সাকিবকে মুগ্ধ করেছে ভারতের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য
একেকটা প্রদেশ যেন একেকটা দেশ! বিশাল দেশ ভারতে পা রাখলে স্বাভাবিকভাবেই পরিচয় হবে বিচিত্র ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে। সাকিব আল হাসান ভারতে নতুন খেলছেন, তা নয়। ২০১১ সাল থেকে আইপিএল খেলা বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে বছরের দুই মাস সেখানেই থাকতে হয়। কলকাতায় সাত বছর কাটিয়ে সাকিব এবার খেলছেন হায়দরাবাদের হয়ে। আইপিএল খেলতে যেহেতু একটা লম্বা সময় থাকতে হয়, তিনি কীভাবে মানিয়ে নেন বা কেমন উপভোগ করেন ভারতীয় সংস্কৃতি?
হায়দরাবাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত ভিডিও সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেন, ‘এখানকার সংস্কৃতি অনেক পছন্দের। প্রত্যেক প্রদেশে আলাদা আলাদা সংস্কৃতি খুঁজে পাবেন। আমার আলাদা আলাদা সংস্কৃতি ও পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া, নতুন অনেক কিছু জানার সুযোগ হচ্ছে। আপনি হায়দরাবাদে গেলে এক রকম পরিবেশ পাবেন, কলকাতায় আরেক রকম। জয়পুরে এক রকম পরিবেশ, মুম্বাই-দিল্লিতে আবার আলাদা। ভিন্ন জায়গায় ভিন্ন ধরনের সংস্কৃতি ও মানুষের সঙ্গে পরিচয় হচ্ছে। এটাই সবচেয়ে মজার অংশ।’
সাকিবের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল তাঁর বেড়ে ওঠা, ক্রিকেটার হওয়ার গল্প। অনেকবার বলেছেন। তবুও এ গল্প শোনাতে ক্লান্তি নেই বাংলাদেশ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের। কীভাবে ক্রিকেট তাঁর জীবনের সমার্থক হয়ে গেছে, কীভাবে শিকড় থেকে শিখরে উঠেছেন, হোটেল রুমে বসে আরেকবার বলেন, ‘ছোট একটা শহরের মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এসেছি। শৈশব থেকে আমরা চিন্তা করি প্রচুর পড়াশোনা করতে হবে ভালো ক্যারিয়ারের জন্য। হতে হবে সরকারি চাকরিজীবী, চিকিৎসক কিংবা প্রকৌশলী। স্বাভাবিকভাবে এসবই স্বপ্ন থাকে সবার। তবে আমার মনের মধ্যে ভিন্ন কিছুই ছিল। এই জায়গায় নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি, আমার বাবা-মা আমাকে সেই স্বপ্নের মধ্যে থাকতে দিয়েছেন। তাঁদের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞ। তাঁদের সমর্থন ছাড়া ক্রিকেট খেলা শুরু করতে পারতাম না। কৃতিত্ব পাবেন আমার শিক্ষকেরাও। তাঁরাও আমাকে অনেক সহায়তা করেছেন। ক্রিকেট আমার কাছে সবকিছু, এটাই প্রথম ভালোবাসা। যেটা বললাম, সবকিছু। আমার জীবনে যা কিছু ঘটেছে, সবই ক্রিকেটকে ঘিরে।’