শ্রীলঙ্কার সহিংসতায় সাঙ্গাকারা–জয়াবর্ধনের চোখে দায়ী সরকার
অর্থনৈতিক সংকটের পর ভয়াবহ রাজনৈতিক সংকটে শ্রীলঙ্কা। গত কয়েক দিনে রাজনৈতিক সহিংসতায় এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৭। পদত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে। কিন্তু জনতার রোষ থেকে রেহাই মিলছে না সরকারি দলের সাংসদ, মন্ত্রীদের। এরই মধ্যে সহিংসতায় একজন সাংসদ নিহত হয়েছেন। সাধারণ জনতা মন্ত্রী, সংসদ সদস্যদের বাড়ি, গাড়িতে আগুন দিচ্ছে, এমন দৃশ্য এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল।
সহিংসতা এড়াতে এরই মধ্যে দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। দেশব্যাপী আরোপ করা হয়েছে কারফিউ। অর্থনৈতিক অচলাবস্থার পাশাপাশি রাজনৈতিক সংকটের কারণে ভারত মহাসাগরের এই দ্বীপরাষ্ট্র এ মুহূর্তে আরও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। দেশের এ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন দেশটির ক্রিকেট ইতিহাসের দুই সেরা তারকা কুমার সাঙ্গাকারা ও মাহেলা জয়াবর্ধনে। তাঁরা দুজনই এ পরিস্থিতির জন্য সরকারকে দায়ী করেছেন।
সহিংসতা এড়াতে এরই মধ্যে দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। দেশব্যাপী আরোপ করা হয়েছে কারফিউ। অর্থনৈতিক অচলাবস্থার পাশাপাশি রাজনৈতিক সংকটের কারণে ভারত মহাসাগরের এই দ্বীপরাষ্ট্র এ মুহূর্তে আরও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। দেশের এ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন দেশটির ক্রিকেট ইতিহাসের দুই সেরা তারকা কুমার সাঙ্গাকারা ও মাহেলা জয়াবর্ধনে। তাঁরা দুজনই এ পরিস্থিতির জন্য সরকারকে দায়ী করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুজনেরই অনুসারীর সংখ্যা অনেক। সাঙ্গাকারা টুইট, ‘প্রতিবাদকারী জনতা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে নিজেদের মৌলিক অধিকারের দাবি তুলেছেন। কিন্তু তাঁদের ওপর সরকার সমর্থক গুন্ডা বাহিনী হামলা চালিয়েছে।’ সাঙ্গাকারা এই সহিংসতাকে সরকার পরিকল্পিতই বলছেন, ‘এটা সরকারের মদদে পরিকল্পিত সহিংসতা।’
মাহেলা জয়াবর্ধনে সহিংসতার একটি ভিডিও ফুটেজ পোস্ট করেছেন টুইটারে। সেখানে দেখা যাচ্ছে প্রতিবাদকারী একজন নারীকে কয়েকজন শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করছে। তাঁর কথা, ‘একজন পুলিশ কর্মকর্তার সামনে এভাবেই সরকারি গুন্ডা বাহিনী একজন নারীকে নির্দয়ভাবে পেটাচ্ছে। লজ্জার ব্যাপার। সরকারি রাজনৈতিক দল ও সরকার সহিংসতাকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করছে।’
গতকাল সোমবার সদ্য পদত্যাগকারী প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষের সমর্থকেরা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায়। এর পর থেকেই সহিংসতা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। আন্দোলনকারীরা শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের পদত্যাগ দাবি করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন অনেক দিন ধরেই। ১৯৪৮ সালের পর শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বাজে এই অর্থনৈতিক সংকট দেশের মানুষের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম এখন শ্রীলঙ্কায় আকাশছোঁয়া।
শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন লঙ্কান তারকা ক্রিকেটার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। তিনি টুইট করে নিজ দেশের রাজনীতিকদের ব্যাপারে নিজের বিরক্তি প্রকাশ করেছেন, ‘আমি খুবই হতাশ, আমি ভাবতেও পারছি না, আমাদের দেশের নেতৃত্বে এমন লোকজন বসে আছে।’
দুটি টেস্ট খেলতে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট দল এখন বাংলাদেশ সফরে আছে। আগামী মাসে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট দলের শ্রীলঙ্কা সফর করার কথা। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, তারা শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।