দৃশ্যটা ধরা পড়ল ক্যামেরায়। রিভিউ নিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক দিনেশ চান্দিমাল। তৃতীয় আম্পায়ার দেখে–শুনে মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই বহাল রাখলেন—নট আউট। আর যায় কোথায়! ড্রেসিং রুমেই রাগে গজরাতে গজরাতে হাত–পা ছুঁড়লেন মিকি আর্থার।
ক্যামেরাতেই বোঝা যাচ্ছিল, ড্রেসিং রুমে খেলোয়াড় এবং স্টাফদের প্রতি চেঁচিয়ে কিছু একটা বোঝাচ্ছিলেন। রাগ দমাতে না পেরে এক পর্যায়ে ড্রেসিং রুম থেকে বেরিয়েও এলেন শ্রীলঙ্কার এই কোচ। ম্যাচ অফিশিয়ালদের কথাও বললেন। উদ্দেশ্য পরিষ্কার—রুটকে কেন আউট দেওয়া হলো না? বেচারা আর্থার! কোনো লাভ হয়নি। রুট ততক্ষণে 'শেকড়' গেড়ে বসেছেন গলের উইকেটে।
ঘটনাটা ইংল্যান্ড অধিনায়কের সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পরের ওভারে (৬২.২)। স্পিনার লাসিথ এমবুলদেনিয়ার বলে রিভার্স সুইপ করেছিলেন রুট। বল তাঁর ব্যাটে লেগে মাটিতে বাউন্স খেয়ে গ্লাভস ছুঁয়ে জমা পড়ে শর্ট লেগে দাঁড়ানো কুশল মেন্ডিসের হাতে। মাঠের আম্পায়ার আউট দেননি। চান্দিমাল রিভিউ নিয়েও সিদ্ধান্ত পাল্টাতে পারেননি।
ক্রিকেট–আইনের ৩২.২.২.২ ধারায় স্পষ্ট বলা আছে, ব্যাটসম্যান বৈধভাবে দুবার আঘাত করার পর ফিল্ডার ধরলে তা আউট, কিন্তু প্রথম আঘাতের (প্রথমবার ব্যাটে লাগার পর) পর তা মাটিতে পড়া যাবে না।
কিন্তু মিকি আর্থারকে বোঝাবে কে! ড্রেসিং রুমে রাগে পানির বোতলও ফেলে দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকান এ কোচ। ওদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাস্যরস শুরু হয় তাঁকে নিয়ে।
গল টেস্টে শ্রীলঙ্কা কোনোভাবেই লড়াই করতে পারছে না। একপেশে আধিপত্য ধরে রেখে দ্বিতীয় দিনেই ভীষণ শক্ত অবস্থানে পৌঁছে যাচ্ছে ইংল্যান্ড। ম্যাড়ম্যাড়ে এই টেস্টে তাই অনেকের কাছেই একমাত্র 'আকর্ষণ' ও 'তারকা' মিকি!
বিবিসি টেস্ট ম্যাচ স্পেশালের প্রতিবেদক জোনাথন এগনিও লাইভ প্রতিবেদনে লিখেছেন, 'মিকি আর্থার পাগল হয়ে গেছেন।' উইজডেনের সম্পাদক লরেন্স বুথের টুইট, 'মিকি আর্থার এর মধ্যেই সিরিজের অন্যতম তারকা।'
গল টেস্টে আজ দ্বিতীয় দিনে চা বিরতির পর খেলা শুরু হয়নি। বৃষ্টি হানা দিয়েছে। তার আগে প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেটে ৩২০ রান তুলেছে ইংল্যান্ড। শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংসে ১৩৫ রানে গুটিয়ে যায়। এর মধ্যেই ১৮৫ রানের লিড নিয়েছে ইংল্যান্ড।
১৬৮ রানে অপরাজিত থেকে ডাবল সেঞ্চুরির পথে হাঁটছেন রুট। শ্রীলঙ্কার মাটিতে ইংল্যান্ডের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে একাধিক সেঞ্চুরির মুখ দেখলেন রুট। ৭ রানে অপরাজিত থেকে তাঁকে সঙ্গ দিচ্ছেন জস বাটলার। এর আগে ড্যান লরেন্স আউট হয়েছেন ৭৩ রান করে, জনি বেয়ারস্টো করেছেন ৪৭ রান। শ্রীলঙ্কার হয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন এমবুলদেনিয়া।