সাকিবের উদযাপনের কারণ তাহলে এ-ই
>ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি, এমনকি টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরির পরও যিনি উদযাপনে থাকেন সাদামাটা। সেই সাকিব আজ বিপিএলের একটা সাধারণ ম্যাচে ফিফটি করে সেজদা দিয়েছেন
ফিফটির পর সাকিব আল হাসানের উদযাপন দেখে চমকেই যেতে হলো। এটা সাকিব তো! ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি, এমনকি টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরির পরও যিনি উদযাপনে থাকেন সাদামাটা, কোনোভাবে ব্যাটটা উঁচিয়ে ধরেন, সেই সাকিব আজ বিপিএলের একটা সাধারণ ম্যাচে ফিফটি করে সেজদা দিচ্ছেন!
অনেক দিন হলো সাকিব সংবাদমাধ্যমের সামনে আসেন না। আজও আসেননি। তাঁর কাছ থেকে তাই তাৎক্ষণিকভাবে উদযাপনের কারণটা জানার উপায় নেই। তবে কিছুটা জানা গেল দলের ম্যানেজার আজম ইকবালের কাছ থেকে, ‘প্রথমবার যেবার ঢাকা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, সেবার মনে হয় সে বিপিএলে সর্বশেষ ফিফটি করেছিল। মাঝে অনেক বছর কোনো ফিফটি ছিল না। সে কারণেই এমন উদযাপন। কালও এটা নিয়ে ওর সঙ্গে কথা হচ্ছিল (ফিফটি না পাওয়া নিয়ে)।’
আজম ইকবালের দেওয়া তথ্যটা অনেকটাই ঠিক। সাকিব বিপিএলে ফিফটি পেলেন ৬ বছর পর। এ টুর্নামেন্টে সর্বশেষ ফিফটি পেয়েছেন ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে, ঢাকা গ্লাডিয়েটরসের হয়ে, চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে। মাঝে ২০ ওভারের ক্রিকেটে ১১টি ফিফটি করেছেন, কোনোটিই বিপিএলে নয়। এর মধ্যে ছয়টিই এসেছে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে।
বিপিএলে ফিফটি-খরা ঘোচাতে ভেতরে-ভেতরে সাকিব ভীষণ তাড়া অনুভব করেছেন। এ কারণেই আজ ফিফটির পর উদ্যাপনটাও হয়েছে একটু অন্য রকম। এ টুর্নামেন্টে বেশ কবার উইকেটে থিতু হয়েছেন, কিন্তু সেটি ফিফটিতে নিয়ে যেতে পারেননি। আজ সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে অপরাজিত ৬১ রানের ইনিংসে সার্থক হলো তাঁর সব চেষ্টা। ৩৭ রানে ৩ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর চড়ে বসতে দেননি সিলেটের বোলারদের। এসেই প্রতি-আক্রমণ করেছেন। দলের ৩ উইকেট নেই তাতে কী, উইকেটে এসেই আল আমিন হোসেনের করা ষষ্ঠ ওভারে ১৪ রান তুলে পাওয়ার প্লে কাজে লাগিয়েছেন। ইনিংসের মাঝের ওভারেও দারুণ গতিতে এগিয়ে নিয়েছেন রানের চাকা । দলকে জিতিয়ে ফিরিয়েছেন ১৮ বল বাকি থাকতেই।
দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা নুরুল হাসানের তো সাকিবের ইনিংস দেখে মুগ্ধতার শেষ নেই, ‘সাকিব ভাই যেভাবে খেলেন তাতে প্রতিপক্ষের জন্য (জেতা) কঠিন হয়ে যায়। নিজের দিনে তিনি যেকোনো দলকে হারাতে পারেন। বোলিংয়ে আমাদের ওয়ার্নারের উইকেটটা দরকার ছিল। তিনি সেই উইকেটও পেয়েছেন। আর ব্যাটিংয়ে এই ইনিংস নিয়ে বলার কিছু নেই, সবাই দেখেছে। ম্যাচ জেতানো ইনিংস যাকে বলে।’