশোধনের? ইসমাইল হায়দারের যুক্তি, ‘প্রডাকশনের ভুল নয়, ধারাভাষ্যকররা দু-একটা ভুল করেছেন, আর একটা লেখায় ভুল (খালেদ আহমেদের বয়স ১১৯), এমন বড় কোনো ভুল নয়। ধারাভাষ্যকররা তো মানুষ। এখানে দেশি-বিদেশি যারা ধারাভাষ্য দিচ্ছেন তারা দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন দেশে ধারাভাষ্য দিচ্ছেন। এটা প্রডাকশনের ভুল নয়। ৩৫ ক্যামেরা, ড্রোন, স্পাইডার ক্যাম, আম্পায়ারের হেড ক্যাম, প্রযুক্তির দিক দিয়ে এখানে কোনো ভুল নেই। যে সমালোচনা হয়েছে ধারাভাষ্যকরের শব্দ চয়নে ভুলের কারণে হয়েছে।’
ইসমাইল হায়দারকে জানানো হলো এক-দুটি ভুল নয়, প্রায় প্রতি ম্যাচে একাধিক ভুল, নানা অসংগতি, নিম্নমানের অনুষ্ঠান, নিম্নমানের ধারাভাষ্য শুনতে হচ্ছে দর্শকদের। একজন প্রশ্ন করলেন, এই মানের সম্প্রচার নিয়ে কীভাবে তাঁরা দাবি করেন আইপিএলের পরই বিপিএলের অবস্থান? বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব তীব্র আপত্তি জানালেন এ প্রশ্নে, ‘গ্রাফিকসে যে ভুল আছে স্বীকার করছি, চেষ্টা করব ঠিক করার। আপনার একটা কথায় আপত্তি আছে, আপনি যেটা বললেন, আমরা দাবি করি এটা বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা (টি-টোয়েন্টি) লিগ। শুধু আমরা নই, এখানে যারা বিশ্বসেরা খেলোয়াড়েরা খেলতে আসছে স্মিথ-ওয়ার্নার, ওদের সাক্ষাৎকার কি আপনার চোখে পড়ে না? ওরা দাবি করে গেছে এটা বিগ ব্যাশের চেয়ে সেরা। বিশ্বমানের খেলোয়াড়েরা যদি বলেন, আইসিসি সদস্য ও অন্যান্য বোর্ড থেকেও... দেখতে হবে কত মানুষ দেখছে, আমাদের বলায় কিছু যায় আসে না। এখানে আইসিসি আছে, বিভিন্ন বোর্ড আছে। এখানে আমাদের বলার কিছু নেই। আইপিএলের পর আমরা সেরা, এটা দাবি করি না। সারা বিশ্বে যেটা হচ্ছে…আপনি কী মনে করেন-না করেন সেটা যায় আসে না। সারা বিশ্ব কী মনে করে সেটা গুরুত্বপূর্ণ।’
তবে ইসমাইল হায়দার স্বীকার করছেন, ‘এটাই সবচেয়ে উন্নত প্রডাকশন, সেটা দাবি করি না। হ্যাঁ, মান উন্নয়নের সুযোগ আছে। সামনে নতুন নতুন ধারাভাষ্যকার আসবে।’ বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব এও প্রতিশ্রুতি দিলেন, দর্শক টানতে টি-টোয়েন্টি উপযোগী উইকেট যেন করা হয়, সেটিও বলবেন গ্রাউন্ড কমিটিকে।