সৌরভ, দ্রাবিড়, লক্ষ্মণের পর এবার শচীন?
ভারতের ক্রিকেটকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মূল ভূমিকা এখন সাবেক তারকা ক্রিকেটারদের হাতে। আগামী দিনের ক্রিকেটারদের গড়ার কারখানা জাতীয় ক্রিকেট একাডেমির প্রধান করা হয়েছে ভিভিএস লক্ষ্মণকে। রাহুল দ্রাবিড় তো কিছুদিন আগে কোহলি-রোহিতদের মূল দলের কোচের দায়িত্বই নিয়ে নিলেন। ওদিকে বিসিসিআই প্রধান হয়ে সবার নেতার ভূমিকা পালন করছেন খেলার মাঠেও লক্ষ্মণ-দ্রাবিড়দের নেতৃত্ব দেওয়া সৌরভ গাঙ্গুলী।
সাবেক সতীর্থরা দেশের ক্রিকেটের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হলেও শচীন টেন্ডুলকার আড়ালেই থেকেছেন, থাকছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতামত দেন, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা যায়। কিন্তু খেলার মাঠ থেকে অবসর নেওয়ার পর দেশের ক্রিকেট কাঠামোর সঙ্গে বাকি তিন সতীর্থের মতো সক্রিয়ভাবে যুক্ত হননি ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান। ব্যাপারটা বদলাতে চাইছে বিসিসিআই। যে করেই হোক, শচীনকে ভারতীয় ক্রিকেট কাঠামোর সঙ্গে যুক্ত করতে চাইছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব জয় শাহ।
আইপিএলের দল মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের মেন্টরের ভূমিকায় থাকা শচীন সক্রিয়ভাবে কোহলি-রোহিতদের সঙ্গে যুক্ত হননি কখনোই। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, যেকোনো একটা ভূমিকায় শচীনকে দেখতে চাইছেন জয় শাহ। শুধু ইচ্ছাতেই সীমাবদ্ধ থাকছে না তাঁর ভূমিকা, সরাসরি শচীনকে রাজি করার দায়িত্বও নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। এর আগে জাতীয় দলের কোচ হওয়ার জন্য রাহুল দ্রাবিড় রাজি না থাকলেও জয় শাহের পীড়াপীড়িতেই কোহলি-রোহিতদের গুরু হওয়ার আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব নেন জাতীয় ক্রিকেট একাডেমির সাবেক এই প্রধান। পরে দ্রাবিড় যাওয়ার পর যে দায়িত্ব দেওয়া হয় লক্ষ্মণকে।
বিসিসিআইয়ের কিছু সূত্র টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানিয়েছে, ‘জয় শাহ মিডিয়ার সামনে সেভাবে না এলেও কী কী করা উচিত, সেটা বেশ ভালোই বোঝেন এবং সে অনুযায়ী কাজ করেন। ছোট-বড় যেসব বিষয় ভারতের ক্রিকেটে বদল আনতে পারে, যেমন ভিভিএস লক্ষ্মণের মতো একজন ক্রিকেটারকে জাতীয় ক্রিকেট একাডেমির দায়িত্বে বসানো। আমাদের জানানো হয়েছে, তিনি এখন জাতীয় দলের কোনো একটা দায়িত্বে শচীন টেন্ডুলকারকে যুক্ত করতে চাইছেন, যে করেই হোক।’