- বাংলাদেশ একাদশ
- অস্ট্রেলিয়া একাদশে চার স্পিনার
- ওপেনিংয়ে মেহেদী
- তিন ওভার, তিন স্পিনার
- পাওয়ার প্লে-তে ৪৬, এলিসের ২ ওভারে ৫
- ৫১ বল পর বাউন্ডারি!
- শেষে খেই হারিয়ে ১২২ রানে থামল বাংলাদেশ
- রাতেই ফিরে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া
- সাইফউদ্দিনের জোড়া উইকেট
- সাকিবের ১০০তম উইকেট
- রেকর্ড ৬২ রানে অল-আউট অস্ট্রেলিয়া!
সিরিজের পঞ্চম টি-টোয়েন্টিতে নামছে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া
প্রথম তিন ম্যাচ জিতেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টির সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচ আজ। সরাসরি আপডেট পেতে থাকুন প্রথম আলোর সঙ্গে।
বাংলাদেশ একাদশ
চার ম্যাচ অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে খেলা বাংলাদেশ অবশেষে এনেছে দুটি পরিবর্তন। শামীম হোসেনের জায়গায় দলে এসেছেন মোসাদ্দেক হোসেন। শরীফুল ইসলামের বদলে খেলবেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ নাঈম, সাকিব আল হাসান, নুরুল হাসান (উইকেটকিপার), আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন, মেহেদী হাসান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান, নাসুম আহমেদ
অস্ট্রেলিয়া একাদশে চার স্পিনার
আজও দুটি পরিবর্তন অস্ট্রেলিয়া একাদশে। দলে এসেছেন অ্যাডাম জাম্পা ও নাথান এলিস। বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে অ্যান্ড্রু টাই ও জশ হ্যাজলউডকে। তিন স্পিনার খেলানোর ইঙ্গিত আগেই দিয়ে রেখেছিলেন অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড। তবে অ্যাশটন টার্নারসহ আজ একাদশে আছেন চারজন স্পিনার।
ম্যাথু ওয়েড (অধিনায়ক, উইকেটকিপার), বেন ম্যাকডারমট, মিচেল মার্শ, ময়জেস হেনরিকেস, অ্যালেক্স ক্যারি, ড্যান ক্রিস্টিয়ান, অ্যাশটন টার্নার, অ্যাশটন অ্যাগার, নাথান এলিস, মিচেল সোয়েপসন, অ্যাডাম জাম্পা
সাকিব এবং ট্রফি
ওপেনিংয়ে মেহেদী
ধুঁকতে থাকা সৌম্য সরকার একাদশে আছেন ঠিকই, তবে শেষ ম্যাচে ওপেন করতে আসেননি। মোহাম্মদ নাঈমের সঙ্গে এসেছেন মেহেদী হাসান। মুখোমুখি হওয়া দ্বিতীয় বলে অ্যাশটন টার্নারকে সুইপ করে চারও মেরেছেন তিনি। প্রথম ওভারে বাংলাদেশ তুলেছে ৮ রান।
অ্যাগারের প্রথম ওভারে ১১
টার্নের দেখা মিলেছে প্রথম থেকেই, তবে অ্যাশটন অ্যাগারের স্লটে পাওয়া বলে স্লগ সুইপে কাউ কর্নার দিয়ে ছয় মেরেছেন মোহাম্মদ নাঈম। দ্বিতীয় ওভারে উঠেছে ১১ রান।
তিন ওভার, তিন স্পিনার
টার্নার, অ্যাগারের পর তৃতীয় ওভার করতে এসেছেন অ্যাডাম জাম্পা। তিনি দিয়েছেন ১৪ রান। ৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৩৩। এরই মাঝে সিরিজের সর্বোচ্চ ওপেনিং রানের জুটি হয়ে গেছে তাই।
