সাকিবের শুরুতে নামায় ভুল দেখছেন না তামিম-মাশরাফি
গতকাল ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে হেরে যাওয়ায় বিশ্বকাপ কার্যত শেষ হয়ে গেছে বাংলাদেশের। কাগজে কলমে আশা বেঁচে থাকলেও, আজ রাতে ইংল্যান্ড হেরে গেলেই সেটাও শেষ হয়ে যাবে। গতকাল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হারের ব্যবধানটাও কষ্ট বাড়িয়ে দিচ্ছে দলের। মাত্র ৩ রানের ব্যবধান বলে দিচ্ছে, একটু এদিক-ওদিক হলেই এ ম্যাচ বাংলাদেশের পক্ষে থাকত।
গতকাল তিনজন ওপেনার নিয়ে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। মোহাম্মদ নাঈম ও লিটন দাস তো আগের চার ম্যাচে খেলেছেনই। সে সঙ্গে নুরুল হাসানের চোটে দলে ঢুকেছিলেন সৌম্য সরকার। ওপেনারের এই ভিড়েও কাল সাকিব আল হাসান ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমেছিলেন। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারেই যা তাঁকে এর আগে করতে দেখা যায়নি। তবে সাকিবের ইনিংস উদ্বোধন করার সিদ্ধান্তে কোনো ভুল দেখছেন না তামিম ইকবাল ও মাশরাফি বিন মুর্তজা।
কাল বোলিংয়ের সময়ই চোট পেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। ব্যাটিংয়ের সময় প্রথম রান নেওয়ার শেষ দিকেই যেভাবে পা তুলে ফেলেছিলেন, তাতে বোঝা গিয়েছিল দৌড়ে আজ সাকিবের পক্ষে রান তোলা কঠিন। কাল ইউটিউব লাইভে একটি অনুষ্ঠানে এসেছিলেন ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ও সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি। সেখানে দল নির্বাচন, সংস্কৃতি, কোচদের সামর্থ্য নিয়ে অনেক সমস্যার কথাই আলোচনা হয়েছে।
তবে সাকিবের গতকাল ওপেন করার প্রসঙ্গে দুজনই ছিলেন একমত। গতকালের প্রেক্ষাপটে সাকিবের আগে ব্যাট করতে নামার পক্ষে তামিম, ‘আমার মনে হয়, ওর ওপেন করার কারণটা ওর চোট। আপনাদের মনে হতে পারে, চোট পেলে পরে নামলেই তো ভালো। কিন্তু, না। আমার তার সঙ্গে কথা হয়নি বা দলের কারও সঙ্গে কথা হয়নি। আমার মনে হচ্ছে, সে বুঝতে পেরেছিল, ও দৌড়াতে পারবে না। সে মাঝখানে নামলে ওকে অনেক দৌড়াতে হবে, জোরে সিঙ্গেলস নিতে হবে। ও সম্ভব চিন্তা করেছে, পাওয়ার প্লেতে যদি দুই-তিন-চারটা বাউন্ডারি মেরে দিতে পারে, দলের অবস্থান একটু ভালো হবে। ওই ঝুঁকিটা সে নিয়েছে।’
কাল ১২ বলের ইনিংসে একটি বলকেই সীমানাছাড়া করতে পেরেছেন সাকিব। ৯ রানের ইনিংসে দৌড়ে তাঁকে আরও পাঁচ রান নিতেও হয়েছে। তামিম মানছেন বুদ্ধিটা কাজ কাজে আসেনি। কিন্তু এ ছাড়া উপায় ছিল না, ‘ফল আসেনি হয়তো কিন্তু চোটই ওর ওপেন করার কারণ। টিম ম্যানেজমেন্টও হয়তো ভেবেছে, মাঝখানে একদম ব্যাটিং করতে না পারার চেয়ে শুরুতে কিছু বাউন্ডারি মারতে পারলে দল ভালো শুরু পেয়ে যাবে।’
মাশরাফিও অন্তত কাল এ সিদ্ধান্তে দলের কোনো ভুল দেখছেন না। তাঁর মতে, সাকিবের মতো ব্যাটসম্যানের কাছ থেকে সর্বোচ্চটুকু পাওয়ার চেষ্টা করতেই পারে দল, ‘সাকিবের মতো খেলোয়াড় ও তার অভিজ্ঞতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এমন এক খেলোয়াড়কে গুরুত্ব দেওয়াও দলের কাজ। বোঝাই যাচ্ছিল, সাকিব দৌড়াতে পারবে না।সাকিব প্রথম ছয় ওভারে যতটুকু ব্যাটিং করবে ওটাই লাভ। আমার মনে হয় না, দলের এতে কোনো ভুল আছে।’