সেন্ট লুসিয়ায় বল টেম্পারিং নিয়ে তোলপাড় চলছেই
>ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেন্ট লুসিয়া টেস্টে বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগ উঠেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। বলের আকৃতি পাল্টানোর দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন স্বয়ং শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক দিনেশ চান্ডিমাল।
স্টিভেন স্মিথ-ডেভিড ওয়ার্নারদের বল টেম্পারিংয়ের ক্ষত না শুকাতেই সেন্ট লুসিয়ায় সেই একই ক্ষতের জন্ম দিল শ্রীলঙ্কা দল। বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগ উঠেছে দিনেশ চান্ডিমালের দলের বিপক্ষে। স্বয়ং শ্রীলঙ্কা দলের অধিনায়ক চান্ডিমালের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে আইসিসি। তাঁর বিরুদ্ধে বলের আকৃতি পরিবর্তনের অভিযোগ উঠেছে।
ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের ফুটেজ দেখে দুই আম্পায়ারের দাবি, লঙ্কানরা বলের আকার পরিবর্তন করেছে। শাস্তি হিসেবে ৫ রান জরিমানা করা হয় তাদের। তৃতীয় দিনের খেলার শুরুতেই নতুন বল নিয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেন আম্পায়াররা। আম্পায়ারদের এই সিদ্ধান্ত মানতে রাজি ছিল না শ্রীলঙ্কান টিম ম্যানেজমেন্ট। ফলে তৃতীয় দিনের শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ব্যাটসম্যান মাঠে নামলেও লঙ্কান কোনো খেলোয়াড় মাঠে নামেননি। পরে রেফারি জাভাগাল শ্রীনাথ লঙ্কান ড্রেসিংরুমে গিয়ে কোচ চন্ডিকা হাতুরুসিংহে ও ম্যানেজার অসঙ্কা গুরুসিংহের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করে খেলোয়াড়দের মাঠে নামতে রাজি করান।
তবে আইসিসি আম্পায়ারদের পাশে দাঁড়াচ্ছে। বল বিকৃতির যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ হাতে না থাকলে অভিযোগ গঠনের দিকে ব্যাপারটা এগোত না। চান্ডিমালের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আইসিসি আজ টুইট করেছে, ‘আইসিসি আচরণবিধির ২.২.৯ ধারা ভঙ্গ করায় অভিযুক্ত হয়েছেন শ্রীলঙ্কা দলের অধিনায়ক দিনেশ চান্ডিমাল।’
বলের আকৃতি পাল্টালে এই ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়। গত মার্চে কেপটাউন টেস্টে একই অভিযোগে ফেঁসেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ক্যামেরন ব্যানক্রফট। পরে তো এ নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে গেল। বল টেম্পারিংয়ের জন্য ব্যানক্রফট ৯ মাস নিষিদ্ধ হন এবং তাতে ইন্ধন দেওয়ার জন্য ওয়ার্নার ও স্মিথ ১২ মাস করে নিষিদ্ধ হন।
শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি) অবশ্য বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করে গেছে। তাদের বিবৃতি, ‘টিম ম্যানেজমেন্ট জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কার কোনো খেলোয়াড়ই এ ধরনের কোনো কিছুর সঙ্গে জড়িত নয়। যেকোনো খেলোয়াড়কে রক্ষা করতে আমরা সব ধরনের পদক্ষেপই নেব।’
অভিযোগ প্রমাণিত হলে বড় ধরনের শাস্তির মুখে পড়তে যাচ্ছেন চান্ডিমাল। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে অপরাধী বিবেচনা করার সুযোগ নেই। তবে অভিযোগ যদি প্রমাণিত হয়? এ কারণে প্রশ্ন উঠছে, বল টেম্পারিংয়ের ঘটনায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া যেখানে শক্ত অবস্থান নিয়ে স্মিথের মতো ক্রিকেটারকে দীর্ঘ মেয়াদে নিষিদ্ধ করল, সেখানে শ্রীলঙ্কা বোর্ড খেলোয়াড়দের সুরক্ষায় যেকোনো কিছু করার ঘোষণা একটু আগ বাড়িয়েই দিল কি না। এটি আইসিসির ওপর চাপ তৈরির কৌশল হয়ে গেল না তো?