অবশ্য প্রথম দুই ওভারের দুই স্পিনারই ফিরিয়ে এনেছে একটা স্মৃতি। এ নিয়ে মাত্র দ্বিতীয়বার দুই প্রান্তে দুই স্পিনারকে দিয়ে বোলিং শুরু করল অস্ট্রেলিয়া। এর আগে ২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে বোলিং ওপেন করেছিলেন ব্র্যাড হজ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। সে ম্যাচটিও ছিল মিরপুরেই।
ব্যাটের সঙ্গে উইকেটও ছুটে গেল মেহেদীর
টার্নার এ ওভারে লাইন খুঁজে পেতেই হিমশিম খাচ্ছিলেন, করেছেন তিনটি ওয়াইড। তবে ক্রিজে থেমে আসা বলেই পেলেন সাফল্য। আগেভাগেই শট খেলে ফেলেছিলেন মেহেদী, ব্যাটও ছুটে গিয়েছিল হাত থেকে। তবে এর আগেই উঠেছে ক্যাচ। মিড-অনে শুধু দাঁড়িয়ে থেকেই ক্যাচটা নিয়েছেন অ্যাগার, ৫ম ওভারে বাংলাদেশ প্রথম উইকেট হারিয়েছে দলীয় ৪২ রানে। মেহেদী ফিরেছেন ১২ বলে ১৩ রান করে।
পাওয়ার প্লে-তে ৪৬, এলিসের ২ ওভারে ৫
দলে চারজন স্পিনার, তবে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কিপটে বোলিং করেছেন পেসার নাথান এলিসই। পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভারে বাংলাদেশ তুলেছে ১ উইকেটে ৪৬ রান, কিন্তু এর মাঝে এলিসের ২ ওভারে এসেছে মাত্র ৫ রান। স্লোয়ার-কাটারের দারুন ব্যবহার করেছেন এখন পর্যন্ত এলিস, অভিষেকেই যিনি করেছিলেন হ্যাটট্রিক।
বাংলাদেশের ফিফটি
৭.২ ওভারে ফিফটি পূর্ণ হয়েছে বাংলাদেশের। এলিসের করা পাওয়ার প্লে-র শেষ ওভার থেকেই কমেছে রানের গতি। শেষ ৩ ওভারে উঠেছে ১৩ রান, এর মাঝে ৭ রানই এসেছে আগের ম্যাচের সেরা মিচেল সোয়েপসনের করা প্রথম ওভারে।
নাঈমের 'মরিবার হল সাধ'
পেসের বৈচিত্র যেন সহ্যই করতে পারলেন না নাঈম। ড্যান ক্রিস্টিয়ানকে করতে গেলেন রিভার্স সুইপ, তবে কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না সে শটে। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ধরা পড়ার আগে নাঈম করেছেন সমানসংখ্যক বলে ২৩ রান, যিনি আগের ৪ ইনিংসে করেছিলেন ৩০, ৯, ১ ও ২৮ রান। ৫৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।
ভুগতে থাকা সাকিবকে ফেরালেন জাম্পা
সাকিব ভুগছিলেন শুরু থেকেই। উইকেটের গতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার আগেই ফিরতে হলো তাঁকে। অ্যাডাম জাম্পার ফুললেংথের বলটা ফ্লিক করতে গিয়ে মিস করেছেন সাকিব, আম্পার তানভীর আহমেদের সিদ্ধান্ত রিভিউ করারও প্রয়োজন বোধ করেননি তিনি। সাকিব ফিরেছেন ২০ বলে ১১ রান করে, ৬০ রানে ৩য় উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। ইনিংসে শেষ হয়েছে অর্ধেক ওভার।
৫১ বল পর বাউন্ডারি!
