১৪৮ নয়, জিততে হলে ১৭০ করতে হবে বাংলাদেশকে
দ্বিতীয় ম্যাচে ভাগ্য সঙ্গী পেয়েছিলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। টসে জয়ী হয়ে তাই বোলিং বেছে নিয়েছিলেন। বৃষ্টিভেজা কন্ডিশনে তিন পেসারকে সর্বোচ্চ সুবিধা দিতে চেয়েছেন। সে সঙ্গে অনুচ্চারে আরেকটা কারণেও ব্যাটিং পরে করতে চেয়েছিলেন। পরিস্থিতি যেমন, তাতে যেকোনো সময় বৃষ্টি নামতোই। তাই বৃষ্টি আইনকে পক্ষে পেতে পরে ব্যাটিংয়ের সুবিধা নিতে চেয়েছিলেন অধিনায়ক।
মাহমুদউল্লাহ যেমন চেয়েছেন তাঁর পেসাররা ঠিক তেমন করতে পারেননি। তিন পেসারই একটি করে উইকেট পেয়েছেন। একমাত্র শরিফুলই কিপটে বোলিং করেছেন। অবশ্য ফিল্ডারদের বদান্যতাও বোলারদের হতাশামাখা পারফরম্যান্সে ভূমিকা রেখেছে। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ নিজেই সহজ এক ক্যাচ ফেলেছেন। বৃষ্টি আইনকে নিজেদের পক্ষে পাওয়ার পরিকল্পনাটাও কাজে লাগেনি!
দ্বিতীয়বারের মতো বৃষ্টি বিরতি চলছে নেপিয়ারে। বৃষ্টি থামিয়ে দেওয়ার আগে ৫ উইকেটে ১৭৩ রান করেছে নিউজিল্যান্ড। বৃষ্টির কারণে ওভার কমে যাওয়ায় নিউজিল্যান্ড আর ব্যাটিং করার সুযোগ পায়নি। প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে সিরিজ হার আটকাতে ১৬ ওভারে ১৪৮ রান করতে হবে বাংলাদেশকে। কিন্তু ভুল শুধরে লক্ষ্য বদলানো হয়েছে। বাংলাদেশকে ১৭০ রান করতে হবে আজ।
পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেটে ৫৫ রান তুলে ফেলেছিল নিউজিল্যান্ড। এর পর রান বন্যায় একটু বাধ পড়েছিল শরিফুল ইসলামের সুবাদে। প্রথমবার বৃষ্টি যখন খেলা থামিয়ে দিয়েছিল, তখন দুই দলই ম্যাচে ছিল। ১২.২ ওভারে নিউজিল্যান্ডের রান ছিল ৪ উইকেটে ১০২। বৃষ্টি বিরতি শেষে ফেরার পরও বাংলাদেশই এগিয়ে গিয়েছিল কিছুক্ষণের জন্য। প্রথম ৮ বলে মাত্র ১১ রান দিয়ে মার্ক চ্যাপম্যানের উইকেটও তুলে নেয় সফরকারীরা। এ পর্যায়ে বৃষ্টি এলে বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশই বাড়তি সুবিধা পেত।
কিন্তু ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে সেঞ্চুরি করা ড্যারিল মিচেল নামার পরই চেহারা বদলে যায় ম্যাচের। অন্য প্রান্তে গ্লেন ফিলিপস এতক্ষণ একাই আগ্রাসন দেখাচ্ছিলেন। এবার অন্যপ্রান্তেও সঙ্গী পেলেন। মাত্র ২৩ বলে জুটিতে ফিফটি পার করে ফেলেছেন দুজন। বৃষ্টি নামার আগে ২৭ বলে ৬২ রান এনে দিয়েছেন দুজন। তাঁদের এমন ঝড় ম্যাচের রূপই বদলে দিয়েছে।
১৭.৫ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৩ রান করলেও বৃষ্টি ইনিংসের দৈর্ঘ্য কমিয়ে এনেছে। প্রথমে বলা হয়েছিল নিউজিল্যান্ডের রানরেট ৯.৭০ হলেও বাংলাদেশ ওভারপ্রতি ৯.২৫ রান করলেই চলছে। যদিও প্রতিপক্ষের ৫ উইকেট রয়ে যাওয়ার পরও লক্ষ্য এত কম হবে কি না, এ নিয়ে বেশ দ্বিধার জন্ম হয়েছিল।
বাংলাদেশ ১৪৮ রানের লক্ষ্যেই খেলতে নেমেছিল। ১ ওভার ৩ বলে ১২ রান তুলে ফেলছিল দল। এ অবস্থায় খেলা থামানো হয়। ম্যাচ রেফারি নতুন লক্ষ্য সবাইকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানোর পরই আবার খেলা শুরু হয়েছে।