সাকিবকে ফিরে পাওয়াও বড় সুখবর
For more cricket videos go to www.bongocricket.com.
ওমানকে উড়িয়ে দিয়েই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের এই দারুণ জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান তামিম ইকবালের। ৬৩ বলে ১০৩ রানের অপরাজিত এই ইনিংস দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে দুটি রেকর্ড গড়েছেন এই বাঁহাতি ওপেনার। এ ম্যাচ থেকে বাংলাদেশের প্রাপ্তির তালিকাটা লম্বাই। তবে এক দিক দিয়ে বড় পাওয়া সাকিব আল হাসানের ফিরে আসাটাও।
সাকিব ফিরে এসেছেন? দলের বাইরে কখন গেলেন যে ফিরে আসবেন! এখানে কথা হচ্ছে ‘বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার’ সাকিবকে নিয়ে। গত এক বছর ক্রিকেট বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের উত্থান। কিন্তু এই সুখের মাঝেও অস্বস্তি হয়ে ছিল বল হাতে সাকিবের ‘অ-সাকিবীয়’ পারফরম্যান্স। ব্যাটিংয়েও মাঝে মধ্যেই হারিয়ে ফেলেছেন নিজেকে। গত কিছুদিনে মাঝারি আয়তনের কয়েকটি ইনিংস খেললেও কোনোটাতেই সাকিবের ছাপ তাতে ছিল না। ২০১৫ বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ উইকেট পেয়েছিলেন। এরপর থেকেই বল হাতে সাকিব যেন নিজের ছায়া। তিন সংস্করণ মিলিয়ে এ সময়ে ওমান ম্যাচের আগে মোট ৩০ ইনিংসে বল করে পেয়েছেন মাত্র ৩৭ উইকেট। এর মধ্যে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একটি ওয়ানডেতে ৫ উইকেট পেয়েছিলেন। ওই পারফরম্যান্স বাদ দিলে ২৯ ইনিংসে ৩২ উইকেট। এর মধ্যে আবার ৬টি টেস্ট ইনিংসও আছে। সাকিবের সঙ্গে একেবারেই যায় না এমন পারফরম্যান্স।
দৃষ্টিটা শুধু টি-টোয়েন্টির দিকে নিয়ে গেলে চমকটা বাড়ছে আরেকটু। গত এক বছরে মোট ১৪টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন সাকিব। ওমান ম্যাচের আগে ১৩ ম্যাচে সাকিব পেয়েছেন মাত্র ১৩ উইকেট। ৫ ম্যাচে কোনো উইকেটই পাননি। এ সময় তাঁর বোলিং গড় ছিল ২৭.১৫, অথচ তাঁর ক্যারিয়ার গড় হলো ১৯.৬৭। রানও দিয়েছেন উদার হস্তে, ওভারপ্রতি ৭.২৫! অথচ সাকিব শুধু ‘উইকেট টেকার’ নন, আঁটসাঁট বোলিংয়েও প্রতিপক্ষকে আটকে রাখতে জানেন। টি-টোয়েন্টিতে ৪০-এর ওপরে রান দেওয়ার অভিজ্ঞতা তাঁর জন্য ছিল বিরল। কিন্তু আন্তর্জাতিক ম্যাচে তো বটেই, বিপিএল-পিএসএলেও সাকিবকে অনায়াসে খেলেছে ব্যাটসম্যানরা।
ওমান ম্যাচটিতেই অবশেষে পাওয়া গেল সেই সাকিবকে। প্রথমে ব্যাটিংয়ে ১৭ রান করেছেন। মাত্র ৯ বল খেললেও অনেক দিন পর স্বচ্ছন্দ মনে হলো সাকিবকে। প্রথম তিনটা বলের পর সেই যে চার মারলেন, রানের প্রতি ছিল সেই প্রতিপক্ষকে মোটেও পাত্তা না দেওয়া সাকিবের ছাপ। সেই আত্মবিশ্বাস ফুটে বেরোল বোলিংয়েও। ৩ ওভার বল করে ১৫ রানে ৪ উইকেট। তাঁর ১০টি বলে কোনো রানই নিতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা। অনেক দিন পর দলের সেরা বোলার মনে হলো বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে।
বিশ্বকাপের মূলপর্ব শুরু হওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে সাকিবকে এভাবে ফিরে পাওয়াটা বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় সুখবর তো বটেই!