হার্দিক পান্ডিয়াকে ব্যবহার ভালো করার পরামর্শ সমর্থকদের
মাঠে ইদানীং মেজাজ হারাচ্ছেন হার্দিক পান্ডিয়া। খেলায় পরিস্থিতির চাপে দু-একবার এমন হতে পারে, তাই বলে মাঝেমধ্যেই এমন হলে এবং সেটাও যদি হয় সিনিয়র কোনো খেলোয়াড়ের সঙ্গে?
ভক্তরা তাই খানিকটা আচরণের পাঠ দিয়েছেন ভারতীয় অলরাউন্ডারকে। আইপিএলে গুজরাট টাইটানসের এই অধিনায়ককে ক্রিকেটপ্রেমীরা মনে করিয়ে দিয়েছেন, বড়দের সঙ্গে বাজে আচরণ বেয়াদবির শামিল।
আইপিএলে কাল গুজরাটকে ৮ উইকেটে হারায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। আগে তিন ম্যাচ জেতার পর গুজরাটের এটাই প্রথম হার। হারের সময় সতীর্থের বাজে পারফরম্যান্সের কারণে মেজাজ হারালেও তবু মানা যেত।
সানরাইজার্স ১৬২ রান তাড়া করার সময় তাঁদের ইনিংসের ১৩তম ওভারে বল করতে আসেন পান্ডিয়া। জয়ের জন্য তখন ৪৮ বলে ৮১ রান দরকার সানরাইজার্সের। অর্থাৎ ম্যাচে ভালোভাবে টিকে ছিল দুই দলই।
কিন্তু সানরাইজার্স অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসনের কাছে ওই ওভারেই টানা দুই ছক্কা হজম করেন পান্ডিয়া। ওভারের শেষ বলে রাহুল ত্রিপাঠি থার্ড ম্যানে ক্যাচ তোলেন। গুজরাট পেসার মোহাম্মদ শামি একটু আগে থেকে এগিয়ে এলে ক্যাচটা নেওয়া যেত। কিন্তু তা না করে বাউন্ডারি ঠেকানোই বেশি নিরাপদ মনে হয়েছে ভারতীয় তারকার। এতেই ক্ষেপে যান পান্ডিয়া।
মাঠেই চিৎকার করে কিছু একটা বলেন শামিকে। এই দৃশ্য ভালো লাগেনি ভারতীয় ক্রিকেটের সমর্থকদের। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পান্ডিয়ার সমালোচনা হয়েছে তুমুল।
ভারত জাতীয় দলে পান্ডিয়ার তুলনায় শামি সিনিয়র ক্রিকেটার। দলকে সাফল্য এনে দেওয়ার পরিসংখ্যানেও শামির চেয়ে পিছিয়ে থাকবেন পান্ডিয়া। টুইটে ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা এ কথাই মনে করিয়ে দিয়েছেন গুজরাট অধিনায়ককে। এক ভক্ত লিখেছেন, ‘প্রিয় হার্দিক, তুমি বাজে অধিনায়ক। সতীর্থদের সঙ্গে চিৎকার করা বন্ধ কর, বিশেষ করে, শামির মতো সিনিয়র কারও সঙ্গে।’
আরেকজনের টুইট, ‘হার্দিক পান্ডিয়ার মোহাম্মদ শামির সঙ্গে চিৎকার করার দৃশ্যটি অসম্মানজনক। শামি ভারত জাতীয় দলের জন্য যা করেছে, পান্ডিয়া তার অর্ধেকও করতে পারেনি।’ আরেক ভক্তের যুক্তি, শামি ক্যাচটা নিতে পারতেন, ‘শামির ক্যাচটা নেওয়া উচিত ছিল। পান্ডিয়াও ভালো অধিনায়ক নয়।’
পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে আগের ম্যাচেই দলের আরেক সতীর্থের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেন পান্ডিয়া। সে ম্যাচে জয়ের জন্য শেষ ওভারে ১৯ রান দরকার ছিল গুজরাটের। ওই ওভারে রান আউট হওয়ার পর অন্য প্রান্তের ব্যাটসম্যান ডেভিড মিলারের ওপর রাগ ঝাড়েন গুজরাট অলরাউন্ডার। এই দৃশ্যও ভালো লাগেনি আইপিএলের দর্শকদের। পরে অবশ্য শেষ দুই বলে ছক্কা মেরে রাহুল তেওয়াতিয়া গুজরাটকে জেতানোর পর মুখে হাসি ফোটে পান্ডিয়ার।