অ্যাডাম জাম্পাকে স্লগ করে ছয় মেরেছেন মাহমুদউল্লাহ। ৫১ বল পর অবশেষে আরেকটি বাউন্ডারির দেখা পেল বাংলাদেশ! এর আগে জাম্পাকেই একটা চার মেরেছিলেন মোহাম্মদ নাঈম, সেটি তৃতীয় ওভারে। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ইনিংসে হয়েছে মাত্র তিনটি বাউন্ডারি। ১২ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৩ উইকেটে ৭৫ রান।
আলগা শটে ফিরলেন মাহমুদউল্লাহ
এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ভালো টাইমিং হচ্ছিল তাঁরই। তবে আলগা শটে ফিরলেন মাহমুদউল্লাহ। অ্যাশটন অ্যাগারের বলের বাউন্স বুঝতেই পারেননি, ঘুরিয়ে খেলতে গিয়ে তুলেছেন ফিরতি ক্যাচ। ১৪ বলে ১৯ রান করে ফিরেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ৮৪ রানে চতুর্থ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।
ছন্দ পাওয়ার আভাস দিয়েই ফিরলেন সৌম্য
শুরুতে ধুঁকতে থাকা সৌম্য ছন্দ ফিরে পাওয়ার আভাস দিয়েছিলেন, তবে টিকতে পারলেন না বেশীক্ষণ। ড্যান ক্রিস্টিয়ানের দুই স্লোয়ারে রান বের করতে না পারার পর দারুণ এক লেট কাটে চার মেরেছিলেন। তবে এরপরের বলে জায়গায় পেয়েও সুবিধা করতে পারেননি কমিয়ে আনা গতিতে। সৌম্য ক্যাচ দিয়েছেন লং-অফে। এর আগে অ্যাগারের বলে স্লগ করে একটা ছয় মেরেছিলেন তিনি। সৌম্য আউট হয়েছেন ১৮ বলে ১৬ রান করে। সিরিজে এটিই সৌম্যর সর্বোচ্চ স্কোর, এর আগের চার ইনিংসে করেছিলেন ২, ০, ২ ও ৮ রান। ৯৬ রানে ৫ম উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।
আফিফের ছয়
নেমেই ইনসাইড-আউটে একটা ছয় মেরেছেন ছন্দে থাকা আফিফ হোসেন। শেষ ৪ ওভার বাকী থাকতে বাংলাদেশের স্কোর ৫ উইকেটে ১০৫ রান।
শেষে এসে খেই হারাচ্ছে বাংলাদেশ
১৭তম ওভারে অ্যাডাম জাম্পা দিয়েছেন মাত্র ১ রান। এরপর এলিস ১৮তম ওভারে প্রথম ৩ বলে ৪ রান দেওয়ার পর নিলেন নুরুলের উইকেট। পুল করতে গিয়ে স্টাম্পে বল ডেকে এনেছেন নুরুল।
শেষে খেই হারিয়ে ১২২ রানে থামল বাংলাদেশ
১৪ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ৯১ রান ছিল বাংলাদেশের। সে সময় ১৪০ স্কোরও মনে হচ্ছিল সম্ভব ভালোভাবেই। তবে এরপর থেকেই খেই হারিয়েছে স্বাগতিকরা। শেষ ৫ ওভারে তাঁরা তুলেছে মাত্র ২০ রান। এ সময়ে এসেছে একটিই বাউন্ডারি। বাংলাদেশ থেমেছে ১২২ রানেই, ৮ উইকেট হারিয়েছে তাঁরা। তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ১২৭ রানের সম্বল নিয়ে জিতেছিল বাংলাদেশ, তবে এবার চ্যালেঞ্জটা আরও বড়।
১৫তম ওভারেই ফিরে গেছেন ওপেনিং ছেড়ে নীচে নামা সৌম্য। সিরিজে নিজের সর্বোচ্চ স্কোর করেছেন, তবে সেটি ১৬। নেমেই ছয় মারা আফিফ হতাশ হয়েছেন নন-স্ট্রাইক প্রান্তে থাকতে থাকতে। নুরুল নেমে সুবিধা করতে পারেননি, ১৩ বলে করেছেন ৮ রান। মোসাদ্দেক প্রথম রান করেছেন ৭ম বলে গিয়ে।
শেষ ওভারে এসে এলিসকে স্কুপ করতে গিয়ে ক্যাচ তুলেছেন আফিফ, ১১ বলে ১০ রান করে। কোনো বল না খেলেই রান-আউট হয়েছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
