সাকিবের চাওয়া এক রকম, ডমিঙ্গোর অন্য রকম
প্রথম ইনিংসে ছক্কা ওড়ানোর চেষ্টায় বাউন্ডারির সীমানায় ক্যাচ আউট। দ্বিতীয় ইনিংসে তো কেমার রোচের অফ স্টাম্পের বাইরের বল লফটেড ড্রাইভে কাভার বাউন্ডারিতে পাঠাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সাকিব আল হাসানের শটটি যায় ক্রেইগ ব্রাফেটের হাতে। অ্যান্টিগা টেস্টে সাকিবের দুটি অর্ধশতকই হয়তো আরও লম্বা হতে পারত। কিন্তু আক্রমণাত্মক শটে ইনিংস দুটি দীর্ঘ হয়নি।
সে কারণেই কি না, বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো শট নির্বাচনের ব্যাপারে সাকিবকে আরেকটু সতর্ক হতে বলেছিলেন। সাকিব অবশ্য নিজের সহজাত ব্যাটিংই করে যেতে চান। অ্যান্টিগা টেস্ট শেষে টিভি সম্প্রচারকদের সঙ্গে তিনি বলছিলেন, ‘নিজের ব্যাটিং নিয়ে আমি ইতিবাচক ছিলাম। সহজভাবে ভাবছিলাম—মারার বল পেলে মারব, নাহয় ঠেকাব। সব সময় গেম প্ল্যান এমন সাধারণ রাখি। এভাবেই সফল হয়েছি। আমি এটা পরিবর্তনও করব না!’
সাকিব প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ দলকে ৪৫ রানে ৬ উইকেটের ধ্বংসস্তূপ থেকে টেনে তুলেছেন ৬৭ বলে ৫১ রানের ইনিংসে। নিচের সারির ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে ছোট ছোট জুটি গড়েছেন ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাটিং করে। তাতে বাংলাদেশ দলের প্রথম ইনিংসের রানটা এক শ ছাড়ায় (১০৩)।
দ্বিতীয় ইনিংসেও সাকিবকে দলের বিপদের সময় ব্যাটিংয়ে নামতে হয়। তবু ৯৯ বলে সাকিবের ৬৩ রানের ইনিংসটি আরও দীর্ঘ হতে পারত। কারণ, সাকিবকে ভালোই সঙ্গ দিচ্ছিলেন নুরুল হাসান। কিন্তু তিনি নতুন বলের বিপক্ষে আক্রমণের পথ বেছে আউট হন। সাকিব আউট হওয়ায় লোয়ার অর্ডারের দুয়ারও খুলে যায়। এরপর বাংলাদেশ দলের রানটাও বড় হয়নি। দলীয় ২৩২ রানের সময় সাকিব আউট হওয়ার পর বাংলাদেশ দল আউট হয়েছে ২৪৫ রানে।
সাকিবের এমন ব্যাটিং প্রসঙ্গে তৃতীয় দিন শেষে ডমিঙ্গো বলেছিলেন, ‘তাকে অ্যাটাক ও ডিফেন্সের ভারসাম্যটা খুঁজে বের করতে হবে। মাঝেমধ্যে প্রতি–আক্রমণ করতে হবে। কিন্তু তাকে মারার সময় মাথার অবস্থান, শরীরের অবস্থান ঠিক রাখতে হবে। কারণ, সে একজন সামর্থ্যবান ব্যাটসম্যান, যেটা সে আজ দেখিয়েছে।’
সাকিবের মানের ব্যাটসম্যানের ব্যাটে ডমিঙ্গো দেখতে চান শতক। সে জন্য শট নির্বাচনে তাঁকে আরও সতর্ক দেখতে চান তিনি, ‘দেখুন, সাকিব সব সময়ই রান করার চেষ্টা করে। আমরা চাই না সে স্লগ করুক। আমরা চাই সে ভালো ক্রিকেট শট খেলুক। সেটা করেই প্রতিপক্ষের ওপর কিছুটা চাপ প্রয়োগ করুক। সে–ও জানে যে শুরুর সময়টা কাটিয়ে দিলে তাকে দীর্ঘ ইনিংসটা খেলতে হবে। তাকে সেঞ্চুরি করতে হবে। দলের সেরা ছয় ব্যাটসম্যানকে সেঞ্চুরি করতে হবে।’