২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

'বাংলাদেশের স্পিনাররা সাধারণ মানের নন'

>আফগানিস্তানের হয়ে টেস্টে প্রথম ফিফটি-সেঞ্চুরি দুটিই পেলেন রহমত শাহ। কিন্তু তাঁর একবারের জন্যও মনে হয়নি বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণ সাধারণ মানের।
বাংলাদেশের স্পিনারদের মোটেও সাধারণ মানের মনে হয়নি রহমত শাহের। ছবি: শামসুল হক
বাংলাদেশের স্পিনারদের মোটেও সাধারণ মানের মনে হয়নি রহমত শাহের। ছবি: শামসুল হক

রহমত শাহ সংবাদ সম্মেলনে এসে বিনয়ের সঙ্গে স্বীকার করে নিলেন তিনি ইংরেজিতে কথা বলতে পারেন না। অনুবাদক হিসেবে সব বুঝিয়ে দেবেন দলের ম্যানেজার। বলতে না পারলেও রহমত ইংরেজি মোটামুটি বুঝতে পারেন।

ইংরেজির চেয়ে তিনি আরও ভালো বুঝতে পারেন বলের লাইন-লেংথ। ভালো বোঝেন বলেই আজ ইতিহাস গড়লেন আফগানিস্তানের হয়ে। প্রথম আফগান ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে ফিফটি করেছেন। আজ সেঞ্চুরিও করলেন। এতে রহমতের বড় একটা স্বপ্নই পূরণ হয়েছে, ‘আফগানিস্তানের হয় টেস্টে প্রথম সেঞ্চুরি করব, এটা আমার স্বপ্ন ছিল। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে যখন ৯৮ রানে আউট হলাম খুব হতাশ হয়েছিলাম। আজ আবার সুযোগ পেয়েছি এবং সেঞ্চুরি করেছি। এটা আমার জন্য গর্বের এক মুহূর্ত ছিল। আমিই প্রথম যে টেস্টে দেশের হয়ে প্রথম ফিফটি ও প্রথম সেঞ্চুরি করেছি।’

চট্টগ্রাম টেস্টের আগে যেভাবে স্পিন-স্পিন রব উঠেছিল, প্রথম দিনে অন্তত স্পিন-জুজু দেখা যায়নি উইকেটে। এই উইকেটে আফগান ব্যাটসম্যানদের রান তুলতে খুব একটা অসুবিধা হয়নি। তবে রহমতের মোটেও মনে হয়নি বাংলাদেশের স্পিনাররা খুব সাধারণ মানের বোলিং করেছেন, ‘তারা মোটেও সাধারণ মানের স্পিনার নন। বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণ খুব ভালো। বিশেষ করে সাকিব আল হাসান। নম্বর ওয়ান অলরাউন্ডার। তাইজুল ইসলাম আছে। মেহেদীও ভালো। পেসারদের খেলতে হবে, এ মানসিক প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছিলাম। কিন্তু তারা শুধু স্পিন আক্রমণ নিয়েই খেলছে।’

দিন শেষে ভালো অবস্থানে আছেন—এ দাবি করলেও রহমতের খানিকটা আফসোস এক উইকেট বেশি হারিয়ে ফেলেছেন তাঁরা, ‘কোচ ও অধিনায়কের পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা খেলেছি। তবুও মনে হচ্ছে একটা উইকেট বেশি হারিয়েছি।’