সিলেটকে পেয়ে ছন্দে ফিরল খুলনা

খুলনাকে ভালো শুরু এনে দেন সৌম্য সরকারছবি: প্রথম আলো

বোলিংয়ে ধার নেই। রানরেটের চাপ নেই। ছন্দে ফেরার এটাই আদর্শ সুযোগ। আজ সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে রান–খরায় থাকা খুলনার টপ অর্ডার সে সুযোগই কাজে লাগাল।

সিলেটের দেওয়া ১৪৩ রানের লক্ষ্য ৩৪ বল বাকি থাকতেই তাড়া করে জিতল খুলনা। ৯ উইকেটের বিরাট জয়ে রানরেটও বাড়িয়ে নিল মুশফিকুর রহিমের দল।

খুলনার জয়ে ধন্যবাদ পাবেন আন্দ্রে ফ্লেচার ও সৌম্য সরকার। দুজনের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে দারুণ এক শুরুর দেখা পেল খুলনা। সিলেটের বোলিংকে সাদামাটা বানিয়ে দুজনের চার-ছক্কা মারতে সমস্যা হয়নি। মুক্তার আলী, নাজমুল ইসলাম, সোহাগ গাজীদের ওপর চড়াও হয়ে দ্রুত রান তুলেছেন দুজন।

সৌম্য ৩১ বলে ৪১ রানে আউট হলেও ফ্লেচার-ঝড় থামেনি। ৪৭ বলে ৭১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ক্যারিবীয় উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। ফ্লেচার ইনিংসটি সাজান ৫ চার ও ৫ ছক্কায়। ফ্লেচারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দ্রুত রান তুলেছেন থিসারা পেরেরা। রানরেট বাড়াতে তিনে পাঠানো হয় পেরেরাকে, ৯ বলে ২২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। তাতে ইনিংসের ১৪.২ ওভারে জয় তুলে নেয় খুলনা।

৭১ রানে অপরাজিত ছিলেন ফ্লেচার
ছবি: প্রথম আলো

সিলেটের ইনিংস একাই টেনেছেন মোহাম্মদ মিঠুন। খুলনার আঁটসাঁট বোলিংয়ের সামনে যখন সিলেটের ব্যাটসম্যানরা রান করতে হিমশিম খাচ্ছিলেন, তখন মিঠুন খেলেছেন এবারের বিপিএলে তাঁর সেরা ইনিংস। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার পর মোসাদ্দেক হোসেনকে নিয়ে মিঠুন গড়েন ৫১ বলে ৭১ রানের দারুণ এক জুটি। ৩০ বলে মোসাদ্দেক ৩৪ রান করে আউট হলেও মিঠুন খেলেছেন ইনিংসের শেষ ওভার পর্যন্ত।

একাই চার-ছক্কা মেরে শেষ পাঁচ ওভারে ৫৬ রান যোগ করেন মিঠুন। তাঁর ব্যাট থেকে আসে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৫১ বলে ৭২ রান। মিঠুনের ইনিংস সেজেছে ৬টি চার ও ৪টি ছক্কায়।

তাতে সিলেট ৫ উইকেটে ১৪২ রানের লড়াই করার মতো পুঁজি পায়। খুলনার খালেদ ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। নতুন ও পুরোনো বলে উইকেট পেয়েছেন তিনি। তবে নাবিল সামাদ ৪ ওভারে মাত্র ১০ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়ে সিলেটের রানরেট বাড়তে দেননি।

সিলেটের হয়ে প্রায় একাই লড়েন মিঠুন
ছবি: প্রথম আলো

সিলেট সানরাইজার্স: ২০ ওভারে ১৪২/৫ (মিঠুন ৭২, মোসাদ্দক ৩৪, খালেদ ২/২০, নাবিল ১/১০, কামরুল ১/৩১)।

খুলনা টাইগার্স: ১৪.২ ওভারে ১৪৪/১ (ফ্লেচার ৭১, সৌম্য ৪৩, পেরেরা ২২, নাজমুল ১/৩৯)।

ফল: ৯ উইকেটে জয়ী খুলনা টাইগার্স।

ম্যাচ অব দ্য ম্যাচ: আন্দ্রে ফ্লেচার।