সংখ্যায় সংখ্যায় মাশরাফিদের প্রথম ওয়ানডে
টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমেই গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে বিপদে পড়েছিল বাংলাদেশ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই জেসন হোল্ডারের বলে স্লিপে রীতিমতো ‘ক্যাচিং প্র্যাকটিস’ করালেন ওপেনার এনামুল হক। টেস্ট সিরিজে ‘ভয়াল অভিজ্ঞতা’র মধ্য দিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ শিবিরে এর পরপরই যেন শঙ্কার কালো ছায়া ঘিরে ধরল। পঞ্চম ওভারে বৃষ্টির কারণে যখন খেলা বন্ধ হয়ে যায়, তখন বাংলাদেশের সংগ্রহ ১০/১। তবে ৩৫ মিনিটের বিরতিই যেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান—নির্দিষ্ট করে বললে দুই সিনিয়র ক্রিকেটার তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানকে যেন তাঁতিয়ে দিল। বিরতি শেষে মাঠে ফিরেই সব শঙ্কা তারা দূর ঠেলে দিলেন নিজেদের দুর্দান্ত ব্যাটিং দিয়েই। ২০৭ রানের এক জুটি গড়লেন—দ্বিতীয় উইকেটে যেটি দেশের পক্ষে সর্বোচ্চ! তামিম সেঞ্চুরি পেলেও সাকিবের পেলেন না মাত্র ৩ রানের জন্য। তবে শেষ দিকে মুশফিকুর রহিমের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে নিজেদের সংগ্রহটাকে ২৭৯-তে নিয়ে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসীই হয়ে উঠেছিল দল। পরে অধিনায়ক মাশরাফির দারুণ বোলিংয়ের পাশাপাশি মোস্তাফিজ, মিরাজ আর রুবেল হোসেনরা ব্যাটিংয়ের সময় অর্জিত আত্মবিশ্বাসটাকেই জয়ে অনূদিত করল। টেস্ট সিরিজে বাজে পারফরম্যান্সের পর বাংলাদেশ পেলে আরাধ্য এক জয়। নিজেদের ফিরে পাওয়ার জ্বালানি। গায়ানার এই ম্যাচটি বাংলাদেশের পক্ষে রেকর্ড বইয়ে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে। কয়েকটি সংখ্যায় সেগুলো পাঠকের সামনে তুলে ধরা হলো...
২৭৯
ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ওয়ানডে ক্রিকেটে এটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এর আগের সর্বোচ্চ সংগ্রহটি ১১ বছর আগের। ২০০৭ বিশ্বকাপের আগে কানাডার বিপক্ষে একটি ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশ তুলেছিল ২৭৮।
২
২৭৯ রান ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। ২০১২ সালে খুলনায় বাংলাদেশের ৬ উইকেটে ২৯২ রানই এখনো পর্যন্ত ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে সর্বোচ্চ।
২০৭
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের জুটি এটি। সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল এই জুটি গড়ে পেছনে ফেলেছেন ২০১০ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ইমরুল কায়েস ও জুনায়েদ সিদ্দিকের ১৬০ রানের জুটিটি।
২
২০৭ যেকোনো উইকেটে বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি। বাংলাদেশের পক্ষে ওয়ানডে ক্রিকেটে যেকোনো উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটিটি এসেছিল এক বছর আগে ওয়েলসের কার্ডিফে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সে ম্যাচে সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ পঞ্চম উইকেট জুটিতে তুলেছিলেন ২২৪ রান।
১৬০
তামিম ইকবাল কাল ১৬০ বল খেলেছেন। এটি বল খেলার হিসেবে বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় দীর্ঘতম ইনিংস। এর আগে ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ভারতের জয়পুরে ১৬১ বল খেলেছিলেন শাহরিয়ার নাফীস।
১৪৬
১৪৬ বল খেলে কাল সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন তামিম ইকবাল। এটি বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি বল খেলে করা সেঞ্চুরি। এই জায়গায় অবশ্য শাহরিয়ার নাফীস এগিয়ে আছেন তামিমের চেয়ে। তিনি ২০০৬ সালের সেই ম্যাচে ১৪৩ বল খেলে সেঞ্চুরি ছুঁয়েছিলেন।