শানাকার রানই করতে পারল না রংপুর
>মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বিপিএলের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ রংপুর রেঞ্জার্সকে ১০৬ রানে হারিয়েছে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। কুমিল্লার দেওয়া ১৭৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে রংপুর ১৪ ওভারে অলআউট ৬৮ রানে
মোস্তাফিজুর রহমানকে যখন চরম ধোলাই দিয়ে ফিফটি পূর্ণ করলেন দাসুন শানাকা, ডাগ আউটে চওড়া হাসিতে করতালি দিয়ে কুমিল্লার শ্রীলঙ্কান অধিনায়ককে অভিনন্দন জানাচ্ছিলেন কুমিল্লার টেকনিক্যাল উপদেষ্টা মিনহাজুল আবেদীন।
বিপিএলের সৌজন্যে মিনহাজুলের কাছে মোস্তাফিজ এখন প্রতিপক্ষ বোলার। কিন্তু বিপিএলের মোড়কটা সরে গেলেই প্রধান নির্বাচক হিসেবে তাঁকেই তো বেশি ভাবতে হবে মোস্তাফিজের এই ফর্ম নিয়ে! নিজের শেষ ওভারে মোস্তাফিজ টানা চারটি ছক্কা খেয়েছেন, আরও একটি ম্যাচে ব্যয়বহুল বোলিং করেছেন—এ চিন্তা পরে, মিনহাজুলের মুখে আপাতত হাসি দুর্দান্ত ইনিংস খেলে চরম ব্যাটিং বিপর্যয় থেকে দলকে উদ্ধার করে শানাকা এনে দিয়েছেন ৭ উইকেটে ১৭৩ রানের বড় স্কোর। এই স্কোর ‘ডিফেন্ড’ করে কুমিল্লা পেয়েছে ১০৫ রানের অসাধারণ এক জয়।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করা কুমিল্লার শুরুটা যদিও ভালো হয়নি। ইনিংসের মাঝেও স্বচ্ছন্দে এগোতে পারেনি তারা। ১৭ ওভারেও ৬.৩৫ রানরেটে কুমিল্লার স্কোর দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১০৮। এভাবে এগোতে থাকলে স্কোর ১৩০ রানের বেশি হওয়ার কথা ছিল না কুমিল্লার। ম্যাচের চিত্রটা বদলে গেল এরপরই। ১৮তম ওভার থেকে চালাতে শুরু করলেন শানাকা। গ্রেগরির করা ওই ওভারে উঠল ১৬ রান।
নিজের প্রথম ৩ ওভারে দারুণ বোলিংই করেছিলেন মোস্তাফিজ। ৩ ওভারে ১২ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। সব চেষ্টা তাঁর বৃথা গেল ১৯তম ওভারে। শানাকা তাঁকে টানা চারটা ছক্কা মারলেন। একটা ছক্কা তো আরেকটু হলে গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডের ছাদ পেরিয়ে স্টেডিয়ামের বাইরে চলে যাওয়ার উপক্রম! মোস্তাফিজের ওই ওভারে উঠল ২৬ রান। ইনিংসের শেষ ওভার করা জুনায়েদ খানও বাঁচতে পারেননি শানাকার ধোলাই থেকে! ২০তম ওভারে এল ২৩ রান।
শেষ ১৮ বলে কুমিল্লা নিয়েছে ৪৯ রান। এর মধ্যে শানাকার রানই ৪৬। কুমিল্লা অধিনায়ক অপরাজিত ৩১ বলে ৭৫ রান করে। বিপিএলে আজকের দ্বিতীয় ম্যাচ এতটায় শানাকাময়, পরের ইনিংসে কী হয়েছে সেটি বিশেষ কোনো তাৎপর্য বহন করে না! এমনকি শানাকার রানই করতে পারেনি রংপুর। ১৭৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে আল আমিন, সৌম্য সরকার, মুজিবুর রহমান, সানজামুলদের বোলিংয়ে খাবি খেয়ে রংপুরের ব্যাটসম্যানরা এসেছেন আর গেছেন। রংপুর পুরো ২০ ওভারও খেলতে পারেনি। ১৪ ওভারে ইনিংস থেমে গেছে ৬৮ রানে।
প্রায় শূন্য গ্যালারির মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে শানাকার ব্যাটিং রাতে যা একটু রং ছড়াল। নিজেদের প্রথম ম্যাচেই তিনি প্রমাণ করলেন, স্থানীয়দের পেছনে রেখে তাঁকে কেন অধিনায়ক হিসেবে বেছে নিয়েছে বিসিবির অর্থায়নে পরিচালিত কুমিল্লা।