সাকিবদের সঙ্গেই জাতীয় দলে খেলতে চেয়েছিলেন শামীম
শামীম হোসেনের ক্রিকেট পাঠ শুরু ২০১১ সালে। তখন সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালরা বাংলাদেশ ক্রিকেটের বড় তারকা। তাঁদের দেখেই শামীমের মতো তরুণেরা জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন দেখতেন। শামীমের স্বপ্নটা ছিল একটু ব্যতিক্রম। তাঁর শুধু জাতীয় দলে খেললেই হবে না, খেলতে হবে সাকিব-তামিমরা দলে থাকা অবস্থায়। ১০ বছর পর শামীমের সেই স্বপ্নটাই সত্যি হলো।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে সাকিব আল হাসানের হাত থেকেই অভিষেক ক্যাপ পেয়েছেন শামীম। আজ জিম্বাবুয়ে সিরিজ কাভার করতে যাওয়া সাংবাদিকদের শামীম বলছিলেন তাঁর স্বপ্নের গল্প, ‘ছোটবেলা থেকেই সাকিব ভাই, তামিম ভাই, মুশফিক ভাই, রিয়াদ ভাইদের খেলা দেখেছি। ইচ্ছা ছিল তাঁরা থাকা অবস্থায় জাতীয় দলে খেলার। সেটা পেরেছি। আমি মনে করি আমি অনেক ভাগ্যবান, যা চেয়েছিলাম সেটা করতে পেরেছি।’
সব যে এত দ্রুত হবে তা শামীমও প্রত্যাশা করেননি। গত বছরই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতেছেন। শামীমের নাম–পরিচিতি তখনই। তবে বিসিবি হাই পারফরম্যান্স দলে এসে নতুন করে জানান দেন তাঁর মারকুটে ব্যাটিং ও দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ে। ঘরোয়া ক্রিকেটেও সেই ধারাবাহিকতা দেখে জিম্বাবুয়ে সফরের টি-টোয়েন্টি দলে সুযোগ দেওয়া হয় শামীমকে, ‘সবারই তো ইচ্ছা থাকে জাতীয় দলে খেলার। তবে আমি নিজেও এত দ্রুত জাতীয় দলে ডাক পেয়ে অবাক হয়েছি। এটা আসলে ভাবিনি। খুব ভালো লাগছে।’
অভিষেক ম্যাচটা যেকোনো ক্রিকেটারের জন্য স্মরণীয়। আর অভিষেকেই যদি ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্স থাকে তাহলে তো কথাই নেই। শামীমকে যে জন্য দলে নেওয়া, সেই কাজটা নিজের অভিষেক ম্যাচে প্রায় করেই ফেলেছিলেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে চাপের মুখে ১৩ বলে ২৯ রানের ইনিংস খেলে বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন। কিন্তু ম্যাচটা শেষ করতে পারেননি শামীম। সেই আক্ষেপের কথাই জানালেন এই তরুণ অলরাউন্ডার, ‘অভিষেক ম্যাচেও মোটামুটি ভালোই করেছি। আমি চেষ্টা করেছি ম্যাচটা শেষ করার। কিন্তু দুর্ভাগ্য, সেটা করতে পারিনি।’
অভিষেক ম্যাচের আগে অবশ্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের স্বাদ পেয়েছেন শামীম। সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বদলি ফিল্ডার হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন। রায়ান বার্লের ক্যাচ ধরে ম্যাচের গতিপথ পাল্টে দিয়েছেন। ওই মুহূর্তটি ছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শামীমের আগমনী বার্তা, ‘জাতীয় দল হোক কিংবা প্রিমিয়ার লিগ, আমি সব সময় দলের জন্য খেলি। আমার দলকে যদি জেতাতে পারি তাহলে অনেক ভালো লাগবে। অভিষেক ম্যাচটা যদি জেতাতে পারতাম তাহলে ভালো লাগত। সতীর্থদেরও ভালো লাগত। অভিষেক ম্যাচের আগে আমি ফিল্ডিং করছিলাম। মাঠের পরিবেশটা বুঝতে পেরেছি। সেটা আমাকে সাহায্য করেছে।’