৬ মাসে পাকিস্তান বোর্ডের ৩৯ লাখ রুপি খরচ রমিজের
রমিজ রাজা অনেক চেষ্টা করেছিলেন খরচের অঙ্কটা না জানাতে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারলেন না। পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান হিসেবে গত ছয় মাসে রমিজের খরচের অঙ্কটা আজ প্রকাশিত হয়েছে পিসিবির ওয়েবসাইটে।
অঙ্কটা অবশ্য একেবারে চোখ ধাঁধিয়ে দেওয়ার মতোও নয়। পাকিস্তানের ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকেট পাকিস্তান জানাচ্ছে, গত ছয় মাসে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে পিসিবির তহবিল থেকে রমিজের খরচ ৩৯ লাখ রুপির কিছু বেশি। বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৭ লাখ ৫০ টাকার কিছু বেশি।
পিসিবির সাবেক চেয়ারম্যান এহসান মানি এই ধারাটা শুরু করেছিলেন। রমিজ রাজার পূর্বসূরি মানি নিয়ম তৈরি করে দিয়েছিলেন, বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ প্রত্যেক সদস্য বোর্ডের তহবিল থেকে কোন খাতে কত খরচ করছেন, সেটি নিয়মিত তুলে ধরা হবে বোর্ডের ওয়েবসাইটে। গত সেপ্টেম্বরে পিসিবির চেয়ারম্যানের পদে যাওয়ার পর রমিজের প্রথম মাসের খরচও ওয়েবসাইটে তুলে ধরা হয়েছিল।
কিন্তু গত ২৮ এপ্রিল পাকিস্তানের এক্সপ্রেস পত্রিকায় খবর আসে, রমিজ রাজা আর খরচের বিবরণী দিতে চাইছেন না। এরপর এক সাক্ষাৎকারে এ নিয়ে হতাশা জানিয়েছেন মানি।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানায়, অক্টোবর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত খরচের হিসাব দেননি রমিজ। খরচের বিবরণী না দিতে রমিজ বোর্ডে নির্দেশনা জারি করেছেন বলেও বোর্ডের এক কর্মকর্তাকে সূত্র হিসেবে উল্লেখ করেছে জিও নিউজ।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, খরচের বিবরণী প্রকাশ করবেন কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা বোর্ড চেয়ারম্যানের আছে। অবশেষে ছয় মাস পর খরচের বিবৃতি দিয়েছেন রমিজ। যদিও পিসিবির বিবৃতি জানাচ্ছে, খরচের এই হিসাব নিরীক্ষিত নয়।
তা কোন খাতে কত খরচ হলো রমিজের? ভ্রমণের খাতে দেখা যাচ্ছে, দেশের ভেতরে ভ্রমণের ক্ষেত্রেই প্রায় ২৭ লাখ পাকিস্তানি রুপি খরচ হয়েছে রমিজের। বিদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে পিসিবির তহবিল থেকে রমিজ খরচ করেছেন ২ লাখ ৩৯ হাজার রুপি!
আবার পৌনে ৬ লাখ রুপি খরচ হয়েছে তাঁর গাড়ির পেছনে ভাতা হিসেবে। সাবেক পাকিস্তান অধিনায়ক রমিজের মুঠোফোন, নিরাপত্তা ও চিকিৎসার পেছনে খরচ হয়েছে ৪ লাখ ১৫ হাজার রুপি।
পিসিবির বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, এখন থেকে প্রতি তিন মাস অন্তর চেয়ারম্যান ও বোর্ডের কর্তাব্যক্তিদের খরচের বিবরণী প্রকাশ করা হবে।