স্লোয়ারের দারুণ ব্যবহার করে অস্ট্রেলিয়ার সেরা বোলার নাথান এলিস, ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। দারুণ করেছেন ড্যান ক্রিস্টিয়ানও, ১৭ রান দিয়ে তিনিও ২ উইকেট নিয়েছেন তাঁর ৪ ওভারে।
ওপেনিংয়ে ক্রিস্টিয়ান
সৌম্য সরকারের বদলে বাংলাদেশ ওপেনিংয়ে পাঠিয়েছিল মেহেদী হাসানকে। সেই মেহেদী বোলিং-ও ওপেন করতে এলেন। তবে তাঁর সামনে ড্যান ক্রিস্টিয়ান। বেন ম্যাকডারমটের বদলে ম্যাথু ওয়েডের সঙ্গে এসেছেন আগের ম্যাচে সাকিবের এক ওভারে পাঁচ ছক্কায় ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়া ক্রিস্টিয়ান।
টিকলেন না ক্রিস্টিয়ান
ওপেনিংয়ে এসে তেমন কিছু করতে পারলেন না ক্রিস্টিয়ান। নাসুম আহমেদের আর্ম বলটায় বড় শটের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে তাঁর, হয়েছেন বোল্ড। নিজের প্রথম বলেই বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু দিলেন নাসুম। ৩ রানে প্রথম উইকেট হারাল বাংলাদেশ।
মার্শকেও ফেরালেন নাসুম
পুরো সিরিজের অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংয়ে আশা ছিলেন মিচেল মার্শ। তবে আজ শুরু থেকেই ধুঁকছিলেন। এবার নাসুমের বলে হয়ে গেলেন এলবিডব্লুই। অফস্টাম্পের দিকে সরে গিয়ে সুইপ করতে গিয়ে মিস করেছেন মার্শ। আম্পায়ার তানভীর আহমেদের সিদ্ধান্ত রিভিউ করেছিলেন, তবে লাভ হয়নি। ১৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
পাওয়ার প্লে-তে অস্ট্রেলিয়ার ৩১
নিজের প্রথম দুই ওভারে দুই উইকেট নিয়েছেন নাসুম আহমেদ। অস্ট্রেলিয়া অবশ্য পাওয়ার প্লে-তে হারিয়েছে ওই দুই উইকেটই। ম্যাথু ওয়েড শেকল ভাঙার চেষ্টা করছেন। প্রথম ৬ ওভারে অস্ট্রেলিয়া তুলেছে ৩১ রান। পাওয়ার প্লে-তে বাংলাদেশ তুলেছিল ৪৬ রান।
উইকেট নম্বর ৯৯
বোলিংয়ে এলেন। ফেরালেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ককে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৯৯ উইকেট হয়ে গেল সাকিবের। জায়গা বানিয়ে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন ম্যাথু ওয়েড, ২২ বলে ২২ রান করে। ৩৮ রান তুলতেই তৃতীয় উইকেট হারাল অস্ট্রেলিয়া।
প্রথম ওভারে উইকেট মাহমুদউল্লাহরও
প্রথম ওভারে উইকেট নিয়েছিলেন নাসুম, নিয়েছেন সাকিব, এবার নিলেন মাহমুদউল্লাহও। ক্রিজে থেমে যাওয়া বলে আগেভাগেই শট খেলে ফেলা বেন ম্যাকডারমট ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ককে। ৯ম ওভারে ৪৮ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলল অস্ট্রেলিয়া।
রাতেই ফিরে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া
২৯ জুলাই বিমানবন্দর থেকে ইমিগ্রেশন ছাড়াই সরাসরি হোটেলে উঠেছিল অস্ট্রেলিয়া। তিনদিনের কোয়ারেন্টিন শেষে যোগ দিয়েছিল অনুশীলনে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বাড়তি সতর্কতায় ৭ দিনের ব্যবধানেই তাঁরা খেলছে পঞ্চম ম্যাচ। আজ সিরিজ শেষেই দেশে ফিরবে তাঁরা।
মাঠ থেকেই সরাসরি বিমানবন্দরে যাবে ম্যাথু ওয়েডের দল। রাত ১.০০টায় ফ্লাইট তাঁদের।
আগের ম্যাচে জিতলেও বাংলাদেশ সফর থেকে আরেকটি জয় নিয়ে তাঁদের ফেরাটা ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠছে অস্ট্রেলিয়ার।
