সেই মিঠুন এই মিঠুন
মোহাম্মদ মিঠুন এখন অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী। তিনি নিজেই আগের সঙ্গে অনেক জায়গায় পার্থক্য দেখেন। সবচেয়ে বড় ব্যাপার দল থেকে বাদ পড়বেন, এ ভয়টা আপাতত পেছনে ফেলেছেন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান
দুই মিঠুনে অনেক পার্থক্য। হ্যাঁ, এশিয়া কাপ ক্রিকেটের আগের মিঠুন আর এশিয়া কাপের পরের মিঠুন। আগের মিঠুনের আত্মবিশ্বাস ছিল তলানিতে, কিন্তু এখনকার মিঠুন, পরিণত, আত্মবিশ্বাসী। নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে পারার সেই আত্মবিশ্বাস। মোহাম্মদ মিঠুন নিজেও জানেন পার্থক্যটা। এশিয়া কাপের পর তিনি যে আগের চেয়ে অনেক বেশি নির্ভার।
মিঠুন বলছেন, ‘পরিবর্তন আসলে ওই রকম কিছু নয়। আগের মতোই আছি। কেবল আত্মবিশ্বাসটাই বেড়েছে।’
এশিয়া কাপের আগের মিঠুনের মধ্যে একটা জড়তা কাজ করত। জড়তার মূল কারণ, জাতীয় দলে জায়গাটা পাকাপোক্ত ছিল না। এশিয়া কাপে ভালো ব্যাটিংয়ের পুরস্কার পেয়েছেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়ে। এই প্রথমবারের মতো মিঠুন পরপর দুটি সিরিজে দলে নিজের জায়গা পেলেন। একটা আস্থার বার্তা তো পেলেনই, ‘আগে একটা জড়তা কাজ করত। না পারলে আবারও দলের বাইরে, এই চিন্তা কাজ করত। এখন সেটা আপাতত নেই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাফল্য এসেছে। এখন আত্মবিশ্বাস আছে এই পর্যায়ে ভালো করতে পারব।’
এশিয়া কাপের সাফল্য মিঠুনের স্বপ্নের দিগন্তটা বড় করে দিয়েছে। এখন তিনি বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন দেখতেই পারেন। তবে মিঠুন ব্যাপারটি নিয়ে এখনই ভাবতে চান না, ‘আমি আসলে ম্যাচ ধরে ধরে পরিকল্পনা করি। একটা সিরিজ শেষ হয়েছে। আপাতত জিম্বাবুয়ে সিরিজ নিয়ে চিন্তা করছি। বিশ্বকাপের এখনো অনেক সময় বাকি। এর মধ্যে সুস্থ থাকতে হবে, পারফর্ম করতে হবে। যদি ম্যাচ বাই ম্যাচ, সিরিজ বাই সিরিজ ভালো করতে থাকি, তাহলে আমি বিশ্বকাপে সুযোগ পাব। আর বিশ্বকাপের স্বপ্ন তো সবারই থাকে। আমারও স্বপ্ন আছে বিশ্বকাপে খেলার। তবে তার আগে অনেকগুলো ধাপ পার করতে হবে।’