সাইমন্ডসের মৃত্যু মানতে পারছেন না প্রতিপক্ষরাও
উপমহাদেশের মানুষের তখন ঘুমও ভাঙেনি ঠিকঠাক। এর মধ্যেই ঝড়ের মতো এক দুঃসংবাদ এসে ওলট–পালট করে দিল সব। ঘুম ভেঙেই স্তম্ভিত হলো উপমহাদেশের ক্রিকেট–সংশ্লিষ্ট সবাই। ২০০৩ ও ২০০৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম নায়ক অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই এমন এক সংবাদ শুনলে কীভাবে স্বাভাবিক থাকা যায়? কীভাবে এ ধাক্কা সহ্য করা যায়?
সহ্য করতে পারছেনও না কেউ। ভারতের সাবেক বিখ্যাত ব্যাটসম্যান ভিভিএস লক্ষ্মণই যেমন প্রিয় বন্ধুর মৃত্যুর খবরটা মানতে পারছেন না, ‘ভারতে ঘুম থেকে উঠেই একটা বাজে সংবাদ শুনলাম। শান্তিতে ঘুমাও, আমার প্রিয় বন্ধু। খুবই দুঃখজনক একটা সংবাদ।’
মাঠের ভেতরে প্রতিপক্ষ হলেও সদালাপী ও মজার মানুষ সাইমন্ডস মাঠের বাইরে মন জয় করে নিতে পারতেন সবার। সেটাই আরও কষ্ট দিচ্ছে শোয়েব আখতারকে, ‘গাড়ি দুর্ঘটনায় অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের মৃত্যুর খবর শুনে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছি। মাঠের ভেতরে ও বাইরে আমাদের সম্পর্ক দুর্দান্ত ছিল। ওর পরিবারের জন্য প্রার্থনা।’
সাইমন্ডসের যাওয়াটা বড্ড তাড়াতাড়ি বলে মনে হচ্ছে ওয়াসিম জাফরের, ‘সকালে ঘুম থেকে উঠেই খারাপ একটা সংবাদ শুনলাম। খুব খারাপ লাগছে, অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস আর নেই। অনেক তাড়াতাড়ি চলে গেল। ওর পরিবার ও বন্ধুদের জন্য আমার প্রার্থনা। ঈশ্বর এই শোক সহ্য করার ক্ষমতা দিক তাঁদের।’
রবিন উথাপ্পার অনুভূতিও খুব ভিন্ন কিছু নয়, ‘ঘুম থেকে উঠেই দুঃসংবাদ, হঠাৎ মারা গেছে অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস। ওর পরিবার, বন্ধুবান্ধব, প্রিয়জন ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি সমবেদনা জানাই।’ একই অবস্থা অনিল কুম্বলেরও, ‘অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের মৃত্যুর শোকাবহ সংবাদ শুনলাম। ওর পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি সমবেদনা।’
বিদায়বেলায় সঞ্জয় মাঞ্জরেকারের মনে পড়ছে খেলার মাঠে সাইমন্ডসের অসাধারণ মুহূর্তগুলোর কথা, ‘খুবই ট্র্যাজিক ও বেদনাদায়ক এক খবর শুনে ঘুম ভাঙল। শান্তিতে থেকো অ্যান্ড্রু, অসাধারণ মুহূর্তগুলোর জন্য ধন্যবাদ।’
পুরো ব্যাপারটা বাস্তব বলে মনেই হচ্ছে না সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক মাইকেল ভনের, ‘সিমো, বাস্তব বলে মনে হচ্ছে না!’ গ্রায়েম সোয়ানও শোকস্তব্ধ, ‘শান্তিতে থেকো, রয়!’অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস জানিয়েছেন নিজের কষ্টের কথা, ‘বেদনাদায়ক সংবাদের মধ্য দিয়ে দিন শুরু হলো। শান্তিতে থাকবেন, কিংবদন্তি!’