'এমন নয় যে মুশফিক জীবনে প্রথম এ ভুল করেছে!'

এই ভুলের খেসারতই দিয়েছে বাংলাদেশ। ছবি : এএফপি
এই ভুলের খেসারতই দিয়েছে বাংলাদেশ। ছবি : এএফপি
>

গত রাতে মুশফিকের দুটো বড় ভুলের খেসারত দিয়েছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে ফিল্ডিংয়ের সময় মুশফিকের ভুলটা না হলে হয়তো কালকে বিজয়ী দলের জায়গায় বাংলাদেশের নামই লেখা থাকত। কিন্তু এত কিছুর পরেও দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা মুশফিকের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

কাল ওভালে ২০১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ম্যাচ শেষে স্টেডিয়াম থেকে ঘরে ফেরার পথে দর্শকদের মুখে যে নামটি বেশি শোনা গেল—মুশফিক! বাংলাদেশ ম্যাচ হেরে যাওয়ায় বেশির ভাগই কাঠগড়ায় তুলছেন মুশফিকুর রহিমকে। কেউ অবশ্য ঢাল হয়ে দাঁড়াচ্ছেন তাঁর পাশে, ‘ভুল করেছেন, আবার ম্যাচের সবচেয়ে দুর্দান্ত ক্যাচটাও তিনি ধরেছেন!’

একজন খেলোয়াড় ভুল যেমন করেন, আবার তিনিই ভালো করেন—মাশরাফি বিন মুর্তজা তাই আগলে রাখছেন সতীর্থকে। কাল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ হেরেছে যে দুটি বড় ভুলে, দুটিতেই জড়িয়ে মুশফিকের নাম। প্রথমটি, সাকিব আল হাসানের সঙ্গে যখন বড় জুটি গড়ার সম্ভাবনা জেগেছে, তখনই মুশফিকের আত্মহনন! যেখানে রান নেওয়া অসম্ভব, সেখানেই অহেতুক দৌড় দিলেন। মুশফিকের রানআউটের খেসারত বাংলাদেশকে ভালোই দিতে হয়েছে। বাংলাদেশ পারেনি বড় স্কোর গড়তে।

সবচেয়ে বড় ভুলটা হয়েছে ফিল্ডিংয়ে। ২৪৪ রান ‘ডিফেন্ড’ করতে নিয়ন্ত্রিত বোলিংই করছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। সাকিব আল হাসানের করা ১২তম ওভারে মিডঅন থেকে তামিম থ্রো করলেন কেন উইলিয়ামসনকে রানআউট করার লক্ষ্যে। মুশফিক যদি স্টাম্পের পেছনে থেকেই বল ধরতেন, কনুইয়ের স্পর্শে আগেই বেল পড়ত না। আগেই বেল পড়ে যাওয়ায় উইলিয়ামসনের রানআউট হাতছাড়া করেছে বাংলাদেশে! কিউই অধিনায়ক রানআউট হলে ম্যাচের গল্পটা অন্য রকম হতে পারত।

মুশফিকের ভুলকে স্বাভাবিকভাবেই দেখছেন মাশরাফি। মাঠে এমন অনেক ভুল হয়। এসব ভুল স্বাভাবিকভাবে দেখার পরামর্শ অধিনায়কের, ‘মুশফিক খুবই পেশাদার ক্রিকেটার, সে জানে এমন পরিস্থিতি কীভাবে সামলাতে হয়। এমন তো নয় যে মুশফিক জীবনে প্রথম এই ভুল করেছে। ভুল সব খেলোয়াড়ই করে। একটা সহজ ক্যাচও মিস হতে পারে। গত ম্যাচে সৌম্য একটা ক্যাচ হাতছাড়া করেছিল। সৌম্য এর আগে অনেক কঠিন ক্যাচও ধরেছে। আমরা এখানে একে অপরের দোষ দিতে আসিনি। মুশফিক এটা জানে। ওটা হওয়ার পর সে যে (গ্র্যান্ডহোমের) ক্যাচটা ধরেছে, সেটাও টার্নিং পয়েন্ট হতে পারত। ওকে দোষ দেওয়া ঠিক হবে না। মুশফিকের এসব নিয়েও চিন্তা করার কোনো কারণ দেখি না। আগামী ম্যাচে আবার সব ঠিকঠাক হলে সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’