শেহজাদের 'স্বাস্থ্যের কারণে' কিপিং করছেন না মুশফিক

শেহজাদের কাছে কিপিং ছেড়ে দিয়েছেন মুশফিক। শুধু ব্যাটসম্যানের ভূমিকায় দারুণ ছন্দেও আছেন তিনি। ছবি: প্রথম আলো
শেহজাদের কাছে কিপিং ছেড়ে দিয়েছেন মুশফিক। শুধু ব্যাটসম্যানের ভূমিকায় দারুণ ছন্দেও আছেন তিনি। ছবি: প্রথম আলো
>

উইকেট কিপিং ছাড়তে তিনি কখনোই আগ্রহী নন। অথচ মুশফিকুর রহিম এবার বিপিএলে স্বেচ্ছায় কিপিং ছেড়ে দিয়েছেন! চিটাগং ভাইকিংসে তাঁর জায়গায় কিপিং করছেন আফগান উইকেটকিপার মোহাম্মদ শেহজাদ। কেন?

উইকেটকিপিং তিনি ভীষণ পছন্দ করেন। কিপিং ছাড়তে তিনি কখনোই আগ্রহী নন। জাতীয় দলে উইকেটকিপিং করা-না করা নিয়ে কত ঘটনা তাঁর। অনেক সময় টিম ম্যানেজমেন্টের চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে কিপিং ছেড়েছেন, তবে সেটি মোটেও খুশি মনে নয়। অথচ সেই মুশফিকুর রহিম এবার বিপিএলে কিপিং করছেন না স্বেচ্ছায়!

কিপিং ছেড়ে তাঁকে ফিল্ডিং করতে দেখা যাচ্ছে মিড অন, মিড অফে। গ্লাভস জোড়া নেই বলে একটু নির্ভারও কি মনে হচ্ছে না মুশফিককে? এই বিপিএলটা দারুণ কাটছে, দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সামনে থেকে। ২৯৯ রান করে আছেন ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দুইয়ে। তাঁর দল চিটাগং ভাইকিংস কাল রংপুরের কাছে বড় ব্যবধানে হারের পরও আছে সবার ওপরে।

তা মুশফিককে কেন কিপিং করতে দেখা যাচ্ছে না কেন? উত্তরটা দিতে গিয়ে মুশফিক একটু হাসলেন, ‘দলের সমন্বয়ের কারণেই কিপিং করছি না। আমাদের দলে যে ভদ্রলোক এখন কিপিং করছেন (আফগান উইকেটকিপার মোহাম্মদ শেহজাদ), স্বাস্থ্য দেখলে বুঝবেন, তাঁকে ফিল্ডিংয়ের কোথায় রাখব...এটা আমার জন্য খুবই কঠিন। আমাদের দলের আরও ২-৩ জন ফিল্ডার আছে যাদের টি-টোয়েন্টির জন্য আদর্শ ফিল্ডার বলা যাবে না। এ রকম চার-পাঁচজন হলে কঠিন হয়ে যায়। টিম ম্যানেজমেন্টের সবাই গবেষণা করে এটা করেছে যাতে টিমের স্বার্থে সেরা সমন্বয়টা হয়। আর সে (শেহজাদ) খারাপ করছে না (কিপিং)। দল ছয়টা ম্যাচ জিতেছে, ভালোই চলছে।’

মুশফিক যে বললেন, ‘ভালোই চলছে’ সেটি পয়েন্ট তালিকা দেখলেই বোঝা যাচ্ছে। তেমন বিদেশি তারকা না থাকার পরও চিটাগং দুর্দান্ত গতিতে এগোচ্ছে এবার। চট্টগ্রাম পর্বে একটা ম্যাচ জিতলেই হয়তো নিশ্চিত হয়ে যাবে তাদের শেষ চার। মুশফিকও আছেন দারুণ ছন্দে। আগের বিপিএলগুলোয় এই দৃশ্য কমই দেখা গেছে। বেশির ভাগ সময়ই হাসিমুখে বিপিএল শেষ করতে পারেননি মুশফিক। এবার তিনি এবং তাঁর দলকে অন্যরকম দেখা যাচ্ছে, রহস্যটা কী?

‘যখন যেটা প্রয়োজন ধরুন কারও ব্যাটিংয়ে রান দরকার তখন সে ক্লিক করছে। আবার বোলিংয়ে যখন একটা উইকেট দরকার তখন সে পাচ্ছে। আমাদের মূল বোলার যদি বলেন রবি (ফ্রাইলিঙ্ক), রাহি (আবু জায়েদ) ও খালেদ (আহমেদ) ভালো বোলিং করছে। নাঈম (হাসান) ভালো বোলিং করেছে। সবাই খুব ভালো বোলিং করেছে। ফিল্ডিংয়ে বেশির ভাগ সময়ে আমরা ভালো করেছি। তিনটা ম্যাচে শেষ ওভারে জিতেছি। এটায় বোঝা যায় যে সবাই শান্ত থাকার চেষ্টা করছি এবং সেভাবে খেলার চেষ্টা করছি। ভাগ্যের সহায়তাও পাচ্ছি। শেষ আটটার মধ্যে অনেক ক্লোজ ম্যাচ জিতেছি। এটা অনেক সময় নাও হতে পারে। আপাতত আমাদের হয়েছে। চেষ্টা করব আরেকটা ম্যাচ যেন জিতে শীর্ষ এক-দুইয়ের মধ্যে থাকতে’—কাল ম্যাচের পর বলছিলেন মুশফিক।

ছন্দটা ধরে রাখতে পারলে এবার অন্তত হতাশ মুখে বিপিএল শেষ করতে হবে না মুশফিকের।