সাইফউদ্দিনের জোড়া উইকেট
আরেকবার ব্যাটিংয়ে ডুবছে অস্ট্রেলিয়া। সাইফউদ্দিনের স্লোয়ারে ধোঁকা খেয়েছেন অ্যালেক্স ক্যারি। নিজের দ্বিতীয় ওভারে প্রথম উইকেট পেয়েছেন সিরিজে প্রথমবার খেলতে নামা সাইফউদ্দিন। দ্বিতীয়টিও অবশ্য পেয়ে গেছেন এ ওভারেই। আরেকটি স্লোয়ারে থার্ডম্যানে খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে সহজ ক্যাচ দিয়েছেন ময়েজেস হেনরিকেস। ১১তম ওভারে ৫৩ রানে ৫ম উইকেট হারানোর পর অস্ট্রেলিয়া ৬ষ্ঠ উইকেট হারিয়েছে ৫৪ রানে। জয় থেকে এখনও ৬৯ রান দূরে তারা।
সাকিবের ১০০তম উইকেট
৯৯ থেকে ১০০ উইকেটে যেতে বেশীক্ষণ সময় নিলেন না সাকিব আল হাসান। অফস্টাম্পের বাইরে পড়া বলটা বেরিয়ে যাচ্ছিল টার্ন করে। সেটিতেই ব্যাট চালিয়েছিলেন অ্যাশটন টার্নার। কাভারে মাহমুদউল্লাহর হাতে ধরা পড়েছেন তিনি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের এটি শততম উইকেট।
বিশ্বে মাত্র দ্বিতীয় বোলার হিসেবে এ কীর্তি হল সাকিবের। আপাতত সাকিবের ওপরে আছেন শুধু লাসিথ মালিঙ্গা। শ্রীলঙ্কা পেসারের টি-টোয়েন্টি উইকেট ১০৭টি।
সময় দিচ্ছে না অস্ট্রেলিয়া
রাত ১টায় ফ্লাইট, তবে অস্ট্রেলিয়া যেন বিমানবন্দরে যেতে চাচ্ছে আগেভাগেই। শেষ ১০ রানে তাঁরা হারিয়েছে ৫ উইকেট। সর্বশেষ সাইফউদ্দিনের নাকল বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন অ্যাশটন অ্যাগার, ৫৮ রানেই ৮ম উইকেট হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
রইল বাকী এক!
সাকিব নিয়েছেন আরেকটি। বোল্ড হয়েছেন নাথান এলিস। নিজেদের সর্বনিম্ন স্কোরের সামনে অস্ট্রেলিয়া।
রেকর্ড ৬২ রানে অল-আউট অস্ট্রেলিয়া!
একটু চোখ ঘষে নিন। এরপর যা দেখবেন, আদতেই তা ঘটেছে!
৩, ৪, ৩, ৩, ১, ২, ১, ১*, ৪- ম্যাথু ওয়েডের ২২ ও বেন ম্যাকডারমটের ১৭ রান বাদ দিলে অস্ট্রেলিয়ার বাকী ৯ ব্যাটসম্যানের স্কোর। সর্বশেষটি অ্যাডাম জাম্পার। সাকিবের বলে যিনি ধরা পড়েছেন কাভারে, অস্ট্রেলিয়ার শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়েছেন তিনি।
টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সর্বনিম্ন ৬২ রানে অল-আউট হয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া। ১৪ রানে শেষ ৭ উইকেট হারিয়েছে তাঁরা। এর আগে ২০০৫ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সাউদাম্পটনে ৭৯ রানে অল-আউট হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া, টি-টোয়েন্টিতে এতদিন সেটিই ছিল তাদের সর্বনিম্ন স্কোর।
১২৩ রান তাড়ায় ১৩.৪ ওভারেই গুটিয়ে গেছে সফরকারীরা। বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে কোনো প্রতিপক্ষেরও এটি সর্বনিম্ন স্কোর।
৯ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন সাকিব, ১২ রানে ৩টি নিয়েছেন সাইফউদ্দিন। নাসুম ২ উইকেট নিতে খরচ করেছেন ৮ রান।
ম্যাচের মাঝপথে মনে হচ্ছিল, কিছু রান কম হয়ে গেছে বাংলাদেশের। তবে আবারও যথেষ্টর চেয়ে বেশী কিছু হল সেটি। এ সিরিজেই সর্বনিম্ন রানের সম্বল নিয়ে জেতার রেকর্ড নতুন করে লিখেছিল বাংলাদেশ। সিরিজের শেষ ম্যাচে এসে আবারও বদলে গেল সে রেকর্ডটা।