সবকিছু স্বাভাবিক করতে চান সাকিব
>বাংলাদেশ ক্রিকেটের সময়টা ভালো যাচ্ছে না। ইমার্জিং দল, ‘এ’ দল কিংবা বাংলাদেশ—কোনো দলই গত তিন মাসে তেমন সুখবর দিতে পারেনি। সাকিব আল হাসান চট্টগ্রামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট জিতে ঘোচাতে চান দেশের ক্রিকেটের এ সাফল্যখরা।
পরীক্ষার আগের দিন নতুন করে কিছুই পড়ার থাকে না। এ সময় নির্ভার থাকাটাই হচ্ছে বুদ্ধিমানের কাজ। বাংলাদেশও তা-ই করছে। অনেক অনুশীলন হয়েছে, গত দুই সপ্তাহে সর্বোচ্চ প্রস্তুতিই নেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম টেস্টের আগের দিন দলের অনুশীলন তাই করে দেওয়া হয়েছে ‘ঐচ্ছিক’।
ফাঁকা নেট পেয়ে ভালোভাবে ব্যাটিং অনুশীলন করে নিলেন বোলার তাসকিন আহমেদ, আবু জায়েদ, নাঈম হাসান ও ইবাদত হোসেন। মাঝ–উইকেটের পাশে আরেকবার হাত ঘুরিয়ে নিলেন দুই স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম। প্রস্তুতি শেষ—এবার লড়াইয়ের অপেক্ষা।
এ বছর বাংলাদেশ দেশের মাঠে একটিই মাত্র টেস্ট খেলবে, সেটি এই আফগানিস্তানের বিপক্ষে। লম্বা বিরতিতে ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণে ফেরা, সামনে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ তো আছেই। বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান আফগানিস্তানের বিপক্ষে জিততে চান আরও একটি কারণে, ‘গত কদিনে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সময়টা ভালো কাটছে না। হাইপারফরম্যান্স দল, “এ” দল—কোথাও আমরা খুব একটা ভালো করতে পারেনি। শুধু অনূর্ধ্ব-১৯ ইংল্যান্ডে ফাইনাল (ত্রিদেশীয় সিরিজে) খেলেছে। এই টেস্ট আমাদের কাছে তাই খুব গুরুত্বপূর্ণ, খুব ভালো ভাবে জিতলে অনেক কিছু আবার স্বাভাবিক হতে শুরু করবে।’
ইমার্জিং দল সিরিজ হারছে শ্রীলঙ্কার কাছে, ‘এ’ দল সিরিজ হারছে আফগানদের কাছে। ভারত সফরে ফাইনালে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড একাদশ। সবচেয়ে বাজে সময় কাটাচ্ছে জাতীয় দল। সাকিব দুর্দান্ত খেললেও তাঁর দল বিশ্বকাপে প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো করতে পারেনি। বিশ্বকাপের পর শ্রীলঙ্কা সফরটা গেছে আরও বাজে। পারফরম্যান্স ভালো হচ্ছে না, এর মধ্যে নানা কথা ছড়িয়েছে দলের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে। এ নিয়ে সাকিব-মাহমুদউল্লাহকে বিস্তারিত ব্যাখ্যাও দিতে হয়েছে। শুধু খেলোয়াড় নন, বিতর্ক হয়েছে কোচ নিয়েও। আগের কোচ স্টিভ রোডসকে আকস্মিক বিদায় দেওয়া হয়েছে। নতুন কোচিং স্টাফ যোগ দিয়েছে। বাংলাদেশ দলের এ রূপান্তরকালে আবার নেতিবাচক আলোচনা হচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) নিয়েও।
সাকিব মনে করেন, একটা জয় পারে দেশের ক্রিকেটের নেতিবাচক সব আলোচনা পেছনে ফেলতে। কিন্তু ফলটা যদি হয় উল্টো? আফগানিস্তানের মতো র্যাঙ্কিংয়ের নিচের দল, টেস্ট ক্রিকেটের নবীনতম দলের বিপক্ষে জিতলে খুব একটা আলোচনা বা প্রশংসা হবে না। কিন্তু উল্টো ফল হলেই যে সমালোচনার অভাব হবে না! সংবাদমাধ্যম কিংবা সাধারণ দর্শকেরা প্রশংসা করল না সমালোচনা করল, সেটি নিয়ে অবশ্য চিন্তিত নন সাকিব, ‘(আফগানিস্তানের মতো দলের বিপক্ষে জিতলে) প্রশংসা হয় না এটা মনে হয় ভুল ধারণা। আমরা ক্রিকেটাররা জানি এটা কত বড় ম্যাচ, জিততে হলে কতটা ভালো করতে হয় ও কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। আমরা নিজেদের সেভাবেই উৎসাহিত করি। মানুষ কিংবা আপনারা কতটা প্রশংসা করেন না করেন, এটা আমাদের কাছে বড় ব্যাপার নয়।’