হারের হ্যাটট্রিকের পর জয়ের মুখ দেখার আনন্দ কেমন হতে পারে? জিজ্ঞেস করুন বেক্সিমকো ঢাকাকে। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে টানা তিন ম্যাচ হারের পর আজ জয়ের মুখ দেখল ঢাকা। ৭ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটের এই জয় কষ্ট করেই। ফরচুন বরিশালের মাত্র ১০৮ রান তাড়া করতে নেমে ম্যাচটা কঠিন করে তুলেছিল মুশফিকুর রহিমের দল। বরিশালের বোলারদেরও প্রশংসা প্রাপ্য। তবে শেষ ৫ ওভারে প্রয়োজনীয় রান বলসংখ্যার চেয়ে বেশি হওয়ার দায়টা ঢাকার ব্যাটসম্যানদেরই।
উইকেট পুরো ব্যাটিংবান্ধব না হলেও এমন নয় যে বরিশালের বোলাররা আহামরি বল করেছেন। আসলে টি-টোয়েন্টি ব্যাটিংয়ের মেজাজটাই যে দেখা যাচ্ছে না! এমনকি শেষ ২০ বলেও দরকার ছিল ২৭ রান। ত্রাতা হয়ে দাঁড়াতে হয় সেই মুশফিকুর রহিম ও ইয়াসির আলীকে।
চতুর্থ উইকেটে দুজনের ৪১ বলে ৫৫ রানের জুটিতে ৭ উইকেটে জয়ের দেখা পায় ঢাকা। ৩৪ বলে ২৩ রানে অপরাজিত ছিলেন মুশফিক। অন্য প্রান্তে ৩০ বলে ৪৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ইয়াসির। ২ ছক্কা ও ৩ চারে ইনিংসটি সাজান তিনি।
ঢাকার ইনিংসের শুরুটাই ছিল শম্বুকগতির। ২.৪ ওভারে ওপেনার রবিউল ইসলাম যখন আউট হন, ঢাকার স্কোর ছিল ৭ রান। পাওয়ার প্লের ৬ ওভার শেষে তা ১ উইকেটে ২২। পরের ওভারে মোহাম্মদ নাঈম (১৩) রানআউট হওয়ার পর চাপ থেকে বেরোতে কষ্ট হয়েছে দলটির।
তিনে নেমে উইকেটের এক প্রান্ত ধরে রাখা মুশফিক খেলার চেষ্টা করেছেন নিজের মতো। কিন্তু শেষ ২ ওভারে দল ১৬ রানের দূরত্বে থাকতে মুশফিকের ৩৩ বলে ২২* (১ চার) রান তাঁর নামের পাশে একটু বেমানানই লাগে। অন্তত স্বাভাবিক ব্যাটিং যে করতে পারেননি, তা পরিষ্কার।
১৯তম ওভারে বরিশাল পেসার তাসকিন আহমেদের প্রথম বলে ছক্কা মেরে ম্যাচটা সহজ করে ফেলেন ইয়াসির। ওই ওভারেরই শেষ বলে তাসকিনকে আরও এক ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করেন এ মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। বরিশাল স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ১৩ রানে ১ উইকেট নেন।
এর আগে বরিশালও ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে। তিনে ও চারে নামা পারভেজ হোসেন ও আফিফ কোনো রান করতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৩৩ রান এসেছে তৌহিদ হৃদয়ের ব্যাট থেকে। ২০ রানে ৪ উইকেট নেন ঢাকার স্পিনার রবিউল ইসলাম। ২ উইকেট শফিকুল ইসলামের।