সাকিবের সময় এখন ‘খারাপ’
কখনো নামছেন ওপেনিংয়ে, কখনো ‘প্রিয়’ তিনে, কখনো আবার ৪ নম্বরে। বারবার ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন করেও সাকিব আল হাসান কিছুতেই রানের দেখা পাচ্ছেন না।
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের লিগ পর্ব প্রায় শেষ দিকে, সাকিব এখনো ছন্দে ফেরার অপেক্ষায়।
নভেম্বরে আইসিসির নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে এক বছর পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরেছেন সাকিব। প্রত্যাবর্তনের আগে প্রস্তুতি তাঁর ভালোই ছিল।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ সামনে রেখে সেপ্টেম্বরজুড়ে বিকেএসপিতে নিজের পুরোনো দুই কোচ নাজমুল আবেদীন আর মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের সঙ্গে ফিটনেস আর স্কিল নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করেছেন।
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি শুরুর আগে প্রস্তুতিতে খুব একটা ঘাটতি রাখেননি সাকিব। তবুও ব্যাটিংয়ে ছন্দে খুঁজে পেতে কষ্টই হচ্ছে বাঁহাতি অলরাউন্ডারের।
সাকিব ওপেনিংয়ে নেমে করেছেন ১১ ও ৩ রান, তিনে নেমে করেছেন ১৫, ১২ ও ১৫ রান আর চারে নেমে করেছেন ৪ ও ১৪ রান। ৭ ম্যাচে ১০.৫৭ গড়ে সাকিবের রান ৭৪।
পুল করতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেট কিংবা ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ হয়ে আউট হয়েছেন অন্তত চারবার, বোল্ড হয়েছেন দুবার।
দলের অন্যতম ব্যাটিং ভরসার কাছ থেকে প্রত্যাশা অনুযায়ী সেবা না পাওয়ার মূল্য দিতে হচ্ছে জেমকন খুলনাকে। তারকাসমৃদ্ধ দল হয়েও হেরেছে তারা তিনটি ম্যাচ।
যদিও খুলনাকে শেষ চার নিয়ে ভাবতে হচ্ছে না। তাদের শেষ চার এরই মধ্যে নিশ্চিত হয়েছে। তবে সাকিবের ব্যাটিং নিয়ে চিন্তিত দলটির কোচ মিজানুর রহমান, ‘এখনো পর্যন্ত সাকিব তার ব্যাটিং করতে পারছে না। চেষ্টা করছে, কোনো সন্দেহ নেই। কাছ থেকে দেখছি। খেলোয়াড়দের এ রকম খারাপ সময় আসে।’
লম্বা বিরতির পর নিজেকে ফিরে পাওয়া একটু কঠিনই। অবশ্য বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টিতেই অনেক ব্যাটসম্যান ৯ মাস বিরতির পর ফিরেও রান পেয়েছেন।
সাকিবেরই খুলনা সতীর্থ জাকির হাসান ৪ ডিসেম্বর বরিশালের বিপক্ষে ৬৩ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন। সাকিবের আরেক খুলনা সতীর্থ আরিফুল হক ৯ মাস পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরে বরিশালেরই বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মেহেদী হাসান মিরাজকে চার ছক্কা মেরে দলকে জিতিয়েছেন।
লিগ পর্বে ভালো হচ্ছে না; কিন্তু কে জানে, সাকিব হয়তো বড় ম্যাচের জন্যই জমিয়ে রেখেছেন তাঁর দুর্দান্ত ব্যাটিং।