শোয়েব-কপিলের কথার লড়াই এখন 'সীমান্তে'
>করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সাহায্যার্থে ভারত-পাকিস্তান সিরিজ আয়োজন করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন সাবেক পাকিস্তানি ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতার। প্রস্তাবটা পছন্দ হয়নি বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় অধিনায়ক কপিল দেবের। সেই থেকে চলছে দুজনের কথার লড়াই।
শোয়েব আখতারের এখন মনে হতেই, কী কুক্ষণে না ভারত–পাকিস্তান সিরিজের কথা তুলতে গিয়েছিলাম!
করোনা–আক্রান্তদের সাহায্যে ভারত–পাকিস্তান ক্রিকেট সিরিজের আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন শোয়েব আখতার। কিন্তু এরপর ভারতীয় তারকারা তাঁকে যেভাবে কথা শোনাচ্ছেন, তাতে পাকিস্তানি গতি–তারকার এমনটা মনে হতেই পারে।
শোয়েবের প্রস্তাবটা ছিল খুবই সরল–সোজা। করোনাভাইরাস মহামারির এই সময়টাতে দুর্গত, দুস্থদের সাহায্যে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। ভারত–পাকিস্তান ক্রিকেট লড়াই দিয়েই সেই অর্থ তোলার কথা বলেছিলেন তিনি। বৈশ্বিক মহামারির এই সময় দর্শকবিহীন অবস্থায় ভারত–পাকিস্তান ক্রিকেট সিরিজ যদি কেবল টেলিভিশনেই সম্প্রচারিত হয়, তাহলেও টিভি সত্ত্ব বাবদ প্রচুর অর্থ আয় করা সম্ভব। এই সিরিজ থেকে আয় ভাগ করে নেবে ভারত, পাকিস্তান দুই দেশই—শোয়েব পুরো বিষয়টা এভাবেই ভেবেছিলেন। কিন্তু এরপর থেকেই ভারতীয় সাবেক তারকারা তোপ দেগেই যাচ্ছেন শোয়েবকে লক্ষ্য করে।
কিন্তু ভারতের সাবেক বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিল দেব এই প্রস্তাব আগেই উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, ভারতের টাকার অভাব নেই। শোয়েবও চুপ থাকেননি। জবাবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম 'আজ তাক'কে বলেছিলেন, 'আমি কী বলেছি তা কপিল ভাই বুঝতে পেরেছের বলে মনে করি না। সবাই অর্থনৈতিক ফাঁদে পড়তে যাচ্ছে। এখন সময়টা তাই সবাই মিলে মাথা খাটিয়ে অর্থ উপার্জনের। কপিল ভাইয়ের হয়তো টাকার দরকার নেই, কিন্তু বাকিদের প্রয়োজন আছে। আমার মনে হয়, এই প্রস্তাবটা নিয়ে সবাই দ্রুত ভাববে।'
কপিলের সঙ্গে এক ঠিক এক সুরে কথা না বললেও আরেক ভারতীয় গ্রেট সুনীল গাভাস্কার সোজা–সাপটাই জানিয়ে দিয়েছিলেন, যে ভারত–পাকিস্তান সিরিজ আয়োজন এ মুহূর্তে ঠিক কতটা অবাস্তব। তিনি রসিকতাচ্ছলেই বাস্তবতাটা তুলে ধরেছিলেন, 'এ মুহূর্তে লাহোরে তুষারপাতের সম্ভাবনা থাকলেও থাকতে পারে, কিন্তু ভারত–পাকিস্তান ক্রিকেট সিরিজের সম্ভাবনা নেই। নিরপেক্ষ ভ্যেনুতেও না। আইসিসির টুর্নামেন্টে দুই দেশের খেলা হতে পারে। কিন্তু কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজের সম্ভাবনা নেই।'
কপিলই এবার আরেক দফা জবাব দিয়েছেন শোয়েবকে। এবার ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের মন্তব্যটা বেশ কড়া। তিনি মনে করেন এ মুহূর্তে ভারত–পাকিস্তান সিরিজ আয়োজন করতে হলে এগিয়ে আসতে হবে পাকিস্তানকেই, বন্ধ করতে হবে ভারতের সীমান্তে তাদের তৎপরতা, 'আপনি আবেগী হয়ে বলে দিতেই পারেন যে হ্যাঁ, এই অবস্থায় দুই দেশের মধ্যে সিরিজ আয়োজন করা জরুরি। কিন্তু ম্যাচ খেলা এখন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় না। আর হ্যাঁ, আপনারা টাকা চান? তাহলে আগে সীমান্তে নেতিবাচক কাজ করা বন্ধ করুন।'
শোয়েবর পাল্টা জবাব কী হয়, এটাই এখন দেখার বিষয়।