১৯৬, ৬৭, ৫৫, ৫৭, ১১৪, ১০৫*, ৬৬, ১০৩, ৭৭...বাবরনামার ৯ অধ্যায়
মুলতানে দ্বিতীয় ওয়ানডেও জিতে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে পাকিস্তান। কাল দ্বিতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১২০ রানে হারায় বাবর আজমের দল।
এ ম্যাচেও শতকের সুবাস পাচ্ছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক। ৯৩ বলে ৭৭ রানে করে আউট হন। তাতে টানা চার ওয়ানডেতে শতকের রেকর্ড ছুঁতে না পারলেও অন্য একটি রেকর্ড গড়েছেন বাবর।
ছেলেদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিন সংস্করণ মিলিয়ে টানা নয় ইনিংসে ন্যূনতম অর্ধশতক তুলে নিলেন বাবর। ছেলেদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টানা ইনিংসে ন্যূনতম অর্ধশতক তুলে নেওয়ার রেকর্ড এটি। মেয়েদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সব সংস্করণ মিলিয়ে টানা নয় ইনিংসে ন্যূনতম অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন সদ্যই অবসর নেওয়া ভারতের সাবেক অধিনায়ক মিতালি রাজ।
গত মার্চে করাচিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্টে ১৯৬ রানের ইনিংস দিয়ে দারুণ এই অভিযাত্রা শুরু করেন বাবর। এরপর খেলেছেন যথাক্রমে ৬৭ (টেস্ট), ৫৫ (টেস্ট), ৫৭ (ওয়ানডে), ১১৪ (ওয়ানডে), ১০৫* (ওয়ানডে), ৬৬ (টি-টোয়েন্টি), ১০৩ (ওয়ানডে) ও ৭৭ রানের ইনিংস।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে ঘরের মাঠে ১৯৬ রানের ইনিংস খেলেন বাবর। এরপর লাহোরে তৃতীয় ও শেষ টেস্টে দুই ইনিংসে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৬৭ ও ৫৫। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে প্রথম ম্যাচে ৫৭ রান করলেও পরের দুই ম্যাচে তুলে নেন টানা দুই শতক।
অ্যারন ফিঞ্চদের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টি-টোয়েন্টিতেও হেসেছে বাবরের ব্যাট। ৬৬ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে শতকের পর কাল করলেন ৭৭। সত্যিই, অবিশ্বাস্য ফর্মেই আছেন বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এর আগে টানা আট ইনিংসে ন্যূনতম অর্ধশতক তুলে নেওয়ার রেকর্ডটি ছিল বাবরেরই পূর্বসূরি জাভেদ মিয়াঁদাদের দখলে। সব কটিই অবশ্য ওয়ানডে সংস্করণে। ১৯৮৭ সালে নাগপুরে ভারতের বিপক্ষে ৭৮ রানের ইনিংস দিয়ে দুর্দান্ত সেই অভিযাত্রা শুরু করেছিলেন পাকিস্তান ক্রিকেটের ‘বড়ে মিয়া’।
এরপর জামশেদপুরে ভারতেরই বিপক্ষে অপরাজিত ৭৮ এবং তারপর অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড এবং ভারতের বিপক্ষে খেলেছেন যথাক্রমে ৭৪*, ৬০, ৫২*, ১১৩, ৭১* ও ৬৮ রানের ইনিংস।
১৯৮৭ সালের ২৫ মে বার্মিংহামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে ৬৮ রানের ইনিংসটি খেলেন জাভেদ। পরের ম্যাচটি ছিল ম্যানচেস্টার টেস্ট। সে ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এক ইনিংস ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে ২১ রানে আউট হন পাকিস্তানি কিংবদন্তি। এতে তাঁর টানা ইনিংসে ন্যূনতম অর্ধশতক তুলে নেওয়ার ধারায় ছেদ পড়ে। কিন্তু ওয়ানডে সংস্করণে ফিরেই শতক তুলে নেন।
সে বছরই বিশ্বকাপে ৮ অক্টোবর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হায়দরাবাদে ১০৩ রান করেন জাভেদ। অর্থাৎ টানা ৯ ওয়ানডেতে ন্যূনতম অর্ধশতক তুলে নেওয়ার রেকর্ডটি এখনো তাঁর দখলে।
রাওয়ালপিন্ডিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পরের ওয়ানডেতে ২৩ রানে আউট হওয়ায় এই সংস্করণে জাভেদ মিয়াঁদাদের টানা অর্ধশতক তুলে নেওয়ার ধারা থেমে যায়। কালকের ম্যাচসহ ওয়ানডেতে এ নিয়ে টানা ছয় ইনিংসে ন্যূনতম অর্ধশতকের দেখা পেলেন বাবর।