৮৮৯ কমান্ডো দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নিরাপত্তা দেবে পাকিস্তান
তিনটি টি-টোয়েন্টি ও তিনটি ওয়ানডে খেলতে পাকিস্তানে হাজির হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১০ দিনের মধ্যে ছয়টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার জন্য পাকিস্তান সফরে এসেছে দলটি। সে সুবাদে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অনেক ক্রিকেটারই প্রথমবারের মতো পাকিস্তানে এসেছেন। এ নিয়ে টুইটারে পোস্ট করে শোয়েব মালিক ও মোহাম্মদ হাফিজের উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়েছেন ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান নিকোলাস পুরান।
শুধু ক্রিকেটাররাই নন, দেশটির নিরাপত্তাকর্মীরাও ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলোয়াড়দের অভ্যর্থনা জানাতে প্রস্তুত হয়ে আছেন। ৮৮৯ কমান্ডোসহ চার হাজারের বেশি নিরাপত্তাকর্মী উইন্ডিজ ক্রিকেটারদের নিরাপদ রাখায় সদা তৎপর থাকবেন।
করাচিতে এই দুই সিরিজের জন্য কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ১৩ ডিসেম্বর করাচিতে টি-টোয়েন্টি দিয়ে শুরু হবে সিরিজ। ১৬ তারিখ শেষ হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ১৮ থেকে ২২ ডিসেম্বর হবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রেখেছে পাকিস্তান। গতকাল এ ব্যাপারে করাচি পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ইমরান ইয়াকুব মিনহাস এবং নিরাপত্তা ও জরুরি সেবা সহকারী মহাপরিদর্শক মাকসুদ আহমেদ এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমের কাছে।
জানা গেছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের নিরাপত্তার জন্য ৪৬ জন সহকারী সুপারিনটেনডেন্টকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে করাচি পুলিশের ১৩ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থাকবেন। এ ছাড়া ৩১৫টি এনজিও কাজ করবে উইন্ডিজ দলের নিরাপত্তা নিয়ে। থাকবেন ৩ হাজার ৮২২ জন কনস্টেবলও। ৫০ জন নারী পুলিশ, র্যাপিড রেসপন্স ফোর্সের ৫০০ জন এবং ৮৮৯ কমান্ডো থাকবেন উইন্ডিজ দলের নিরাপত্তার দায়িত্বে। তাঁদের সঙ্গে করাচির ট্রাফিক পুলিশ মিলে করাচি স্টেডিয়াম, টিম হোটেল, অনুশীলন মাঠ, পার্কিং, যাতায়াতের পথের নিরাপত্তা দেবে।
এ ছাড়া হোটেল ও স্টেডিয়ামের আশপাশে সব সময় সাদাপোশাকের নিরাপত্তা বাহিনীর লোক থাকবেন। জরুরি অবস্থায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বিশেষ অস্ত্র ও সৈন্য দলও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
একটা ক্রিকেট দলের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে এমন কড়াকড়ি পাকিস্তানে এখন পরিচিত দৃশ্যই। ২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কা দলের বাসে সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানে প্রায় বছর দশেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বলতে গেলে আয়োজনই করা যায়নি।
এরপর দলগুলো আস্তে আস্তে যাওয়া শুরু করেছিল, তখন প্রতিটি দলের জন্যই এমন নিরাপত্তাব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কিন্তু ঝামেলা আবার বেড়েছে সেপ্টেম্বরে নিউজিল্যান্ড পাকিস্তান সফরে গিয়েও নিরাপত্তাশঙ্কাকে কারণ দেখিয়ে কোনো ম্যাচ না খেলে ফিরে যাওয়ায়। এরপর ইংল্যান্ডও নিরাপত্তাকেই শঙ্কা হিসেবে দেখিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ঠিক আগে নির্ধারিত পাকিস্তান সফর বাতিল করে।
এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর ঠিকভাবে হওয়া পাকিস্তানের মাটিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়মিত রাখার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।