লড়াইয়ের আগে ভেট্টোরিকে পেলেন তামিমরা
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সঙ্গে ছিলেন না ড্যানিয়েল ভেট্টোরি। দলের স্পিন পরামর্শক ছিলেন নিজ দেশ নিউজিল্যান্ডে। বাংলাদেশ দল নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে আজ প্রথম দলীয় অনুশীলন করেছে। সেখানে তামিম–মুশফিকদের সঙ্গ দিয়েছেন ভেট্টোরিও। সংবাদমাধ্যমকে সাবেক এ কিউই স্পিনার জানিয়েছেন, প্রায় এক–দেড় বছর পর ছেলেদের দেখে তিনি খুব রোমাঞ্চিত।
গত বছর মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে জাতীয় দলের সঙ্গে ছিলেন ভেট্টোরি। করোনা মহামারি শুরুর পর দেশে ফিরে যান তিনি। এই সময়ে আর জাতীয় দলের সঙ্গে যোগ দেননি তিনি। কুইন্সটাউনে আজ মুশফিকদের সঙ্গে যোগ দিয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন নিউজিল্যান্ড দলের সাবেক এ অধিনায়ক। নিজের দেশ হওয়ায় নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশন পুরোটাই ভেট্টোরির নখদর্পনে। এই সিরিজে বাংলাদেশ দল ভেট্টোরির পরামর্শ কতটা কাজে লাগাতে পারে, সেটিই দেখার বিষয়। তবে ভেট্টোরির বিশ্বাস, ‘বাংলাদেশ এবার চেষ্টা করবে। আমরা জানি, নিউজিল্যান্ড খুবই ভালো দল। আশা করি, আমরা অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিখব।’
নিউজিল্যান্ডে স্বাগতিকদের বিপক্ষে কখনো জিততে পারেনি বাংলাদেশ। এবার তিন ম্যাচ ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে সফরকারী দল। ভেট্টোরি মনে করেন, সংক্ষিপ্ত সংস্করণের এই সিরিজে স্পিনের বড় ভূমিকা থাকবে, ‘আমার মনে হয় স্পিনের একটা বড় ভূমিকা থাকবে, বিশেষ করে মিচেল স্যান্টনার, ইশ সোধিরা অস্ট্রেলিয়া সিরিজে যেমন করেছে, এমনকি অ্যাশটন অ্যাগার, অ্যাডাম জ্যাম্পাদেরও ভূমিকা ছিল। সবাই জানে সীমিত ওভারে স্পিন কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।’
এদিক থেকে বাংলাদেশ দলকেও পিছিয়ে রাখছেন না ৪২ বছর বয়সী বাঁহাতি এ স্পিনার। মেহেদী হাসান মিরাজের মতো অভিজ্ঞ স্পিনার নিয়ে গেছে বাংলাদেশ। এ ছাড়াও নাসুম আহমেদ ও স্পিন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান সঙ্গে আছেন। ভেট্টোরির বিশ্বাস এসব স্পিনাররা অবদান রাখবেন সিরিজে, ‘মিরাজ, সে যেমন অভিজ্ঞ, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে সিরিজে বেশ ভাল করেছে, সে অনেক বড় ভূমিকা পালন করবে। তার সঙ্গে মেহেদি ও নাসুম আছে—আমি মনে করি, তারা দলে জায়গা করে নিয়ে অবদান রাখতে পারে।’
২০ মার্চ থেকে শুরু হবে ওয়ানডে সিরিজ। বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালকে নিয়েও আশাবাদী ভেট্টোরি, ‘বাংলাদেশ ভাগ্যবান, কারণ তাঁরা এই সফরে এসেছে তামিমের অধিনায়কত্বে। সে খুবই খোলামেলা মানসিকতার। এর আগেও নিউজিল্যান্ডে কঠিন সফরের অংশ ছিল সে। সে জানে এখানে কী পরিকল্পনা কাজে আসেনি। এখানে কী কাজে লাগতে পারে, সেটা নিয়ে সে ইতিবাচকভাবে কাজ করছে।’
করোনা মহামারির মধ্যেও জৈব সুরক্ষিত পরিবেশ বজায় রেখে নিউজিল্যান্ডে ক্রিকেট গড়ানোকে দারুণ ইতিবাচক চোখে দেখছেন ভেট্টোরি। এই সুবাদে শিষ্যদের সঙ্গে দেখা হয়ে যাওয়ায় তিনি ভীষণ আনন্দিত, ‘ফিরতে পেরে ভালো লাগছে, পরিচিত মুখ দেখে, বিশেষ করে স্পিনারদের সঙ্গে নেটে ফিরতে পেরে। বেশ লম্বা সময় পার হয়ে গেছে। নিউজিল্যান্ডের ভাগ্য খুবই ভাল, খেলা চালিয়ে যেতে পারছি আমরা এখানে। বাংলাদেশ সিরিজ সেটিরই ধারাবাহিকতা হতে যাচ্ছে।’